Romantic Cute Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব:১) Bangla Golpo

Romantic Cute Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব:১) Bangla Golpo

Are you searching love story in Bangla language you will find here many types of Bangla story like a romantic love story, cute love story, heart touching love story, Islamic love story, Bangla golpo, story, real love story, Bangla Islamic Story, new love story, valobasar golpo, premer golpo, Bangla love story, I hope you are like our collections if you like our collection please connect with us.

Romantic Cute Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব:১) Bangla Golpo, Bangla romantic love story, Bangla love story, romantic love story, cute love story, Bengali story

ছাত্রী_থেকে_আদরের_বউপর্ব:১লেখক : J.M. Aminul

.
খুলনা থেকে ঢাকায় যাচ্ছি । উদ্দেশ্য লেখা-পড়া । নিজের ব্যাপারে বলার মতো কিছুই নেই । আমি অনাথ । তবে একসময় সবই ছিলো কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনায় হাড়াতে হয় সব । ছোট থাকতেই আমার কাকা সব কিছু নিজের করে আমায় ঠেলে দিয়েছিলো অনাথ-আশ্রমে । সেখানে থেকেই বাবার এক বন্ধুর সাহায্যে লেখা পড়া চালিয়েছি । বাবার বন্ধুর নাম সফিক চৌধুরি । আমার ইন্টার শেষ । ভালো রেজাল্ট করেছি । তাই উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্বদিদ্যালয় ।
যদিও ঢাকায় নতুন । ঢাকা বিশ্বদিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক সফিক আঙ্কেলের বন্ধু । তিনি আমাকে তার সাথেই আগে দেখা করতে বলেছে । তাই ঢাকা পৌছেই আগে চলে গেলাম তার কাছে ।
ও হ্যা আমার নাম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা । গ্রামের অতি স্বাধারন ছেলে , পুরোনো কাপড় যা স্বাধারনত মানুষ এতিমদের দিয়ে থাকে সেগুলোই গায়ে । ঠিকানা অনুযায়ী এসে পৌছালাম এক বিশাল অট্টালিকার সামনে ।
দারোয়ান আমায় ভিতরে যেতে দিচ্ছিলো না । কেনই বা দিবে ! আমার চেয়ে হয়তো এই বাড়ীর চাকরগুলোর গেট-আপ ও অনেক ভালো । নিরাশ হলাম না নিচে অপেক্ষা করতে লাগলাম । কাছে ফোনও নেই যার দ্বারা সফিক আঙ্কেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারি । যাইহোক বিকাল পর্যন্ত বাড়ীর সামনে বসে থাকলাম । বিকালে এক লোক আমায় জিগ্গাসা করলো ..
> তুমি কে বাবা ! (লোকটি)
> জ্বি আমি মাসুদ ।
> এখানে কি চাই বাবা !(লোকটি)
> জ্বি আমি রাশেদ স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছি ।
> তুমি কি খুলনা থেকে এসেছো ! সফিক তোমায় পাঠিয়েছে !(লোকটি)
> জ্বি । সফিক আঙ্কেলই আমায় পাঠিয়েছে । কিন্তু আপনি জানলেন কি করে ?
> আমি রাশেদ আলম । তুমি যার সাথে দেখা করতে এসেছো এমি সে । তা তুমি ভিতরে না গিয়ে এখানে কেন বসে আছো ? (লোকটি)
> আসলে স্যার , দারোয়ান আমায় দেখে ডুকতে দিচ্ছিলো না তাই বাহিড়েই আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ।
> ও আমারই ভুল । আমার ওকে তোমার ব্যাপারে বলে রাখা উচিৎ ছিলো । আচ্ছা আসো ভিতরে এসো ।(রাশেদ আঙ্কেল)
তারপর আমি তার বাড়ী ডুকলাম । খুব বড় আর সুন্দর বাড়ী । ভিতরে গিয়ে তিনি আমায় বসতে বললেন । আমি বসলাম ...
> সফিক তোমার ব্যাপারে সবই বলেছে । আর আমি তোমার রেজাল্টও দেখেছি । আমি তোমার বাবাকে চিনতাম । অনেক ভালো লোক ছিলেন তিনি । অনেক উপকার করেছেন আমার । আজ তোমার জন্য কিছু করতে পেরে নিজের কাছে একটু আনন্দ লাগছে । তোমার ভর্তি পরিক্ষার আর পনেরো দিন আছে । আমি আজই তোমায় প্রয়োজনীয় বইয়ের ব্যবস্থা করে দিবো । তুমি তোমার প্রস্তুতি শুরু করে দিও ।(রাশেদ আঙ্কেল)
> জ্বি আঙ্কেল ।
> রহিম ! মাসুদকে ওর রুমটা দেখিয়ে দে (একজন কাজের লোককে উদ্দেশ্য করে) । যাও বাবা ফ্রেস হয়ে একটু বিশ্রাম নাও ।(রাশেদ আঙ্কেল)
> জ্বি .
আমি চলে আসলাম । বেস ভালো একটা রুম । এযেন আমার মতো অনাথের কাছে সপ্নের মতো । আমি ফ্রেস হয়ে বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম '''সত্যি কি আজব দুনিটা ! নিজের রক্তের সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলো আমায় অনাথ হয়ে জীবন যাপনে বাধ্য করলো আমার সব কিছু নিয়ে নিলো আর কিছু অপরিচিত মানুষ আমায় অনাথ জীবন থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে , এনে দিতে চাইছে অনেক কিছু , দেখাতে শেখাচ্ছে সপ্ন । সত্যি সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে মানবতা নামের আজকের সমাজের মরিচিকাটা এখোনো বেঁচে আছে । কিন্তু একজন অপরিচিত মানুষ আমার জন্য আর কতো করবে ! আমি অপরিচিত হওয়ার পডরেও যায়গা দেয় নিজের ঘড়ে , তিনবেলা আহারের ব্যবস্থা করে । তার কাছ থেকে আর কিছু কিভাবে চাই আমি ! আমার লেখাপড়া চালাতে গেলেতো টাকার প্রয়োজন । আর তা আমি সফিক আঙ্কেল বা রাশেদ আঙ্কেলের কাছ থেকে কিছুতেই নেওয়া যাবে না । আমাকে কিছু একটাতো করতেই হবে । আর এই ছেড়া কাপর পরে ঢাকায় চলাচল করাও সম্ভব না , এতে আমার কিছু না হলেও রাশেদ আঙ্কেলের মানহানী হবে কারন তিনি আমায় আশ্রয় দিয়েছেন । আর আমার দ্বাড়া আমার উপকারকরীর কোনো ক্ষতি হোক এটা কখনোই চাইনা।'''
যাই হোক কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লাম । বিকালে উঠে ফ্রেস হয়ে দেখি টেবিলে কিছু বই রাখা আছে তার মানে এগুলো রাশেদ আঙ্কেল রেখে গেছেন ।
আমি একটা বই নিয়ে পড়তে লাগলাম ।.... হঠাৎ করেই রাশেদ আঙ্কেল ..
> বাবা রাতের খাবারটা খেয়ে তারপর আবার পড়তে বসো । এখন আসো ...
আঙ্কেলের কথা শুনে বাইরে তাকিয়ে দেখি রাত হয়ে গেছে । তাই আঙ্কেলের সাথে চলে গেলাম খাবার টেবিলে । একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম , আমি বাড়ী আসার পর থেকে আঙ্কেল ও কিছু কাজের লোক ছাড়া আর কাওকে দেখলাম না । তাই খাওয়ার টেবিলে আঙ্কেলকে জিগ্গাসা করলাম ..
> আঙ্কেল ! বাড়ীতে কি আপনি একাই থাকেন ? মানে আন্টিকে দেখছি না !
> তোমার আন্টি তার বাবার বাড়ী গেছে । কিছুদিন সোখানেই থাকবে । তার এখানে আসতে আসতে হয়তো তোমার এডমিশন টেস্ট শেষ হয়ে যাবে (রাশেদ আঙ্কেল)
> ও আচ্ছা ..
তারপর খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম । আর কিছুক্ষন বই পড়ে তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম । আসলে এখন সপ্ন পড়া লেখা করে অনেক বড় কিছু করার অনাথ বাদেও নিজের আরো একটা পরিচয় গড়তে চাই ।
এভাবেই চলছে দিনগুলো । দেখতে দেখতে এডমিশন টেস্ট চলে আসলো । খুব ভালো হয়েছে পরিক্ষা । এখন মূল সমস্যা হচ্ছে ভর্তি ফি । আমার দ্বাড়া এখন এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না । চাকরিই খোজ করতে লাগলাম । কিন্তু জানা ছিলো না এখন ছোটখাটো একটা চাকরির জন্যেও মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয় । এক রাশ হতাশা নিয়ে ফিরে আসি প্রতিদিন ।
দেখতে দেখতেই এডমিশন টেস্টের রেজাল্ট চলে আসে আল্লাহর রহমতে ভালো রেজাল্ট করেছি । যার কারণে অনেক সুবিধাই পাওয়া যাবে । এখন কথা হচ্ছে ভর্তি হওয়া । আজও চাকরির আশায় বেড়িয়ে ছিলাম ফলাফল শূন্য । রাতে বাড়ী এসে ফ্রেস হয়ে বসলাম । মাথায় নানার চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে । রাতে আঙ্কেল খাওয়ার জন্য ডাকলেন আমি চলেগেলাম খাবার টেবিলে ...
> শোনো কাল তোমার প্রয়োজনীয় বই আমি এনে দেব । আর হ্যা তোমার ভর্তি ফি জমা দেওয়া হয়ে গেছে ।(রাশের আঙ্কেল)
> আঙ্কেল আপনি আমার জন্য এতো কেন করছেন ?
> কারন তোমার বাবার কাছে যে আমি চির-ঋণী । সেই ঋণের বোঝা কিছুটা হলেও হালকা করার চেষ্টা করছি কেবল মাত্র (রাশেদ আঙ্কেল)
> আঙ্কেল আপনি আমার জন্য অনেক করেছেন । কিন্তু আমি আপনার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি নিতে পারবো না । আপনি বাবার ঋণ সোধ করতে গিয়ে আমায় ঋণী বানিয়ে ফেলছেন আমি এই ঋণগুলো কি ভাবে মেটাবো ! আঙ্কেল আপনি আমায় আরেকটা উপকার করে দিতে পারবেন !
> কি বলো ?(আঙ্কেল)
> আমাকে একটা ছোটখাটো জবের ব্যবস্তা করে দিতে পারবেন ?
> জব করলে তুমি পড়ালেখা করবে কিভাবে । না তোমার জব করা লাগবে না তুমিতো ভালো স্টুডেন্ট তুমি বরং দুটো টিউসনি করাও । আচ্ছা আমি তোমায় দুজন স্টুডেন্টে ব্যবস্তা করে দিবো তোমার নিজের পড়ার পাশাপাশি তাদেরকেও পড়িয়ে দিও ।(আঙ্কেল)
> ঠিক আছে আঙ্কেল ।
> আর হ্যা তোমাকে তো বলাই হয়নি ! কাল তোমার আন্টি আর নীলা আসছে (আঙ্কেল)
> আঙ্কেল নীলা কে ?
> নীলা হচ্ছে আমার মেয়ে । এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে । কাল ওর সাথে তোমায় পরিচয় করিয়ে দিবো ।(আঙ্কেল)
> জ্বি আঙ্কেল ।
খাওদা-দাওয়া শেষ করে রুমে আসলাম এখানে আশার পর আঙ্কেল আমায় বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন সেগুলো দিয়ে কিছু সপিং করতে হবে । আঙ্কেলের বাড়ী এভাবে থাকা যাবে না । আর এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়েও যাওয়া যাবে না ।তাই ভাবলাম কাল সকালেই মার্কেটে যাবো ।
রাতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই । সকালে আঙ্কেলের সাথে ব্রেক-ফাস্ট করে বেড়িয়ে পরলাম মার্কেটের উদ্দেশ্যে । এরপর কিছু কেনাকাটা করে বাড়ী ফিড়লাম । কলিং বেল বাজিয়ে বাইরে দারিয়ে আছি । কিছুক্ষনের মধ্যেই দরজা খুলে দিল । আমি তাকিয়ে তো অবাক ..
একি মানুষ নাকি সাক্ষাত কোনো রূপকথার পরী !!!
.
.

চলবে.........

Part 2

Post a Comment

0 Comments