চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ১২ তম - Bangla Valobasar Golpo

Bangla Valobasar Golpo চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Romantic Valobashar Golpo


Bangla Valobasar Golpo, চাচাতো বোন যখন বউ, valobasar golpo, valobasar golpo bangla, bangla valobashar golpo, valobashar golpo, valobashar story, bengali new love story, New love story bangla
Bangla Valobasar Golpo, চাচাতো বোন যখন বউ


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ১২ তম


ফারজানা ছেলেদের কাপড় কেন নিয়েছে..? আমি আর এত কিছু না ভেবে ফারজানা শপিং করা দেখতেছি, প্রায় ঘন্টা দের ঘন্টা শপিং করলো, তার পরে একটা রেস্টুরেন্ট এসে দুইজনে নাস্তা করলাম...।

তাঁর পরে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম, আমি আমার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে রয়েছি, ফারজানা শপিং ব্যাগ এবং দুই টা কপি মখ আনলো...।

আমাকে একটা দিলো, আমি ও আস্তে আস্তে কপির মকে চুমুক দিচ্ছি, এই নাও এই খানে তোমার জন্য কাপড় নিয়েছি,এই গুলো পড়বে..?(ফারজানা)

আমার তো কাপড় আছে তাহলে কাপড় আনতে গেলে কেন..? তুমি না কথা বেশি বলো আমি যা বলছি তাই করবে, এখন ঘুমাও সকালে কলেজে যেতে হবে, আর হা কলেজে কেউ ডিস্টার্ব করলে আমাকে বলবে...!

আশা করি তোমাকে কেউ ডিস্টার্ব করবে না, কারণ তোমাকে আমার সাথে দেখেছে সেই জন্য আর হা কলেজে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবে না ...!
(ফারজানা) আমি ঘাড় এই পাশ ওই পাশ করে হা বললাম

মুখ নেয় মুখে কথা বলছো না কেন..?(ফারজানা) আমি ভয় পেয়ে গেলাম, ভয় পাওয়া ও কথ এই ভাবে কথা বললে কেমন হয় তা আপনারা বুঝতে পারছে, আমাকে আর বুঝাতে হবে অবশ্যই... হা হা হা হা😄😄😄

হুম ঠিক আছে বলবো না..! এই তো গুড বয় এখন ঘুমাও..। ফারজানা চলে গেছে..। আর আমার মোবাইলটা ও বন্ধ, সারা দিন মা বাবা কথা মনে পড়ে নাই, কারণ ব্যাস্ত ছিলাম, হয় তো বা তাই মনে ছিলো না...!😥😥😥

কিন্তু এখন মনটা খারাপ হয়ে গেছে, মা বাবা কথা অনেক মনে পড়তেছে, ফোনটা কি ওপন করে এক বার কল দিবো,🤔🤔🤔 না এটা করা ভালো হবে না, আম্মু আব্বু তো আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে,

মোবাইল থেকে সিমটা বের করে রুমে জানালা দিয়ে বাইরে পেলে দিয়েছে, ইচ্ছে করতেছে আর সিমটা ইউস করতে, এই সিমের হাজার ও আপন জনে নাম্বার ছিলো...।

সব চেয়ে বেশি কথা মনে পড়তেছে রাগিণী কথা, এক বার ও শুনতে চাই না..। এই যে মিস্টার রাশেল তুমি এত ভাবনার মধ্যে ডোবে আছো কেন..? এমন করে কি ভাবছো..? (ফারজানার ডাকে ঘোর কাটলো) কিছু না..??? হুম বুঝতে পেরেছি মা বাবা কথা মনে পড়তেছে তাই না...!

আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম..! মন খারাপ করো না, এই নাও সিম, ফারজানা আমাকে সিমটা দিলো কিছুক্ষণ মাথায় হাত বোলালো মেয়েটা মধ্যে জাদু আছে বলতে হয়, আমার খুবই ভালো লাগতেছে......।

মনে হচ্ছে হাজার ও বাটারফ্লাই আমার চুল ছোঁয়ে দিচ্ছে..। আমি চোখ বুঝে পেললাম...। কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো তখন নিজেকে ফারজানা কোলে মাথা রাখায় অবস্থায় আবিষ্কার করলাম,

ফারজানা আমার বুকে মুখ রেখে ঘুমিয়ে আছে, মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগতেছে, বলতে গেলে ফারজানা একদম ঘুম পরীর মতো লাগতেছে, যদি ও কখনো ঘুম পরীর দেখি নাই...!😍😍😍

মেয়েটা মনে হয় সারা রাত ঘুমায় নাই, মেয়েটাকে প্রথম দিনে কষ্ট দিয়ে পেললাম, আমি কি ফারজানা মায়া আঁটকে যাচ্ছি, না এটা করা হবে না, ফারজানাকে নিয়ে তাঁর মা বাবা অনেক স্বপ্ন ও থাকতে পারে, আমি একটা সাধারণ পরিবারে ছেলে আমি এই মাইকা চিপকায় আটকাতে চাই না,😶😶😶😶

তাঁর চেয়ে বড় কথা হলো,আমি রাগিণীকে ভালোবাসি, এখন রাগিণী আশা ও করা যায় না, হতে পারে তাঁর সাথে আর দেখা হবে, দেখা হলে তিন চারটা ছেলে মেয়েকে সাথে নিয়ে দেখা হবে,

হঠাৎ বুঝতে পারলাম ফারজানা নরাচড়া করতে, আমি তারাতাড়ি চোখ বন্ধ করে পেলাম, ফারজানা চোখ খুলে আমার কপালে একটা পাপ্পি দিলো, আমি ফারজানা পাপ্পি কপালে অনুভব করতে আমি শিউরে উঠলাম...।

আমি কোনো রকম চোখটা বন্ধ করে রাখলাম, তাঁর মানি কি ফারজানা আমাকে ভালোবেসে পেলেছে, না এটা হতে পারে না, এত তারাতাড়ি কি ভাবে সম্ভব,
এই রাশেল ওঠ, কলেজে যেতে হবে, আমি আস্তে আস্তে চোখ খুলে বললাম, আর একটু ঘুমায়..!

ফারজানা আমাকে তাঁর চোখে ইশারায় নিচে দিকে দেখিয়ে দিলো৷, আমি নিচে থাকিয়ে দেখলাম লাপ মেরে উঠে পড়লাম, সরি সরি...! না ঠিক আছে..?(ফারজানা) আসলে বাসায় ছোট আম্মি মেয়ের কোলে ঘুমিয়ে যেতাম তো, তাই তোমার কোলে ঘুমিয়ে গেছি..?

আচ্ছা ঠিক আছে এখন ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো..! ফারজানা হাসতে হাসতে চলে গেছে..। আমি ও ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে চেয়ারে বসলাম, ফারজানা আমার সামনে চেয়ারে বসলো..! আমি তাঁর দিকে একবার থাকিয়ে লজ্জায় মুখ নিচে নামিয়ে পেললাম...।

তাঁর পরে ব্রেকফাস্ট করে, দুই জনে কলেজে চলে আসলাম, ফারজানা আমাকে কলেজে নামিয়ে দিলো, দুপুরে তোমাকে নিতে আসবো, তুমি এই খান থেকে কোথাও যাবে না, মনে থাকবে তো..?(ফারজানা)

হুম মনে থাকবে..! তার পরে ফারজানা চলে গেছে, আমিও ক্লাস রুমে চলে আসলাম এক এক করে সব ক্লাস করলাম, দুপুরে ফারজানা এসে আমাকে তাঁর অফিসে নিয়ে গেছে..।

তাঁর পরে সব এস্টাপদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো, আমাকে একটা ড্রেক্সে বসিয়ে দিলো, ড্রেক্সেটা ফারজানা পাশে, কাজ করে বাসায় চলে আসলাম, এমন করে দুই বছর চলে গেছে, আমার পড়া লেখা ও শেষ হয়ে গেছে, এখন মনে হচ্ছে ফারজানা আমাকে ভালোবেসে পেছে...।

সকালে রুমে শুয়ে আছি, হঠাৎ ফারজানা এসে আমার কানে সুড়সুড়ি দিলো, আমি চোখ খুলে ধরতে যাবো তখন ফারজানা দৌড় একটু দূরে চলে গেছে পাড়লে আমাকে দরো..?(ফারজানা)

আমি যখন কম্বল থেকে উঠে দৌড় দিতে যাবো ভাই বিশ্বাস কর আর না কর, আমার নিচে ভাই একটা ও কা.......

Part 13

Post a Comment

0 Comments