বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ Bengali New Love Story Bangla love story bangla premer golpo bangla valobashar golpo রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প রোমান্টিক গল্প ভালোবাসার গল্প
Bengali New Love Story Bangla love story |
চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২৯ তম
(গল্প শুরু করার আগে কিছু কথা বলি, অনেক বলছে, এত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গল্প দেওয়ার কি আছে..!আসলে যদি গল্পের রহস্য টা বের করি না দিয় তাহলে গল্পেটাকে কি গল্প বলে যাবে..? প্রথমে আমার প্রশ্ন সলিউশন টা দিয়ে জান..!)
আমি তাঁর কন্ঠ টা শুনে বেশ অবাকক হলাম, এটা তো ফারজানা কিন্তু ফারজানা কেন আমাকে কল দিলো..? সেই ও আমি চলে আসার সময় এক বার ও আমার সাথে কথা বলে নাই এমন কি আমার দিকে ও থাকায় নাই...।
।
তাহলে.... কি হলো কথা বলছো না কেন...? ও হ্যাঁ বলো কি বলবে...? তুমি কি একটু আমাদের বাসায় আসতে পারবে...? কিন্তু কি হয়েছে..? আর তোমার কন্ঠ কেন এমন শুনাচ্ছে..!
।
কেমন শুনেছে আমার কন্ঠ..? এই তো কান্না মিশ্রিত... আসলে তোমার হয়েছেটা কি...! তুমি আসলে সব জানতে পারবে, আমার একটু কাজ আছে প্লিজ তুমি আসো, তোমাকে একবার দেখতে মন চাচ্ছে...?
।
ফোনটা কেটে দিলো ফারজানা, আমার মনে হয় ফারজানা কান্না করতেছে, সেই তার কান্না আমাকে বুঝতে দিচ্ছে না...। কিন্তু ফারজানার হয়েছেটা কি...?
।
তাঁর মানি কি ফারজানা কিছু হয়েছে..। এই কি হলো এত কি ভাবছো আর কল কে দিয়েছে..?(রাগিণী আমার পাশ থেকে বলে উঠলো..। ফারজানা কল দিয়েছে মনে হয় তাঁর কিছু একটা হয়েছে...! তুমি বাসায় চলে যাও আমাকে এখন ঢাকায় যেতে হবে..?
।
না আমি ও যাবো তোমার সাথে এখন চলো, নিচে গেয়ে তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও, আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করছি..? রাগিণী নিচে চলে গেছে..। আমি ভাবতে ভাবতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেছি..!
।
রুমে এসে ফ্রেশ হলাম, তাঁর পরে রাগিণী আর আমি ব্রেকফাস্ট করলাম, দুইজনে তৈরি হয়ে ঢাকা উদ্দেশ্যই রওনা দিলাম..। প্রায় চার ঘন্টা ড্রাইভ করে ঢাকায় চলে আসলাম...।
।
ফারজানা বাসার সামনে এসে গাড়ি টা দাঁড় করালাম..।
আস্তে আস্তে করে পা দুইটা চালাচ্ছি..। আমার মনে একটা ভয় ঢুকে আছে....। দরজা টা ধরতে আস্তে করে খুলে গেছে, আমি বেশ অবাকক হলাম, প্রায় তিন বছর আমি এই বাসায় থাকছি...।
।
কখনো এই বাসাটা দরজা খুলো ছিলো না, তাহলে এই রকম হওয়ার মানিটা কি..? আমার মনে আরো বেশি ভয় ঢুকে গেছে..। আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকলাম...। ভিতরে ঢুকে আমি বেশ অবাকক হলাম...।
।
মা বাবা সোফায় বসে আছে, কপালে হাত দিয়ে আমি তাদের পাশে গিয়ে বসলাম..। মা আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরলো..। আমি মার এমন কান্ড দেখে অবাকক হচ্ছি, এইখানে কিছু একটা হয়েছে..। না হলে এই বাসাটা এমন নিস্তব্ধ কেন..?
।
আগে তো কখনো এম নিস্তব্ধতা ছিলো না, তাহলে হঠাৎ এমন হলো কেন..? মনে হচ্ছে এই খানে কিছুটা রহস্য আছে, যা আমাকে চার পাশ দিয়ে বাতাশের মতো ঘিরে ধরেছে...। তাঁর মাঝে আমি শূন্যেই ভাসতেছি....।
।
মা কি হয়েছে এই ভাবে সবাই বসে আছো কেন..? মা চুপ চাপ কেঁদে যাচ্ছে..। মনে হচ্ছে তা আপন কেউ তাকে চিরকালের জন্য ছেড়ে চলে গেছে...। কিন্তু বাসায় ফারজানাকে দেখতে পারছি না কে...?
।
ফারজানা আবার কিছু হয় নাই তো..? ফারজানা কথা ভাবতে আমার বুকটা ছেদ করে উঠো, আমি তারাতাড়ি আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম...। আম্মু ফারজানা কোথায়..। আম্মু কান্না আরো বেড়ে গেছে....।
।
তার মানি কি আমার ভাবনাটা ঠিক..! না এ হতে পারে মা..। আমার জানা মতে তো ফারজানা অসুস্থ ছিলো না, তাহলে ফারজানা কি হবে..। আমি আম্মুকে রেখে ফারজানা রুমে চলে আসলাম..! কিন্তু রুমে এসে অবাকক হলাম...।
।
এই রুমটা নিস্তব্ধ, কোনো কিছু নেই খালি নেই এই রুমে কিন্তু এই রুমে যে মানুষটা থাকে, তাকে কেন দেখতে পারছি না..। আমি আমার আগে রুমে এসে দেখলাম এই খানে ও নেই..। দৌড়ে ছাঁদে এসে দেখলাম...।
।
ছাঁদে ও নেই তা মানি কি ফারজানা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে..। না তা হতে পারে না..! হয় তো বা ফারজানা অফিসে আছে..। আমি নিচে এসে আম্মুকে আবার জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু আম্মু কিছু না বলে কান্না করে যাচ্ছে...।
।
আমি আম্মুকে ছেড়ে আব্বুর কাছে গিয়ে বললাম, আব্বু ফারজানা কোথায়..? আব্বু আমার কথা কোনো রেসপন্স না দিয়ে নিচে দিকে থাকিয়ে আছে...। আমি আব্বু মুখটা আমার হাত দিয়ে উপরে উঠে, আমি অবাকক হয়ে গেছি...।
।
আব্বু ও কান্না করতেছে..। রাশেল আমাদের মেয়ে আর আমাদের মাঝে নেই...! মানি কি আব্বু..? আমার আদরের মেয়ে আমাদের কে ছেড়ে ওই পাড়ে চলে গেছে..। আমি কথাটা শুনে হাটু গিরে ফ্লোলে বসে পড়লাম....!
।
না এটা হতে পারে না আব্বু তোমরা মিথ্যা কথা বলতেছো..। ফারজানা আজকে সকালে আমার সাথে কথা বলেছে..! বাবা এটা ফারজানা ভয়েস ছিলো যা তোমাকে শুনিয়েছে...। এটা নাও এই খানে একটা চিঠি আছে আরেকটা আডিও ভয়েস আছে...।
।
এই গুলো ফারজানা তোমাকে দিতে বলেছে...। আমি চিঠি এবং পেনড্রাইভ টা নিয়ে পকেট নিয়ে নিলাম...। কিন্তু আব্বু ফারজানা হয়েছেটা কি..? বাবা আমি এই গুলো বলে তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না..।
।
চিঠি সব গুলো লেখা আছে, তুমি পড়ে নিও...। আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না..। বাবা...। প্রায় অনেকক্ষণ পরে..। রাগিণী..। হুম..। মনে হয় আব্বু আম্মু খাবার খায় নাই...। ফ্রিজে সব গুলো আছে একটু রান্না করে আব্বু আম্মুকে খাবার দাও...।
।
তার পরে রাগিণী কিচেনে চলে গেছে..। আমি আব্বু আম্মু কে রুমে নিয়ে আসলাম..! আম্মুকে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দিলাম...! আম্মু ফ্রেশ হয়ে বের হলো আমি..। আমি আম্মু পাশে বসে পড়লাম..।
।
আমি চোখে যেনো ঝাপসা দেখা যাচ্ছে..। কান দিয়ে শুনে যাচ্ছে ফারজানা ভয়েস, আমার সাথে দুষ্টুমি করা মুহূর্ত গুলো আমার চোখে সামনে ভাসতেছে...। অতিসাধারণ একটা মেয়ে ছিলো ফারজানা তাহলে তাঁর হঠাৎ এমন কি হলো যার জন্য থাকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হলো.....
0 Comments