Are you looking for Bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, Neglected boyfriend, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more
(অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড) |
গল্প_অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড
পর্ব_০১
লেখক_Ariyan_Ripon
এই এখন আমি উঠি আমাকে যেতে হবে..
যাবে মানে মাত্র তো ১০ মিনিট হলো আসলে আর এর মাঝে আবার চলেও যেতে চাচ্ছ??
হুম আমাকে যেতে হবে খুব বোরিং লাগে এইভাবে বসে থাকতে..তুমি থাকো আমি গেলাম.
এতোক্ষন কথা হলো সুজন আর আর রাবেয়া মাঝে..
কি ভাবছেন ঝগড়া হয়েছে তাই রাবেয়া এমন করছে??
না ভুল ভাবছেন..
আসলে রাবেয়া আচরণ পরিবর্তন এসেছে যখন থেকে তাড়া হাই স্কুল লাইফ ছেড়ে কলেজ লাইফে পা রাখলো..
রাবেয়া চলে যাবার পর সুজম একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে চেয়ে রইলো..
এখনকার রাবেয়া আর আগেকার রাবেয়ার মাঝে সুজন অনেক মিল খুঁজে পায় না..
দুই বছর হয়েছে তাদের রিলেশনের..
আর আপনারা সবাই জানেন ২বছরের একটা রিলেশন শুধু একটা রিলেশন না একটা সংসার হয়ে যায়..
রাবেয়া চলে যাবার প্রায় একঘণ্টা পর সুজন সেখান থেকে উঠে হাটা ধরলো..
রাস্তায় সেই হাফপ্যান্ট কালের বেস্টফ্রেন্ড মিরাজ সাথে দেখা..
কিরে শালা এতোবার কল দিছি তোর কোনো খোজ পাওয়া যায়না(মিরাজ)
সুজন তখন পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে মিরাজ মোট সাতবার ফোন দিয়েছে..
সরিরে দোস্ত পকেটে ছিলো বুঝতে পারিনি..
মিরাজঃ চুপ শালা মিথ্যা বলবি না,,রাবেয়ার সাথে কি আবার ঝামেলা হয়েছে নাক??
সুজনঃ-না তেমন কিছু না,,বল কেনো কল করেছিলি??
মিরাজঃ দোস্ত চল না নানু বাসা থেকে বেড়িয়ে আসি..আসলে মৌসুমি দেখা করতে যেতে বলছে.
সুজন/ শালা তাহলে নানু বাসায় থেকেই পড়ালেখা করলেই পাড়িস..
মিরাজঃ দোস্ত তুইও চলনা তোর আর আমার নানু বাসা তো এক জায়গাতেই এখানে না থেকে আমরা দুজন শৈলকূপা চলে যায়.?
সুজনঃ পাগল নাকি মাথা খারাপ আমি রাবেয়াকে দেখা ছাড়া থাকতে পাড়বো না,,তোর দরকার হলে তুই চলে যা.
মিরাজঃ না দোস্ত আমিও যাবো না,তা আজ না তোর রাবেয়ার আপুর সাথে দেখা করার কথা??
সুজনঃ দেখা করেই তো আসলাম,,আজ মন খুলে কথা বলেছি জানিস.রাবেয়া তো আমাকে ছাড়তেই চাইছিলো না..ভুলভাল বুঝিয়ে তারপর আসতে হয়েছে..
মিরাজঃ আরে বাহ তাহলে তো তোর খুশি থাকার কথা,,কিন্তু তোকে দেখে তো মনে হচ্ছে তোর মন একদম ভালো নেই..
সুজনঃকি করে ভালো থাকবে বল?কতদিন হলো তুই কোনো ট্রিট দেস না..
মিরাজঃ তোর মাথা মনে হয় নষ্ট হয়ে গেছে।মাত্র তো দুইদিন আগে তোকে পেট পুরে খাওয়ালাম
সুজনঃদোস্ত মাথা ব্যাথা করছে তাই এমন আবোল তাবোল বলছি আমি বাসায় চলে গেলাম..
মিরাজঃ আরে কি কারণে তোকে ফোন করেছিলাম সেটা তো শুনে যা??
সুজনঃ পরে শুনবো ভালো থাকিস..
সুজন চলে গেলো..আর মিরাজও
অন্যদিকে রাবেয়া সুজনের কাছ থেকে চলে যাবার পর
তার যে নতুন ফ্রেন্ড গুলো হয়েছে সেখানে চলে গেলো..
সুমি,নাজমুল, জনি,ও শুভ।
hei gays what's up??(রাবেয়া)
তোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম(শুভ)
এতোক্ষন লাগে আসতে?(সুমি)
রাবেয়াঃ আর বলিস না অই যে আছে না তার ছিঁড়াটা
ওর সাথে একটু দেখা করে আসতে হলো আর কি..
নাজমুলঃ ওয়েট ওয়েট তুই তার ছিঁড়া কাকে বললি?
রাবেয়াঃ কাকে আবার সুজনকে..
সুমিঃ কেনো সুজন ভাইয়া আবার কি করলো??
রাবেয়াঃ আর বলিস না যখন তখন দেখা করতে বলবে..আমার জাস্ট অসহ্য লাগে,,আমিও একটা মানুষ সারাদিন সুজনকে নিয়ে থাকতে হবে তার কোনো মানে আছে??
জনিঃ তো সেটা আমাদের না বলে যাকে বললে কাজে দিবে তাকে গিয়ে বল না..
রাবেয়াঃকাকে বললে কাজে দিবে?
জনিঃকাকে আবার তোর তার ছিঁড়া বয়ফ্রেন্ড কে।
রাবেয়াঃ হ্যা এইবার তাই বলতে হবে..কথাটা বলা মাত্রই রাবেয়ার ফোনে কল আসলো..
ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে খুবই বিরক্তিবোধ নিয়ে বললো দেখ দেখ মাত্র ৩০ মিনিট আগে দেখা করে আসলাম এর মাঝে আবার ফোন করেছে..।
সুমিঃআরে ফোন যখন করেছে কথা বলনা।
রাবেয়া কল রিছিভ করলো..
সুজনঃহ্যালো.
রাবেয়াঃহুম বলো কি বলবে।
সুজনঃ কি করো বাসায় পৌছিয়েছ তো??
রাবেয়াঃ আমি এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি তুমি সেটা ভুলে যেও না..আর শুনো আমি এখন হাওয়া খাচ্ছি..সো আমাকে শান্তিমত হাওয়া খেতে দাও আমাকে একদম এখন ডিস্টার্ব করবা না..এই বলে রাবেয়া ফোন কেটে দিলো..
মাথা খারাপ করে দিলো..সারাদিন ধরে ফোন করবে..কি করো খেয়েছ কিনা..ঘুমাবে কখন গোসল করবে কখন??যতসব আজগুবি প্রশ্ন করে..
সুমিঃ আরে তোকে ভালোবাসে বলেই তো এতো কেয়ার নেই..জানিস আমার বয়ফ্রেন্ড সারাদিনে আমাকে একবার ফোন দেয়না..আর সেখানে সুজন ভাইয়া তোকে কিছুক্ষন পর পর ফোন দিয়ে এতো কিছু জিজ্ঞাস করে?আরে এমন বয়ফ্রেন্ডকে তো মাথায় করে রাখা উচিত
রাবেয়াঃ কেয়ার না ছাই আমার লাগবে না এমন কেয়ার..আমি এখন বড় হয়েছি নিজের ভালো আমি নিজে বুঝতে পারি..আর তোরা কি শুরু করেছিস বল তো..ওর কাছে যাবার পর খুব বোরিং লাগছিলো তোদের সাথে আড্ডা দিতে আসলাম মনটাকে একটু রিফ্রেশ করতে,,কিন্তু তোরা সেই ওর কথা নিয়েই পরে আছিস??
সুমিঃসরি দোস্ত..আয় সবাই মিলে জমিয়ে আড্ডা দিবো।।
সবাই আড্ডায় মেতে উঠলো..
অন্যদিকে সুজন রাবেয়ার এমন ব্যাবহারে খুব কষ্ট পেয়েছে..
ওয়াশরুমে গিয়ে পানির কল ছেরে দিয়ে অনেকক্ষণ কান্না করেছে,,,কেনোই বা করবে না যাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসে তার এমন হঠাৎ পরিবর্তন যে কেও মেনে নিতে পারবে না..কলের নিচে দাঁড়িয়ে সুজন কান্না করেই যাচ্ছে..কিন্তু রাবেয়া একদিন বলেছিলো কোনো দিন সে সুজনকে কষ্ট পেতে দিবে না,,কিন্তু আজ রাবেয়া নিজেই সুজনের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে..প্রায় ১ঘন্টা গোসল করলো..
তারপর ওয়াশরুম থেকে বের হলো..
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে আম্মু দাঁড়িয়ে আছে..
আম্মুঃকিরে এতোক্ষন লাগে গোসল করতে??
আমিঃআসলে আম্মু শরীরে একটু বেশি ধুলো লেগে গেছিলো তাই একটু বেশি গোসল করলাম..
আম্মুঃআচ্ছা নিচে চল খেতে দিচ্ছি..
আমিঃআম্মু তুমি যাও আমি একটু পরেই আসছি..
আম্মুঃতাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু
আম্মু চলে গেলো..
এই ফাকে সুজন আবার রাবেয়াকে ফোন দিলো..
রাবেয়াঃদেখ দেখ এই পাগল আবার ফোন দিছে কেমন লাগে ঘন্টার মধ্যে এতোবার ফোন দিলে
রাবেয়াঃহ্যালো আবার কেনো ফোন দিলা??
সুজনঃ খেয়েছ তুমি??
রাবেয়াঃএই তোমাকে তখন বলেছি না আমি হাওয়া খাচ্ছি তাহলে আবার কেনো ফোন দিলে??
রাবেয়া অনেকটা রাগ নিয়েই ফোন কেটে অফ করে রাখলো..২ঘন্টার মত আড্ডা দিয়ে বাসায় পৌছালো..
রাবেয়া খেয়ে ফোন অন করে সুজনকে ফোন দিলো..
ফোন ধরেই সুজন বলতে শুরু করলো।
সুজনঃএই তোমার ফোন এতক্ষণ অফ কেনো ছিলো?তুমি ঠিক আছো তো
রাবেয়া আবার বিরক্ত হতে লাগলো..
রাবেয়াঃআসলে ফোন অফ হয়ে গিয়েছিলো তো তাই বন্ধ পায়ছিলে..
সুজনঃআচ্ছা কি কর?রাতে খেয়েছ?
রাবেয়াঃহ্যা খেয়ে শুয়ে পড়লাম..তুমি খেয়েছ
সুজনঃহ্যা খেয়েছি
রাবেয়াঃআচ্ছা আমার খুব ঘুম পাচ্ছে এখন রাখি!!
সুজনঃআর একটু কথা বলি না
রাবেয়াঃআচ্ছা ৫মিনিট এর বেশি আমি পাড়বো না..
৫মিনিট কথা বলে রাবেয়া লাইন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো..
কিন্তু সুজনের চোখে ঘুম নেই..চোখ দিয়ে সমানে পানি পড়ে যাচ্ছি..
কিছুদিন আগে কথা বলতে বলতে রাত ১২টা ১টা বেজে যেত সেইদিন গুলোর কথা মনে পড়তেই কান্না চলে আসে..
কিন্তু রাবেয়া হঠাৎ কেনো এমন করছে..
রাবেয়া নিজেই তো এসেছিলো সুজনের জীবনে..
নিজেই কাছে টেনে নিয়েছিলো আর সেই এখন এমনভাবে দূরে চলে যাচ্ছে
রাবেয়া ঘুমিয়ে গেছে অনেকক্ষণ হয়ে গেছে কিন্তু সুজনের চোখে কোনো ঘুম নেই..
কান্না করেই যাচ্ছে রাবেয়ার পরির্বতন সুজন কিছুতেই মেনে নিতে পাড়ছে না..
রাত প্রায় ২টা বেজে গেছে কিন্তু সুজন কান্না থামছে না..ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে..মনে মনে ভাবছে এই হয়তো রাবেয়া ফোন দিয়ে বলবে এই তুমি কান্না করছো কেনো?আর এতো রাত জেগে আছো কেনো?তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাও..কিন্তু এখন এইসব কিছু শুধু মাত্র ভাবনাতেই থাকবে...
রাত ৩টা তখন ঘুম এসে চেপে ধরেছে সুজনকে..
ঘুমিয়ে গেলো..
আবার সকালে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে গেলো..
কারণ প্রথম প্রেম কিছু কিছু অভ্যাস তৈরি করে দেয় যার মধ্যে অন্যতম একটা হলো নিয়মিত স্কুল/কলেজে উপস্থিত থাকতে শেখায়..
সুজন রুম থেকে বের হয়ে ফোন হাতে ছাদে চলে গেলো..
রাবেয়াকে ফোন দিলো..
সুজনঃহ্যালো গুড মর্নিং
রাবেয়াঃমর্নিং
সুজনঃকেমন আছ?
রাবেয়াঃহ্যা ভালো আছি!তুমি কেমন আছ?
সুজনঃহুম আমিও ভালো আছি..
রাবেয়াঃ কি করো?
সুজনঃএইতো ছাদে দাঁড়িয়ে তোমার সাথে কথা বলছি..তুমি?
রাবেয়াঃ আমি তো তোমার মত ভিতু না তাই রুমেই শুয়েই তোমার সাথে কথা বলছি..আচ্ছা এখন রাখি
এখন উঠে ফ্রেশ হবো খাবো তারপর কলেজে যাবো..
সুজনঃ আচ্ছা বাই তাহলে।
রাবেয়াঃ হুম বাই
আগে হতো ১ঘন্টা এখন হয় ৫ মিনিট
সুজন ছাদ থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলো.
আম্মু খাবার বেড়ে দিচ্ছে..
আম্মুঃকিরে সুজন তোর চোখ অমন ফোলা কেনো??
সুজনঃ না মানে আম্মু এমনি..
আম্মুঃএমনি না কেনো জলদি বল
সুজনঃআসলে স্যার কিছু পড়া দিয়েছে তাই পড়াগুলো শেষ করছিলাম..
আম্মুঃতাই বলে রাত জেগে,,পড়বি ভালো কথা কিন্তু বেশি রাত অবধি পড়ার দরকার নেই..
সুজনঃআচ্ছা আম্মু আমি গেলাম..লেট হয়ে যাচ্ছে..
আম্মুঃযাবি মানে,,কিছুই তো খেলি না
আমার পেট ভরে গেছে আম্মু আমি গেলাম.
আম্মুঃআরে আজ তো টাকা নিলি না যাবি কিভাবে?
অহ হ্যা আম্মু ভুলেই
গেছিলাম দাও আম্মু টাকা দাও..
আম্মুঃআচ্ছা তোর হয়েছেটা কি বলবি একটু এমন করছিস কেনো?তোকে দেখে মনে তুই তোর মধ্যে নেই..
আম্মু আমার কিন্তু দেড়ি হয়ে যাচ্ছে.।
আম্মু সুজনের হাতে টাকা ধরিয়ে দিলো.
সুজন অনেকটা দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেলো.
কলেজে যাবার পর রাবেয়াকে খুঁজতে লাগলো..
অনেক খুঁজে রাবেয়াকে পাওয়া গেল..
আমি/এই রাবেয়া তুমি এখানে??আর আমি তোমাকে সারা কলেজ খুবে বেড়াচ্ছি
রাবেয়াঃতো আমি কি করবো?আমি কি তোমার পেছন পেছন ছুটবো নাকি?
আমি/এইভাবে বলছ কেনো?তোমাকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করছিলো তাই তো
রাবেয়া/ তাই তো কি?শুনো এইভাবে আমার পেছন পেছন ঘুরবে না বলে দিলাম..!স্কুলে ঘুরেছ সেটা ঠিক ছিলো..কারণ ছোট একটা যায়গার মধ্যে ছিলাম..কিন্তু এখন অনেক ছাত্র ছাত্রী আমাদের এমন কর্মকান্ড দেখে সবাই কি ভাববে বলো তো?
সুজনঃকিন্তু আমার তো তোমাকে…………
রাবেয়াঃতোমার আমাকে না দেখলে ভালো লাগে না তাই তো..
সুজনের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে এই উত্তর দিলো রাবেয়া..শুনো সুজন আর কতবছর বাচ্চা থাকবে বলো তো??তোমার এই বাচ্চা বাচ্চা আচরণ কি কোনো দিন যাবে না..আর আমাকে না দেখে যদি থাকতেই না পারো রুমে বড় করে আমার একটা ছবি টাঙিয়ে রেখো...অহ তোমার তো আবার সেই সাহস নেই..কারণ তুমি একটা বাচ্চা না.
সুজনঃকিহ আমি বাচ্চা?চোখে জল এসে ভর করেছে.
রাবেয়াঃহ্যা একটা বাচ্চা তা নাহলে সেই স্কুল লাইফের মত আচরণ গুলো এখনো করতে পাড়তে না..!শুনো সুজন তোমাকে এই কথা গুলো বলতে আমারো ভালো লাগছে না,,কিন্তু সুজন তোমাকে বুঝতে হবে এখন আমরা আর হাই স্কুলে পড়ি না,,আমরা এখন কলেজে পড়ি..!
সুজনঃভালোবাসা কি কখনো স্কুল কলেজ ভার্সিটি দিয়ে হয়..যদি তোমার কেয়ার নেওয়ার মনে হয় আমি বাচ্চাদের মত আচরণ করছি তাহলে ঠিক আছে আমি বাচ্চা..যদি তোমাকে দেখার জন্য ছটফট করার জন্য আমি বাচ্চা হই তাহলে সেটাও ঠিক আছে আমি বাচ্চা..
হ্যা আমি বাচ্চা আমি বাচ্চা কান্না করতে করতে কথাগুলো বলতে বলতে সেখান থেকে চলে গেলো সুজন....?
সুজন চলে যাবার পর রাবেয়া ভাবছে যাক বাবা এতোক্ষনে তার ছিড়াটা তাহলে গেল..মাথাটা খারাপ করে দিয়েছিলো..রাবেয়া হাসি মুখে ক্লাসে চলে গেলো।।সারা ক্লাসে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো না তার ছিঁড়াটা ক্লাসে নেই..আজ শান্তিমত ক্লাস করা যাবে.ক্লাসে থাকলে।কিছুক্ষণ পর পর তাকাতো খুব বিরক্ত লাগতো আর ভালোভাবে ক্লাস করতে পাড়তাম না..
সুজন তখন সেখান থেকে চলে গিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছিলো..
কেও নেই আজ তারপাশে.
খুব একা লাগছে..মিরাজ শালা তো কাল চলে গেছে প্রেমিকার লগে দেখা করতে..
হাটতে হাটতে বাসার সামনে চলে এসেছে সেটা খেয়ালও করেনি।
বাসা অতিক্রম করছে তখন পেছন থেকে আব্বু ডেকে বলে কিরে সুজন নিজের বাসা কোনটা সেটাও ভুলে গেছিস নাকি?
আমিঃহ্যা আপনি কিছু বললেন??
আব্বুঃআরে তুই আমাকে আপনি করে বলছিস কেন??
আমিঃঅহ আব্বু সরি খেয়াল করেনি,,
আব্বুঃতোর খেয়াল থাকে কোন দিকে হুম,
বাসা অতিক্রম করে চলে গেলি..পেছন থেকে ডাকলাম আপনি করে বললি?হ্যারে বাবা তুই ঠিক আছিস তো?
সুজনঃআব্বু কিছুদিন ধরে মাথা খুব ব্যাথা করে
আব্বুঃসেকিরে তাহলে চল তোকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাই..
সুজনঃনা আব্বু আমি ঠিক আছি,,চলো বাসার ভেতরে চলো
আব্বুঃতুই ভেতরে যা আমি বাজারে যাচ্ছি
দিনগুলো এমনভাবেই কাটতে লাগলো..
যতদিন যাচ্ছে সুজনকে ততবেশি অসহ্য লাগছে,,
আগে রাবেয়া নিজে থেকে কল দিলেও এখন রাবেয়া নিজে থেকে কখনো সুজনকে ফোন দেয় না..
সুজন দিলেও রাবেয়া বেশি কথা বলে না..
রাতে সুজন কল করছে রাবেয়াকে,,
কিন্তু ফোন ওয়েটিং
৩০ মিনিট হতে চললো ফোন ওয়েটিং ওয়েটিং ওয়েটিং
১ঘন্টা পর সুজন আবারো রাবেয়াকে কল করলো..
রাবেয়াঃহুম বলো
সুজনঃকার সাথে কথা বলছিলে এতোক্ষন ধরে??
রাবেয়া;আমার একফ্রেন্ডের সাথে.
সুজনঃফ্রেন্ড মানে?নাম কি তার?
রাবেয়াজনি সাথে কথা বলছিলাম..
আমিঃআমি এতোক্ষন ধরে কল করে যাচ্ছি সেটা দেখোনি??
রাবেয়াঃহুম দেখেছি তো?
আমিঃতাহলে ধরলে না কেনো?
রাবেয়াঃধরার প্রয়োজন মনে করেনি তাই ধরেনি..আর জনির সাথে আমার ইম্পরট্যান্ট কথা ছিলো..
সুজনঃকিহ আমি কল করছি সেটা দেখেও বলছো ধরার প্রয়োজন মনে করো নাই..আবার বলছো জনির সাথে কথা ছিলো..কে জনি কোন জনি
আরে দুইদিনের পরিচয়ে তার সাথে এতো ইম্পরট্যান্ট কথা??
রাবেয়াঃএই তুমি যখনি ফোন দাও শুধু বকবক করো কেনো?
তুমি কি ভাবছো তোমাকে ছাড়া কি আর কারো সাথে আমার কোনো কথা থাকতে পারেনা.
সুজনঃআমি তো সেটা বলেনি কারো সাথে তোমার কথা থাকতে পারেনা বা থাকবে না..কিন্তু তাই বলে তুমি আমার সাথে কথা না বলে বন্ধুদের সাথে কথা বলবে??
রাবেয়াঃহ্যা বলবো,,তাতে যদি তোমার কোনো সমস্যা হয় আমাকে আর ফোন দিও না কেমন..
রাবেয়া এমন কথা শুনে সুজনের চোখ আবার জলে ভরে উঠলো.কিন্তু সেটা রাবেয়াকে বুঝতে না দিয়ে বললো রাবেয়া তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমাকে ফোন দিবো না।আমি তোমাকে ফোন না দিয়ে থাকতে পাড়বো না..
রাবেয়াঃআচ্ছা এখন রাখি বাই..
সুজনকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই রাবেয়া কল কেটে দিলো.কল কাটার সাথে সাথে সুজনের নাম্বার ব্লাক লিস্টে দিয়ে রাখলো..কারণ রাবেয়া খুব ভালো করে জানে সুজন আবার কল দিবে।।
সুজন ট্রাই করছে কিন্তু ব্যাস্ত পাচ্ছে..সুজনের আর বুঝতে বাকি নেই রাবেয়া তার নাম্বার ব্লাক লিস্টে দিয়েছে......?
(কিছু ভালোবাসা এই ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়)
চলবে তো..........?
0 Comments