Romantic Love Story Bangla বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Bangla Love Story


বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ, Romantic Story, bangla romantic story, romantic story bangla, romantic golpo bangla, bangla romantic golpo, New romantic story, bangla story book
বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ, Romantic Story


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২১ তম


কি হলো তুমি চুপ করে আছো কেন..? এখন ও ফারজানা চুপ করে আছে, আরে আশ্চর্য ব্যাপার তুমি কথা বলছো না কেন..? আমাকে পাপ্পি খেতে দাও নাই কেন..? তুমি কি ছোট্ট বাচ্চা যে তোমাকে পাপ্পি খেতে দিবো...!

হু্ সেই জন্য তো তোমার সাথে কথা বলছি না, আরে বাবা রাগ করো না। পরে না হয় দুইটা খেয়ে নিও..?
সত্যি তো..?(খুশি হয়ে বললো ফারজানা) হুম সত্যি..।

তাঁর পরে আমি গাড়ি ড্রাইভার করতেছে, ফারজানা নানান কথা বলতেছে..। আমি চুপ করে শুনতেছি..। কিছুক্ষণ কথা বলার পরে ফারজানা ঘুমিয়ে গেছে..। দরজায় এলাম দিয়ে, আমি তার দিকে ফিরে দেখলাম,

তাঁর মুখে চুল গুলো চলে আসছে, আমি আসতে করে তাকে আমার দিকে এনে আমার কাঁদে তাঁর মাথাটা দিয়ে দিলাম, সেই ঘুমের ঘোরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো, তার দুই হাত দিয়ে...।

অতঃপর তিন ঘন্টা ড্রাইভার করে বাসায় চলে আসলাম, ফারজানা গাড়ি থেকে নেমে বাসায় চলে গেছে আমি গাড়িটা পার্ক করে বাসায় ঢোকলাম, বাসায় ঢুকে আমি অবাককক, আব্বু আম্মুর সাথে প্রায় সাত আট জন লোক বসে আছে..।

আমি চাবিটা পকেটে নিয়ে তাঁদের সামনে গিয়ে সালাম দিয়ে শুধু আমার রুমে এসে লক দিয়ে দিলাম, তাঁর পরে বাথরুমে ঢোকে গোসল করলাম..।

কিছুক্ষণ পরে ফারজানা এসে ডাক দিলো...। আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম, তুমি এতক্ষণ কি করছো.??
আমি আবার কি করবো৷ গোসল করেছি আর কি..!
চলো নিচে মামা মামি আছে, আরো অনেকে আছে,

চলো তোমাকে পরিচয় করে দিয়..? আমার না খুব কান্ত লাগতেছে, একটু বিছলাম নিয়..। তাঁরা তো আর এখন চলে যাচ্ছে না, পরে না হয়, পরিচয় হবো..?

মুঠে ও না এটা ভালো দেখায় না, চলো এখন আমার সাথে, আর তোমাকে না এই ড্রেসে অনেক সুন্দর লাগতেছে, বলতে গেলে আমি তোমার উপর ক্রাশ খেয়ে পেলেছি...।( হায় আল্লাহ এটা কেমন মেয়ে লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই, মুখে যা আছে, তা বলে দেয়)

আমার না এখন তোমাকে একটা.. হঠাৎ আমি দেখতে পেলাম পিছনে একটা মেয়ে আসতেছে...। আমি দৌড়ে ফারজানা মুখ চিবে ধরলাম..। আর কিছু বলতে না দিয়ে...।

আমি ফারজানা কানে কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললাম, তোমার কি লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই, পিছনে একটা মেয়ে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাঁর কি খবর আছে..? ফারজানা তাঁর মুখ থেকে হাতটা ছাড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখলাম তার মামাতো বোন ইরা দাঁড়িয়ে আছে...।

আরে ইরা তুই এই খানে..? না মানি ভাইয়াকে দেখতে আসলাম..!(ইরা) কেমন আছো ইরা..? হুম ভাইয়া ভালো আছি..তুমি কেমন আছো..?(ইরা) এই তো আমি ও ভালো আছি..।

তো ভাইয়া তুমি কি করো..?(ইরা) এই তো আব্বু অফিসে জয়েন্ট হয়েছি..। ও ভালো আমাদের সাথে কিন্তু তোমাকে যেতে হবে, ঘুড়ার জন্য আপু ও যাচ্ছে না অনেক দেরি হচ্ছে...।

আপু ভাইয়া সাথে কিন্তু যাবে..?(ইরা) কিন্তু তোর ভাইয়া তো যেতে পারবে না..! আমি ফারজানা দিকে অবাকক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছি..। কেন আপু যেতে পারবে না কেন..?(ইরা) তোর ভাইয়ার বন্ধুর বিয়ে কয়েক দিন পরে,

তাঁকে ওই খানে যেতে হবে..। ও বাঁচলাম, আমি তো অন্য কিছু বলবে মনে করছি, এই মেয়েটাকে এখন ও বুঝতে পারলাম না..। দুইটা বছর তাঁর সাথে কাটিয়েছি, কিন্তু থাকে চুল পরিমান ও চিনতে পারি নাই...।

মেয়েটা বেশ অদ্ভুত, বেশ সঞ্চয় সব সময় দুষ্টুমি করে, কিন্তু অভিমানের বরাদ্দ, ও কিন্তু বিয়ে পরে নিয়ে যাবে আপু...?(ইরা) আচ্ছা নিয়ে যাবো, এখন মামা মামি, নীলাদ্রি রুপমা কোথায়...।

তাঁরা সবাই নিচে আছে, আচ্ছা আমি যাই তোমরা আসো..। তাঁর পরে ইরা চলে গেছে..। এই নিচে আমার মামাতো বোন আছে, তাঁদের সাথে বেশি মিশবে না..।
এখন আমার সাথে নিচে চলো..(ফারজানা আমার হাত ধরে রুম থেকে বের করে সিঁড়ি দিয়ে নামাচ্ছে...।

নিচে বসে থাকা সবাই আমাদের দিকে হা করে থাকিয়ে আছে..। আমি তো লজ্জা পরে গেছি, আঙ্কেল আন্টি হাসতেছে...! নিচে এসে আমি আন্টি পাশে গিয়ে বসলাম...।

ফারজানা আঙ্কেল পাশে গিয়ে বসলো...। নীলা তোকে এর কথা বলেছিলাম..। এই হলো রাশেল, এই ফারজানাকে বাঁচিয়েছে,কেমন আছো রাশেল..?(খালো) জ্বি ভালো আছি, খালো তুমি কেমন আছো..?
এই তো আমি ও ভালো আছি,

তাঁদের সাথে বসে গল্প করলাম, তাঁর পরে সবাই বসে রাতের ডিনার করলাম..। আমি আমার রুমে এসে বসে বসে টিভি দেখতেছে, হঠাৎ মনে হলো ছাঁদে যাচ্ছি না,প্রায় অনেক দিন হয়ে যাচ্ছে...।

তাঁর পরে টিভিটা বন্ধ করে দিয়ে, বালিশের তলায় থেকে পিস্তল টা নিয়ে ছাঁদে চলে আসলাম,পিস্তল টা ওই খানে রাখা ভালো হবে না, তাই সাথে করে নিয়ে আসলাম...।

ছাঁদে এসে দোলনায় বসে বসে চাঁদে জোৎস্মা উপভোগ করতেছি, আজকে চাঁদ টা বেশ সুন্দর লাগতেছে, তাঁরা ভরা আকাশ, আমি যেনো কোনো প্রদীপ রাজ্যে ভ্রমণ করতে আসছি..! আজকে আমার নিজেকে সুখী সুখী লাগতেছে..।

হয়তো বা মা বাবাকে দেখতে পেয়েছি সেই জন্য এমন সুখী লাগতেছে, মনটা তো ও কিছু একটা চাই,
এখন ও কিছু একটা পিছুটান আছে মনে হয়...।

কথা গুলো ভাবতেছি হঠাৎ পিছনে থেকে কেউ একজন বলে উঠলো, আজকে চাঁদ টা না অনেক সুন্দর লাগতেছে তাই না......

Part 22