চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ১১ তম - Heart Touching Love Story Bangla

Heart Touching Love Story Bangla চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Bangla Romantic Love Story


Heart Touching Love Story Bangla, চাচাতো বোন যখন বউ, bangla heart touching love story, heart touching love story in bengali, bengali heart touching romantic love story, heart touching story in bengali
Heart Touching Love Story Bangla, চাচাতো বোন যখন বউ


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ১১ তম


আমরা দুই জন গাড়ি থেকে নেমে, ওই বাসাটার দিকে হাঁটা দিলাম..। আমি চুপচাপ হাঁটতেছি হঠাৎ ফারজানা থেমে গেছে...! আমি ও ফারজানাকে দেখে থেমে গেলাম....।

হঠাৎ ফারজানা আমার কাছে এসে আমার হাতটা শক্ত করে ধরলো..। আমি ফারজানা কর্ম কাণ্ড দেখে অবাকক হচ্ছি..! আমি কিছু বুঝতে পারছি না..৷ আমি কি এই শহরে নতুন তাই ফারজানা এমন করতেছে

নাকি ফারজানা আমাকে ভালোবেসে পেলেছে, ধ্যত ভালোবাসবে কি করে মাত্র তো ফারজানা সাথে কালকে রাতে দেখা হয়েছে...। কিন্তু ফারজানা এতটুকু কম সময়ে কি ভাবে ভালোবাসবে...।

হয়তো বা আমি এই শহরে নতুন তাই আমার সাথে এই রকম আচরণ করতেছে..। এই কি হলো তুমি এত কি ভাবছো..?(ফারজানা) আমার ফারজানা ডাকে ঘোর কাটলো....! না কিছু না..।

আমরা বাসার ভিতরে চলে আসলাম..? বাসার ভিতরে বেশ সুন্দর করে সাজানো হলো..। কি ফারজানা আসতে এতক্ষণ লাগলো.? (ফারজানা বান্ধবী নুসরাত এসে বললো)

এই তো পাশে এটা কে..? তোকে তো কোনো দিন ও ছেলেদের পাশে দেখি নাই..? তুই তো ছেলে মানুষকে ঘৃণা করিস, তাহলে এটা কে...?(ফারজানার বান্ধবী ইরা)ও হচ্ছে রাশেল কালকে রাতে রাশেলের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে..?

তা ছাড়া তাঁর আরো একটা পরিচয় আছে..? আমরা সবাই রাশেল মাহাম্মুদ নীলয় নামে একটা পেইজে গল্প পড়তাম না, ওই পেইজটা মালিক হলো এই রাশেল..?
কি তুই সত্যি বলছি, আমার তো বিশ্বাস ও হচ্ছ না..!

নাবিলা আমার কাছে এসে একদম গায়ে লেগে দাঁড়ালো, আর ফারজানা তা দেখে রাগে ফুলতেছে..।
এই নাবিলা কি করছি এই দিকে এসে দাঁড়া, না হলে তোর খবর আছে বলে দিলাম..?(ফারজানা রেগে বললো)

নাবিলা ফারজানা কথা শুনে ভয়ে চুপসে গেছে, আমার কাছ থেকে সরে অন্য পাশে চলে গেছে..। রাশেল প্লিজ তোমার সাথে একটা পিক নিয়..? আসলে..আমাকে আর বলতে না দিয়ে ফারজানা বললো।

কোনো পিক টিক হবে না, চল সবাই লাঞ্চ করবো..?
কিন্তু এখন ও তো দুপুরে আজান দেয় নাই..। (ইরা) তাহলে আমরা দুপুরে আজানের জন্য বসে থাকবো..?(ফারজানা)

রাগ করছিস কেন, চল তারপরে সবাই লাঞ্চ করলাম..।
আমার কথা কি বলবো, আমি তো চুপ করে থাকছি সারাক্ষণ, ফারজানা রাগ দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম...।

তারপরে ফারজানা তাঁদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়েছে, আসার সময় সবাই আমার সাথে পিক তোলতে চেয়েছে..। কিন্তু ফারজানা উঠাতে দেয় নাই, তাতে আমার ভালো হয়েছে, তাঁরা পিক উঠিয়ে ফেসবুকে দিলে আমার মান সম্মান সব কিছু চলে যাবে

কি হলো তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন..?(ফারজানা আমাকে বললো) আমি কোনো কথা না বলে গাড়িতে উঠলাম..। ফারজানা ও উঠলো..?

আমি গাড়ি ড্রাইভ করতেছে, কিছুক্ষণ চালানো পরে বললো..। গাড়ি দাঁড় কারো..?(ফারজানা) আমি ও দাঁড় কারলাম....! কিন্তু এই ঘন জঙ্গলের পাশে গাড়ি কেন দাঁড় করালো..?

আমার মাথায় তো কিছু আসতেছে না, ফারজানা ভয়ে ও কিছু বলতে পারছি না, কি যে বলি, কোনো রকম ভয়ে ভয়ে বললাম, এই জঙ্গলের মাঝে গাড়ি কেন দাঁড় করাতে বললে..?

ফারজানা আমার দিকে বড় বড় চোখে থাকিয়ে বললো..? গাড়ি থেকে নামো..? আমি ও ফারজানা কথা মতো গাড়ি থেকে নামলাম..! ফারজানা ওই দিক দিয়ে ঘুরে এসে বললো..?

ওদের সাথে তুমি পিক নিতে চেয়েছো কেন..?(ফারজানা আমার কলার ধরে বললো) আমি কখন তাদের সাথে পিক নিতে চেয়েছি তাঁরা তো আমার সাথে পিক নিতে চেয়েছে..?

হুম সব বুঝি, আজকে পর থেকে যদি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলো তাহলে অনেক খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম, হুম এখন গাড়িতে গিয়ে বসো..? আমি ও গাড়িতে গিয়ে বসলাম..?

কোনো কথা না বলে ড্রাইভ করতেছি, ফারজানা ও কোনো কথা বললো না..। আমি দেন ভেঙ্গে বললাম..।
এখন কোথায় নিয়ে যাবো...? কলেজে নিয়ে যাও..?
তাঁর পরে কলেজে নিয়ে আসলাম, গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতেছি..।

আপু কেমন আছো..?( এক দল মেয়ে এসে বললো) হুম ভালো আছি..তোমরা সবাই কেমন আছ..? হুম আমরা ও ভালো আছ,(সবাই বললো) তো এখন কি কলেজে কেউ ডিস্টার্ব করে..? না আপু করে না..?

তো আজকে কি ক্লাস হচ্ছে না..? না আপু, আচ্ছা ভালো ভাবে পড়া লেখা করো..! তাঁর পরে মেয়ে গুলো চলে গেছে, আমি হা করে দেখে যাচ্ছি, আর শুনে যাচ্ছি...?😯😯😯

কিছুক্ষণ পরে আরেক দল ছেলে আসলো..! আপু কেমন আছো..? হুম ভালো আছি,তোরা কেমন আছি..? আপু আমরা ভালো নেই..?(তাদের মধ্যে একটা ছেলে বললো)

কেন কি হয়েছে..? আপু টিনা আমাদেরকে প্রতিদিন ডিস্টার্ব করে..!(ওই ছেলেটা) কি তাঁর এত বড় সাহস আমাদের কলেজে আবার বখাটি ব্যাগ্টি শুধু করছে..! সেই এখন কোথায়..?

সেই ক্যান্টিনে আছে আপু..! চল আজকে তাঁর শাস্তি করবো..? ফারজানা ক্যান্টিলে চলে আসছে..? তার পরে একটা হকি স্টিক নিয়ে এবং টিনাকে ইচ্ছে মতো মার ধর করলো..? তাঁর পরে টিনাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলো..!

এখন আমি যাই পরে কথা হবে, আর যদি কেউ তোমাদেরকে ডিস্টার্ব করে তাহলে আমাকে এসে বলবে, তাঁর পরে দুই জন্য সারা শহর ঘুড়লাম,
মাগরিবের পরে শপিং করতে আসলাম..।

তোমার কি কি লাগবে..? আমার কিছু লাগবে না, তবে আমার একটা সিম লাগবে..! সিম বাসায় আছে আমি রাতে দিয়ে দিবো..। তাঁর পরে ফারজানা শপিং করলো,আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না ফারজানা ছ........

Part 12

Post a Comment

0 Comments