Bangla Love Story (Romantic Revenge - Part_1) Bangla Golpo

Bangla Love Story (Romantic Revenge - Part_1) Bangla Golpo

Are you searching love story in Bangla language you will find here many types of Bangla story like a romantic love story, cute love story, heart touching love story, Islamic love story, Bangla golpo, story, real love story, Bangla Islamic Story, new love story, valobasar golpo, premer golpo, Bangla love story, I hope you are like our collections if you like our collection please connect with us.

Bangla Love Story (Romantic Revenge - Part_1) Bangla Golpo, valobashar golpo, romantic love story, cute love story, bangla love story, bangla golpo, sad love story, bangla story, Bangla romantic love story, Bangla new story, cute love story

❤❤ Golpo. Romantic Revenge ❤❤
(Part_1)
ক্ষুদ্র____লেখক

--ঠাসসস ঠাসসস।ঐ কুওার বাচ্চা তোর সাহস হলো কি করে আমার সাথে একই বিছানায় বসতে?(আরহী)

---তুমি ত আমার বউ।আমি সম্পূর্ণ অধিকার আছে তোমার পাশে বসতে।(আমি)

---হাহাহাহাহা।

---হাসতেছ কেন?

---বউ???কে তোর বউ?

---কেন?তুমি।

---তুই ভাবলি কি করে আমি তোর মতো একটা ফকিন্নির বাচ্চাকে আমার স্বামী হিসাবে মানব?

---তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন?

---প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।

---কিসের প্রতিশোধ?

---তুই ভার্সিটির আমার সাথে যা করেছিলি তার জন্য ত তোকে শাস্তি দেওয়া হয় নেই।তাই প্রতিশোধ নিলাম।

---তার মানে তুমি আমার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছ?

---প্রতিশোধ এখনও নিলাম কোথায়?সামনে দেখবি তোর সাথে আমি কি কি করি।এখন চুপচাপ নিচে গিয়ে শুয়ে পর আর একটা কথাও বলবি না আমি এখনও ঘুম আসব।
.
কি আর করার বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে করলে যা হয় আর কি তাই হলো আমার সাথে।আপনারা হয়ত ভাবছেন কি হলো আমার সাথে?
.
চলেন তাহলে আপনাদের শুরু থেকেই বলি।আমার নাম ফরহাদ।যখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবা মারা যায়।আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার ছিলাম আর বাবাই আমাদের সংসার চালাত।
.
তাই বাবার মৃত্যুর পর আমাদের খারাপ দিন শুরু হয়ে গেল।বাবার মৃত্যুর পর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে আমাদের দুই ভাই-বোনকে বড় করতে লাগল।বাবার মৃত্যার সময় আমার ছোট বোনটা মাত্র পাঁচ বছরের।
.
আমাদের এমন অবস্থা দেখে আমি পড়ালেখা ছেড়ে কোন কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তুু মা আমাকে পড়ালেখা ছাড়তে দেয় নেই।মা সেইদিন বলেছিল যত কষ্টই হোক না কেন কখনও পড়ালেখা ছাড়বি না।
.
পড়ালেখা করে বড় হলে আর আমাদের দুঃখ থাকবে না।তাই পড়ালেখার পাশাপাশি আমি কিছু কাজও করতাম।যাতে মাকে একটু কম কষ্ট করতে হয়।
.
দেখতে দেখতে আমি ইন্টার শেষ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম।ভার্সিটিতে প্রথমদিন আমি আমার ক্লাসে যাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করেই কোথা থেকে যাবি একটা মেয়ে এসে আমার সাথে ঠাক্কা খেল।
.
---ঠাসসস ঠাসসস।ঐ ছোটলোকের বাচ্চা তুই আমাকে ঠাক্কা মারলি কেন?(মেয়েটি)

---আমি ত ঠাক্কা মারি নেই।আপনিই ত আমাকে ঠাক্কা মারলেন।(আমি)

---ঠাসসস ঠাসসস।কত বড় সাহস আমার মুখে মুখে কথা বলিস।দেখে ত মনে হয় কোন ক্ষেতের থেকে উঠে এসেছিস।

---দেখেন ভাল মতো কথা বলুন।

---বলব না।কি করবি তুই?

---আপনাকে দেখে ত মনে হয়ে আপনি কোন বড়লোক ঘরের মেয়ে।কিন্তুু আপনার কথা শুনে ত মনে হচ্ছে না আপনি কোন সভ্য ঘরের মেয়ে।

---কি তুই আমাকে অসভ্য বললি?ঠাসস ঠাসস।

---ঠাসসস ঠাসস।সেই কখন থেকে দেখছি আপনি বিনা কারণে আমাকে মেরে যাচ্ছেন।আমি আপনাকে কিছু বলবি না দেখে আপনার যা ইচ্ছে আপনি আমার সাথে তাই করতে পারেন না।

---তোর কতবড় সাহস তুই আমাকে ঠাপ্পর মারলি???

---বেশ করছি মেরেছি।দরকার পরলে আরও মারব।

---তোকে আমি দেখে নিব।

---আমি এই ভার্সিটিতেই আছি।যত ইচ্ছে দেখে নিয়েন।
.
মেয়েটি আমার সামনে থেকে চলে গেল।আমিও আমার ক্লাস খুঁজে আমার ক্লাসে চলে আসলাম।আমার ক্লাসে এসে আমি বসে রয়েছি।সবাই আমাকে দেখে হাসছে।
.
তারা কেন হাসছে তা আমিও জানি।তারা হাসছে কারণ আমার পোশাক দেখে।এখানে যারা আছে সবাই বড়লোক।সবাই ভাল ভাল পোশাক পরে এসেছে।কিন্তুু আমি ওদের মতো বড়লোক না তাই আমি সাধারণ পোশাকই পরে এসেছি।
.
আমি ক্লাসে ডুকে একজনের পাশে বসতেই সে নাক ধরে এমন ভাব করল যে আমার শরীর থেকে হয়ত দুগন্ধ বের হচ্ছে।সে নাক ধরে অন্য সিটে গিয়ে বসল।আর বলতে বলতে গেল কোথা থেকে এই ক্ষেতটা এসেছে রে?
.
ছেলেটির কথা শুনে সবাই হাসতে লাগল।আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম।তাছাড়া আমি আর কি বা করব?আমি ত ওদের মতো বড়লোক না যে ওদের কথার উল্টো জবাব দিব।
.
একটু পর সেই মেয়েটি আমাদের ক্লাসে ডুকল।ক্লাসে আমাকে দেখে মেয়েটির অনেক রাগ হলো সেইটা মেয়েটির চেহারা আর চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
.
কারণ মেয়েটির চোখ আর চেহারা লাল হয়ে গেছে।ক্লাসের সকল বেঞ্চে সবাই বসে পরেছে।শুধু আমার বেঞ্চটি খালি ছিল তাই মেয়েটি আমার পাশে এসে বসল।
.
একটু পরে ক্লাসে স্যার আসল।মেয়েটি আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার জোতা দিয়ে আমার পায়ে পারা দিল।ব্যাথায় আমি চিৎকার করে উঠলাম।
.
আমার চিৎকার শুনে একজন জিজ্ঞাস করল কি হয়েছে আর একজন বলে উঠল যে কাপড় পরে এসেছে সেইটা হয়ত চুলকাচ্ছে শত হলেও মিস্টার ক্ষেত।
.
ক্লাসের সবাই হাসতে শুরু করল।তাদের সাথে মেয়েটিও হাসতে লাগল আর আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম।আমার যে কোন কিছু বলার অধিকার নেই।কারণ আমি গরিব।
.
আমি মাথা নিচু করে ক্লাস করতে লাগলাম।স্যার একে একে সবার পরিচয় জানতে চাইল।তখন জানতে পারলাম মেয়েটির নাম আরহী।ক্লাস শেষ করে যখন বের হয়ে আসচ্ছিলাম তখন আবার আরহীর সাথে ঠাক্কা লাগে।
.
---ঠাসস ঠাসসস।ঐ ছোটলোকের বাচ্চা দেখে চলতে পারিস না?সব সময় শুধু আমার গায়ে উপর এসে পরিস কেন?(আরহী)

---আরে তুই বুঝিস না কেন ঐ এমন করে?(প্রিয়া। আরহীর বান্ধুবী)

---কেন রে?

---যাতে তোর থেকে টাকা নিতে পারে।তোকে ত বড়লোক দেখেছে।

---তুই একদম ঠিক বলেছিস।এই সব ফকিন্নির বাচ্চারা বড়লোক মেয়েদের দেখলেই তাদের পিছনে পিছনে ছুটে।বাবা-মা মনে হয় কিছু শিখায় নেই।

---শিখিয়েছ ত।কিভাবে বড়লোকদের থেকে টাকা চাইতে হয়।(কথাটা বলেই সবাই হাসতে লাগল)

---দেখেন আমাকে যা কিছু বলার বলেন কিন্তুু আমার মা-বাবার বিষয়ে কিছু বলবেন না।তাছাড়া তখন আর এখন আমি আপনাকে ধাক্কা দেয় নেই।আপনি নিজেই আমার শরীরে এসে পরেছেন।(কথাটা বলেই আমি চলে আসলাম)

---বাবা,ক্ষেতের মুখ থেকে দেখি কথাও বের হয়।

---আরে দেখে ছোটলোক মনে হলে কি হবে।কথার ভাবে মনে হয় কোন বড়লোকের ছেলে।

---ঠিক বলেছিস।দেখ ত মনে হচ্ছে মন ভরা অনেক দেমাগ।

---ওর দেমাগ যদি আমি মাটিতে না মিশিয়ে দিয়েছি তাহলে আমার নামও আরহী না।

---তুই ওর সাথে কি করবি?

---দেখতে থাক কি করে।

to be continued........

Part 2

Post a Comment

0 Comments