Romantic Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব ৩) Story Books

Romantic Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব:১) Story Books

Are you searching love story in Bangla language you will find here many types of Bangla story like a romantic love story, cute love story, heart touching love story, Islamic love story, Bangla golpo, story, real love story, Bangla Islamic Story, new love story, valobasar golpo, premer golpo, Bangla love story, I hope you are like our collections if you like our collection please connect with us.

Romantic Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব:১) Story Books, Bangla golpo, romantic golpo, romantic love story, Bangla love story, Bangla story books, Bangla love story, status zone bd, story book

গল্প : ছাত্রী_থেকে_আদরের_বউ
Part: 03
লেখক : J.M.Aminul

.
বাড়ী ভর্তি লোক , সবার মুখে হাসি । নিজের একমাত্র মেয়ের বিয়েতে কোনো কমতি রাখেন নি রাশেদ আঙ্কেল । নিলিমা ও অনেক খুশি নিজের নতুন জীবনের সূচনাক কথা ভেবে আর এই সবার মাঝে একা আমি শুধু অভিনয় করে যাচ্ছি ভালো থাকার । ভিতরটা যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে ,'কিভাবে বলি আঙ্কেল আমি আপনার মেয়েকে অনেক ভালোবাসি , আমি আপনার কাছ থেকে ওকে ভিক্ষা চাইছি , ওকে please আমার হাতে তুলে দিন' যেখানে আমি নিজেই তার বাড়ী আশ্রয় নিয়ে থাকি । কিভাবে নিলিমাকে বলি ,'নিলিমা অনেক ভালোবাসি তোমায় , আমায় ছেড়ে যেও না , কথা দিলাম শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত তোমায় খুশি রাখার চেষ্টা করবো' যেখানে নিলিমা আমায় দেখতেই পারে না ।
সত্যি এযেন এক কঠিন দহন যা আমার ভিতরটাকে পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে । আজ নিলিমার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরই আমি আঙ্কেলের বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো ঠিক করলাম । এখন চলে গেলে আঙ্কেল নিজেও খারাপ ভাববে তাই বিয়ের অনুষ্টানে সর্বদাই আঙ্কেলের সঙ্গ দিতে লাগলাম ।
এদিকে বর আসার সময় পেড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু বরের কোন খোজ নেই । আঙ্কেল অনেক ফোন দিচ্ছে কিন্তু বরের বাড়ীর লোকজন কেউ ফোন তুলছে না । বরের বাড়ী থাকা আমাদের এক লোকের দ্বাড়া জানতে পারাগেলো বর নাকি বিদেশে অনেক বে-আইনি কাজ করতো যার কারনে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে ।
এখবর পাওয়া মাত্রই বিয়ে বাড়ির আনন্দ যেন মূহুর্তের মধ্যেই হাড়িয়ে যায় । আঙ্কেল ভেঙ্গে পরেন , "নিজের একমাত্র মেয়েকে কিনা এমন একটি ছেলের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন যে নিজেই অ-সত । সে কিনা নিজেই নিজের মেয়ের জীবন ধঃস্ করতে যাচ্ছিলেন!"
আমি তাকে সান্তনা দেওয়া চেষ্টা করি । আন্টিরও মন খারাপ নিজের একমাত্র মেয়ের বিয়ে এভাবে ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে । আঙ্কেল কে আমি ধরে একটি ছোফায় বসিয়ে দিলাম । সে কিছুক্ষন চুপচাপ বসে ভাবলেন । তারপর উঠে সবার সামনে যা ঘোষনা করলেন তার জন্য আমি কেন কেউই প্রস্তুত ছিলেন না ।
> সান্ত হোন আপনারা ! আল্লার আমার মেয়ের জীবনটা ধঃসের হাত থেকে বাচিয়েছেন । শুধু ক্যারিয়ার দেখেই আমি আমার মেয়েটাকে একটা অ-সত ব্যাক্তির হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিলাম ! কখনো খোজ নেই নি ছেলেটা কেমন ! আল্লাহ আমার চোখ খুলে দিয়েছেন । ক্যারিয়ার তো মানুষই তৈরি করে আর সেই মানুষটার যদি একটা মন থাকে তবেই সেইতো প্রক্রিত সফল ব্যাক্তি । আমি আমার মেয়ের বিয়ে কোন সম্পদশালী ছেলের সাথে দেবো না । এমন একটা ছেলের সাথে অামার মেয়ের বিয়ে দের যে দায়িত্বশীল , সত এবং অবশ্যই একজন ভালো মানুষ । আমার মেয়ের বিয়ে আজই হবে , এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আমার মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করতে চাই । আর আমার মেয়ের বিয়ে হবে মাসুদের সাথে (রাশেদ আঙ্কেল সবার সামনে এমনটা ঘোষনা করলেন)
> আঙ্কেল আমি !! কিন্তু আমি কেন ? আমার থেকে অনেক ভালো ছেলেও আছে । যাদের ভালো একটা পরিবার আছে তা বাদ দিয়ে কেন আমার মতো অনাথের হাতে আপনি নিজের মেয়ে তুলে দিচ্ছেন !
> কে বললো তুমি অনাথ ! আমরা তো আছি তোমার । আর আমি জানি আমার নিলিমার জন্য আমি তোমার থেকে ভালো ছেলে আরেকটা বাছতে পারবো না । আমাকে যদি নিজের বাবার মতো সম্মান করে থাকো তবে তুমি এ বিয়েতে অমত করো না !(আঙ্কেল)
> কিন্তু আঙ্কেল নিলিমা কি আমায় মেনে নিবে ! ওকে তো একবার জিগ্গাস করে নেওয়া উচিৎ ?
> নিলিমা অমত করবে না । ও কখনো অামার কথার অমত করেনি । আমি জানি আজও করবে না । চলো তুমি প্রস্তুত হয়ে আসো আমি সব আয়োজন করছি (আঙ্কেল)
আর কি আল্লাহ সত্যি খুব দয়াবান । তার কাছে চেলে সব কিছুই পাওয়া যায় । খুব খুশি লাগছিলো ! অবশেষে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকেই পেলাম সাথে একটা পরিবারও এখন আর নিজেকে এতিম মনে হবে না ।
বিয়ে সম্পন্ন হলো । আঙ্কেল ও আন্টি অনেক খুশি কিন্তু নিলিমাকে দেখে মনে হচ্ছে না ও এই বিয়েতে খুশি ।
এর পর অন্যান্ন কার্যক্রম করতে করতে সন্ধা হয়ে গেলো । এরি মধ্যে আমি সুমনকে খবর দিয়ে দিছি আর আমার বিয়ের কথা শুনে ও ছুটে এলো বিয়ে বাড়িতে ।
সন্ধায় ছাদে বসে ওকে সব ঘটনা খুলে বললাম ..
> যাক দোস্ত অবশেষে তুই তোর ভালোবাসার মানুষটাকেই পেলি (সুমন)
> হুমম । কিন্তু নিলিমা কি আমায় মেনে নিবে ! ও তো আমায় দেখতেও পাড়ে না !
> এখন তো মেনে নিতেই হবে কারন তুই ওর স্বামী ।(সুমন)
> ভাই মেনে নিলেই ভালো ।
> আরে দুড় ! তুই চিন্তা করিস না তো সব ঠিক হয়ে যাবে । আর এখন বসে না থেকে যা তোর ছাত্রী বউয়ের কাছে যা । অনেক রাত হয়ে গেছে ..(সুমন)
এরপর সুমন আমায় জোড় করেই বাশর ঘড়ে ঢুকিয়ে দিলো । রুমে ঢুকে দেখি নিলিমা চুপচাপ বসে আছে । আমাকে দেখেও কোনো কথা বলছে না । আমি গিয়ে নিলিমার বিছানায় বসতেই ..
> ঐ ছোটলোকের বাচ্চা ! তুই আমার বেডে বসলি কেন ?(অনেকটা রেগে নিলিমা)
> নিলিমা ! এগুলো কি বলছো ! আমি তো তোমার স্বামী ।
> স্বামী আর তুই ! হা হা হা হা ।আমি তোকে আমার স্বামী মানি না। আরে তুইতো আমাদের বাড়ির চাকর হওয়ারও যোগ্য নস ।(নিলিমা)
> তাহলে আমায় বিয়ে করলে কেন ? তখনতো না করে দিতে পারতে ?
> তখন না করলে বাবার সম্মান নষ্ট হতো । তাই তোকে বিয়ে করলাম । শোন কখনো আমার কাছে স্বামীর অধিকার ফলাতে আসবি না । আমি তোকে কোনোদিনও স্বামী হিসেবে মানবো না ।(নিলিমা)
> তো কি এভাবেই চলবে নাকি !
> না এভাবে চলবে না । আমি তোকে খুব তারাতারি ডিবোর্স দিব ।কিন্তু তার আগে তুই বাবার কাছে খারাপ সাজতে হবে ।(নিলিমা)
> কেন ?
> কারন বাবা তোকে অনেক বিশ্বাস করে । আর তাই আমাদের যদি বিনা কারনে ডিবোর্স হয়ে যায় তবে বাবা আমাকে খারাপ ভাববে । তাই তোকে বাবার সামনে খারাপ সাজতে হবে যাতে বাবা নিজেই আমাদের ডিবোর্স করায় ।(নিলিমা)
> যা তোমার ইচ্ছা ।
আমি খাটের থেকে একটা বলিস নিয়ে ছোফায় শুয়ে পরলাম । এই ব্যপারটা আগেই আচ করতে পেরেছিলাম যে নিলিমা আমায় কিছুতেই মেনে নেবে না তাই বেশী একটা অবাক হলাম না।
পরদিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো নিলিমার ডাকে..
> ঐ উঠ । যা খাটে গিয়ে ঘুমা (নিলিমা)
> আহ্ এতো সকালে ডাকার কি আছে । তোকে ডাকছি কি আর স্বাধে ! যা খাটে গিয়ে ঘুমা না হলে কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে (নিলিমা)
নাহ্ এই মেয়ের হিটলারি বুদ্ধি অনেক । সব সময় নিজেকে সেভ রাখার রাস্তা খোজে ।
একবার যখন ঘুম ভেঙ্গে গেছে তখন আর ঘুম হবে না জানি তাই একদম উঠে পরলাম । ফ্রেস হয়ে একটু বই নিয়ে বসলাম । এরপর সকালে সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করলাম । অবশ্য আজ একটু জামাই আদর পেলাম খুব ভালোই লাগলো কিন্তু কপাল খারাপ বৌয়ের আদর পেলাম না ।
যাই হোক ব্রেক-ফাস্ট শেড়ে ইউনিভার্সিটিতে চলে গেলাম । সেখানে সুমনের সাথে দেখা ...
> কিরে ভাই ! কাল তোর বিয়ে হলো আর আজ তুই এখানে ?(সুমন)
> কেনো ভাই কোথাও লেখা আছে নাকি বিয়ে হলো পরের দিন ক্লাস করা যায় না !
> না সেটা না । আচ্ছা ভাই বল রাতে কি কি হলো !(সুমন)
> আর বলিস না ভাই । রাতে একটুও ঘুমাতে পারিনি !
> কি বলিস কি ! ভাই তা কি করলি সাড়া রাত (অনেক আগ্রর নিয়ে সুমন)
> আরে শালা তুই যা ভাবছিস তার কিছুই হয়নি । রাতে ছোফায় শুতে হয়েছিলো তাই ঘুমাতে পারি নি ।
> কি বলছিস এগুলো ! ছোফায় শুয়েছিস মানে ?(সুমন)
> তোর ভাবি কাল রাতে আমার কাছে কি চেয়েছে জানিস ?
> কি !!(সুমন)
>ডিবোর্স ..
> কিহ্ !!!(সুমন)
> হুম । নিলিমা আমায় একদমই মেনে নিতে পারবে না ।
> আরে ভাই তুই চিন্তা করিশ না । ৬ মাসের আগে তোদের ডিবোর্স হবে না । সুতরাং তোর হাতে ৬ মাস সময় আছে । দেখ নিলিমার মনে তোর জন্য ভালোবাসার জন্ম নেওয়াতে পারিস কি না !!(সুমন)
> হুম আমি তাই করবো । এতো সহজে ওর হাত ছেড়ে দেবো না । ভাগ্য যখন ওকে আমার কাছে এনে দিয়েছে আমি আর ওকে দুরে যেতে দেবো না ।
এরপর সুমনের সাথে আরো টুকটাক কিছু কথা বলে চলে গেলাম ক্লাস করতে । ক্লাস করে সুমনকে বিদায় জানিয়ে চলে এলাম বাড়ীতে ।
বাড়ীতে আসার পর আঙ্কেল আমায় যা বললো তার আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না ..........

Part 4

Post a Comment

0 Comments