বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ২৮ তম - Bangla Bhalobashar Golpo

বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ Bangla Bhalobashar Golpo romantic valobashar golpo রোমান্টিক গল্প ভালোবাসার গল্প premer golpo valobashar golpo রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

বাংলা গল্প, চাচাতো বোন যখন বউ, Bangla Bhalobashar Golpo, bhalobashar golpo, premer golpo, romantic valobashar golpo, premer golpo valobashar golpo, রোমান্টিক গল্প, ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

Bangla Bhalobashar Golpo romantic valobashar golpo


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২৮ তম


আসলে কাহিনীটা কি..? তাঁরা কি একে অপরকে চিনে..? যদি না চিনে তাহলে এই ভাবে দেখা হওয়ার কাহিনী কি...! আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না...। না আমি এই কাহিনী মাঝে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি....! এই কাহিণীতে রহস্য আছে....।

হ্যাঁ রহস্য আছে বটে তবে রহস্য টা কি আমাকে খুঁজে বের করতে হবে..। আমি কথা গুলো ভাবতেছি...। রাগিনী চোখ বন্ধ করে আছে...! আমি আস্তে করে রাগিণীকে ছেড়ে দিয়ে ছাঁদ থেকে নেমে রুমে চলে আসলাম...।

এটা আমি কি করতে যাচ্ছি..। রাগিণী আমার বোন লাগে..। কিন্তু তাঁকে পছন্দ করি, এটা আমার মনে স্তীর হয়ে তাকবে..। কিন্তু এটা.! এটা আমি কি করতে যাচ্ছি...?

রাগিণী তো বিয়ে করে পেলেছে..। তাহলে আমি এটা কি করতে গেলাম, ছিঃ ছিঃ ছিঃ রাশেল তুই এতটা খারাপ..। আমাকে বিবেক এক বার ও বাঁধা দিলো না..। আবেগের প্রস্তনিয়ে কি করতে গেলাম আমি...?

রুমে শুয়ে থাকলাম, আমি রাগিণীকে মুখ দেখাবো কি করে...। হঠাৎ বুঝতে পারলাম..। রুমে রাগিণী আসতেছে.. আমি চোখ গুলো বন্ধ করে থাকলাম...। রাগিনী আমার কাছে এসে আমার কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে চলে গেছে...।

মাইরে এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু..। ধ্যাত আমি নেগেটিভ কেন ভাবছি, সেই তো ভাই হিসাবে ও দিতে পারে...। কিন্তু ভাই হিসাবে দিলে আমি কেঁপে উঠলাম কেন...? আমি ও না আজাইরা ভাবা ভাবছি কেন..?

কখন ঘুমিয়ে গেছি নিজে ও জানি না, দুপুরে ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে কিচেনে গিয়ে দেখলাম, রাগিনী এই খানে নেয়, ছাঁদে এসে দেখলাম রাগিণী দোলনায় বসে আছে...।

আমি তাঁর পাশে গিয়ে বললাম, এই রাগিণী মন খারাপ নাকি..? আচ্ছা চল তোকে বাসায় দিয়ে আছি..? কথাটা বলতে রাগিণী আমাকে দিকে তারাতাড়ি ঘাড় ফিরে থাকালো..। আমি তো রাগিনী এই অবস্থায় দেখে অবাকক....

এই কি বললি তুই আমি বাসায় যাবো, কখনো না, আমি তোকে রেখে যাবো আর তুই মেয়েদের মায়া ঝালে আঁটকে যাবি..। তা আমি কখনো হতে দিবো না...? আরে আমি কখন মেয়েদের মায়া ঝালে আঁটকে গেছি...।

আর তোমাকে ও এই খানে রাখলে, মানুষ আমাদের খারাপ ভাববে..? তুই ফারজানা প্রেমে পড়িস নাই...। আর কে কি বললো আমি তা দেখি না, মন চাইলে তোকে এই খানে বিয়ে করে থেকে যাবো...?(রাগিণী রেগে কথা গুলো বললো)

আর তাঁর চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে..। আমি প্রায় ভয় পেয়ে গেছি, কিন্তু রাগিণী ফারজানা কথা কি ভাবে জানলো...? মাইরে এই মেয়ে নাকি আমাকে বিয়ে করে পেলবে...! ডেঞ্জারাস মেয়ে, করতে ও পারে যে ভাবে রেগে আর তাঁর কোনো গ্যারান্টি নেই..!

আমি চুপ করে রাগিণী দিকে থাকিয়ে আছি, এখন ও চোখে রাগ দেখা যাচ্ছে..। কিছুক্ষণ পরে কিছু মায়া দেখা যাচ্ছে, হে হে মেয়ে গলে যাচ্ছে...। আমি গিয়ে দোলনায় বসলাম.।।.

আমি বসার কিছুক্ষণ পরে রাগিণী ও আমার পাশে বসলো..। দুই জনে চুপ চাপ বসে আছি..। কিছুক্ষণ পরে বললো আমি যা বলছি তা তো তোর মনে আছে..? মাইরে আমার কপালে খারাপ..। কি..কি...কথা...? কি কথা মানি...।

কারো সাথে কোনো রকম কথা বললে সোজা তোকে বিয়ে করে পেলবো..? ম..মা.মানি...? মানি বুঝিস নাই..? ভালো করে মনে করে দেখ..! আর যদি কোনো রকম ভুল করিস তাহলে তোর রেহাই নেই মনে রাখিস কথাটা...।

হায় আল্লাহ আমার জীবন টা বেদনাময় করে পেলছে..। আমার জীবনে সুখ গুলো তো অনেক আগে চলে গেছে..। কিন্তু মাঝ পথে এসে আবার কি খুলতেছে এই মেয়ে...! কষ্টেই কি সাগর বানিয়ে পেলবে নাকি...।

কি হলো চুপ করে আছো কেন..? না মানি বিয়ে না করলে হয় না..? না আমার দুইটা স্বামী লাগবে, আর তুই হবি দ্বিতীয় স্বামী..। হায় আল্লাহ বলে কি মেয়েটা...। আমি নাকি দ্বিতীয় স্বামী আমার কপালে সুখ নাই..।

খোদা এটা আমাকে কি শুনানে, আমি নাকি দ্বিতীয় স্বামী। তুমি এমন একটা এতিম ছেলেকে এই ভাবে টর্চার করবে..? কে এতিম, মনে করবি আজ থেকে আমি তোর বউ..। আর হ্যাঁ চল তোকে আজকে বিয়ে করবো..?

এই না না, দরকা নাই, তোমার কথা সব গুলো শুনবো..? না না আমি তো বিয়ে করবো আজকে এই মুহূর্তে, আমি আর একা থাকতে পারবো না..। আমার স্বামী আদর লাগবে, আদর...।

কি লাগবে..?(চিৎকার দিয়ে বললো) আদর লাগবে, এখন প্লিজ চলো আমার না খুব খিদা লাগছে...? আচ্ছা চল আর হ্যাঁ আমার কথা গুলো মনে রাখবি...। জ্বি হ্যাঁ মনে রাখবো, খুব বেশি মনে রাখবো...!

যেনো আমার শার্টের বোতামের সাথে কথা গুলো বেঁধে রাখবো..? তাঁর পরে দুই জনে লাঞ্চ করলাম..। এমন করে আমাদের দিন অতিবাহিত হচ্ছে...। প্রায় অনেক দিন কেটে গেছে...।

আর এই দিকে আর সব কিলারকে শেষ করে দিলাম..। রাগিণী অনেক বার বিয়ে করার জন্য কাজী অফিসে নিয়ে গেছে, আমি নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে চলে আসলাম...। হঠাৎ একদিন আমার মোবাইলে একটা করল আসলো...।

নাম্বারটা আমি চিনি না, তবো প্রথম বারের রিসিভ করে পেললাম...। হালো রাশেল তুমি কোথায় এখন.....?
আমি তো বাসায় আছি কিন্তু আপনি কে বলছেন...? আমি কে ওটা পরে বলবো প্লিজ আপনি এখন ঢাকায় চলে আসেন...?

কিন্তু আম....( যা বাবা ফোনটা কেটে দিলো...?) মেয়েটা কেঁদে কেঁদে কেন কথা বলছে...! তার মানি কি মেয়েটা বিপদে পড়ছে..? কিন্তু বিপদে পরলে তো আমি যেতে যেতে মেয়েটা কিছু একটা হয়ে যাবে....।

হঠাৎ পিছন থেকে রাগিণী বলে উঠলো, কি হয়েছে রাশেল তুমি এত উদ্যাস কেন..? না মানি একটা মেয়ে ফোন করে কান্না করে করে বললো, আমাকে ঢাকায় যেতে...?

তা মানি মেয়েটা বিপদে পড়ছে..? হঠাৎ আমার ওই নাম্বার থেকে কল দিলো..। আমি রিসিভ করে কানে ধরলাম..। একটা মেয়ে বললো কেমন আছো..? আমি কন্ঠ টা শুনে বেশ অবাকক হলাম....

Part 29

Post a Comment

0 Comments