Romantic Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৪) Love Story
Are you looking for Bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more
![]() |
(অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৪) |
গল্প_অবহেলিত_বয়ফ্রেন্ড
পর্ব_০৪
লেখক_Ariyan_Ripon
সুমিঃশুন রাবেয়া কেও যদি নিজে থেকে হারিয়ে যায় তাকে খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট হয়..
রাবেয়াঃতাহলে আমি কি করবো বলতে পারিস??
সুমঃএখন তোর হাতে আর কিছুই নেই,,যদি কোনো দিন সুজন ভাইয়া ফিরে আসে তাহলেই পাবি.
রাবেয়াঃ তোর কথার মানে কি হুম?সুজন আমার কাছে ফিরে আসবে না মানে ওকে আসতেই হবে..
সুমিঃএই জোর আর ভালোবাসা যদি সুজন ভাইয়া থাকতে দেখাতিস তাহলে তোকে আজকের এই দিনটা দেখতেই হতো না..
রাবেয়াঃহ্যারে সত্যি বলছিস তুই!!
সুমিঃ আচ্ছা এমন করে মন খারাপ করে বসে থাকিস না,,আর শুন রুমের মধ্যে না থেকে একটু বের হোস..
রাবেয়াঃ আমার বাইরে বের হতে ভালো লাগে না,,আগে ওরর সাথে কত ঘুরতাম ফিরতাম এখন সেই সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে,,বাইরে বের হলেই আমার সেই দিন গুলোর কথা মনে পরে..
সুমিঃ দোস্ত আমি আজ যাইরে,,ও যদি যানে আমি বাসার বাইরে এতোক্ষণ ছিলাম খুব রাগ করবে রে?
রাবেয়াঃআচ্ছা যা,,,
সুমি যতক্ষণ ছিলো ততক্ষণ একটু হলেও কষ্ট কম হয়েছে,,কিন্তু সুমি চলে যাবার পরেই আবার সুজনের কথা মনে পড়ছে কষ্ট গুলো থার্মোমিটারের পারদের মত বেড়ে যাচ্ছে,,
সুজনঃমামি ও মামি আমার ক্ষুধা লাগছে খেতে দাও জলদি..
মামিঃআরে মাত্র তো কলেজ থেকে ফিরলো ফ্রেশ হয়ে আয়..
সুজনঃআমার ক্ষুধা লাগছে তাড়াতাড়ি খেতে দাও,,
সুখিঃআর আম্মু আমাকেও দিও আমারো খুব ক্ষুধা লাগছে।
মামিঃতোদের মাঝে এই একটাই সমস্যা জানিস তোদের ধৈর্য একদম নেই..
সুজনঃমামি তোমার কথা পরে শুনবো আগে খেতে দাও।
মামি খাবার বেড়ে দিলো সুখি আর সুজন পাশাপাশি বসে খাচ্ছে..
সুখিঃএই তোকে কিছু কথা বলার ছিলো ভুলেই গেছিলাম
সুজনঃদেখ ভাই তুই যখন আমাকে কিছু বলতে চাস একটা করে বাশ খাই সব সময়?
সুখিঃআরে সেটা না তোর অই ফ্রেন্ড আছে না মিরাজ নাকি নাম
সুজনঃহুম মিরাজ,,কিন্তু ও কি করেছে?
সুখিঃকাল তো দেখে একটা মেয়ের সাথে রিক্সাতে করে চিপকায় চিপকায় যাচ্ছে
সুজনঃযাচ্ছে তো কি হয়ছে??মেয়েটার নাম মৌসুমি আর ও মিরাজের মামাতো বোন..
সুখিঃমামাতো বোন তো কি হয়েছে?আমিও তো তোর মামাতো বোন কই তুই কি আমার সাথে চিপকায় বসে থাকিস নাকি??
সুজনঃআরে মৌসুমি মিরাজের গার্লফ্রেন্ড..।
সুখিঃকি গার্লফ্রেন্ড,,অই ফুপাতো ভাই মামাতো বোনের প্রেম হয় নাকি হুম??
সুজনঃকেনো হবে না অবশ্যাই হয়?
সুখিঃআমি জানতাম নারে আজ থেকে জানলাম।
সুজনঃএইবার বোন আমার একটু চুপ কর আমাকে শান্তি মত খেতে দে..
সুখিঃআমি কি তোর খাওয়া আটকিয়ে রাখছি নাকি??
সুজন এই কথার কোনো উত্তর না দিয়ে খেতে লাগলো..
যথারীতি আজকে আবার খেলতে গেলো মাঠে..।
সুজন ব্যাট করছে তখন তিশার আগমন..
মাঠের বাইরে থেকে তিশা সুজনকে ডাকছে..
সুজন শুনেও না শোনার ভান ধরে আছে,আর ব্যাট করে যাচ্ছে
তিশা অনেক চিৎকার করে ডাকছে.।
আলমগীরঃএই সুজন তোকে তো চেয়ারম্যান এর মেয়ে ডাকছে,,যাচ্ছিস না কেনো??
সুজনঃধুর এমনি যাচ্ছি না
সোহানঃভাই এখন ভালো ভাবে ডাকছে তোর উচিত কি বলে সেটা শুনে আসা..যদি না যাস একবার রেগে গেলে কিন্তু তোর খবর আছে।।
সুজনঃধুর আমি অই পিচ্চি মেয়েকে ভয় পায় না
আর কিছু বলতেই পাড়ছে না..
তিশা কখন তাদের মাঝে চলে এসেছে সেটা কেও বুঝতে পারে নাই..
তিশাঃকি হলো বলো কি না বলছিলে??
সুজনঃনা মানে কিছু না,,আপনি এখানে এলেন খেলেবেন নাকি??
তিশাঃহুম খেলবো তবে ক্রিকেট না তোর সাথে..হারামি এতক্ষণ ধরে ডাকছি কিন্তু কান দিয়ে যায় না তাই না,,চল আমার সাথে..
সুজনঃআমি আপনার সাথে কোথায় যাবো??
তিশাঃএখানে সবাই আছে তাই বলা যাবে না চল আমার সাথে..
আলমগীরঃভাই আমি তখনি বলছিলাম তোকে যেতে তখন গেলি না,,এখন বুঝো ঠেলা..
তিশাঃকিরে তুই কি দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি যাবি আমার সাথে..
সুজনঃআমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না..।
তিশা তো রেগে আগুন সুজনের শার্ট ধরেই টানতে টানতে নিয়ে গেলো
সুজনঃআমাকে এমনভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন??
তিশাঃতোর সাথে কিছু কথা আছে তাই নিয়ে যাচ্ছি
একটা ফাকা যায়গায় এনে..
তিশাঃআচ্ছা আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে তোর কি সমস্যা??
সুজনঃকারণ আমার গার্লফ্রেন্ড বলে দিছে কোনো মেয়ের সাথে জেনো ফ্রেন্ডশিপ না করি তাই।।
সুজনের কথা শুনে তিশা শরীরে মনে হয় বিদ্যুত বয়ে গেলো এমন একটা অনুভব করলো
তিশাঃকি তোর গার্লফ্রেন্ড আছে??
সুজনঃহুম আমার কাছে সে আমার গার্লফ্রেন্ড,,কিন্তু তার কাছে আমি তার চোখের কাটা..
তিশাঃমানে তোর কথার কোনো মানে বুঝলাম না..
সুজনঃসেটা বুঝতে গেলে অনেক বড় একটা গল্প শুনতে হবে..
তিশাঃশুনবো তুই আমাকে বল..
সুজন এইসব ব্যাপার কাওকে বলে হাল্কা হতে চাচ্ছিলো..তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব বললো
তিশা সুজনের শেষের কথা শুনে মনে মনে অনেক খুশি হলো..।
তিশাঃআচ্ছা শুনো তোমার গার্লফ্রেন্ড তোমাকে চাই না,,তারপরেও কেনো তাকে নিয়ে পড়ে আছ,,আর যে তোমাকে নিয়ে থাকতে চায় তাকে কেনো সুযোগ দিচ্ছ না..
সুজনঃআমাকে নিয়ে থাকতে চায় মানে কে চায়??
তিশাঃএখন সেটা বলবো না,,আরর শুনো তোমার কথা শুনে আমার মনে হলো তোমার রাবেয়া আর তোমার সাথে রিলেশন রাখতে চায় না,,সো তুমি আমার সাথে বন্ধুত্ব্ব করবে,,
সুজনঃমানলাম সে আমার সাথে রিলেশন রাখবে না,,কিন্তু আমি তো তাকে মন থেকেই ভালোবেসে ছিলাম..
তিশাঃধুর মেয়েটা বোকা তাই হারিয়েছে..আমি কিন্তু বোকা না,আর শুনো কলেজে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবা না,,
সুজনঃকেনো বলবো না কেনো?
তিশাঃতুমি অনেক কিউট,,আর অই মেয়েগুলো হলো ডাইনি যদি তোমাকে গিলে খেয়ে নেয় তাই আমি বন্ধু হিসেবে তোমাকে সাবধান করলাম।আর শুনো তুমি তো রাবেয়াকে নিয়ে ঘুরতে তাই না??
সুজনঃহ্যা অনেক ঘুরতাম,,জানেন আমি অনেক মিস করি সেই দিন গুলো??
তিশাঃঅই হারামি তুমি আমাকে তুমি করে বলবা আপনি করে বললে কেমন জানি,নিজেকে মুরুব্বি মুরুব্বি লাগে,,তাই আমাকে তুমি করে বলবে,,যেমনটা তুমি রাবেয়াকে বলতে..
সুজনঃকিন্তু...?
তিশাঃকিন্তু তুমি রাবেয়াকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে তুমি করে বলবে না,,সুজন শুনো অতীত মুছে ফেলো.বর্তমান নিয়ে ভাবো,রাবেয়া তোমার সাথে কি রকম ব্যাবহার করেছে সব ভুলে গেছ নাকি।
রাবেয়া যেমন ওর জীবন থেকে তোমাকে দূরে সরিয়ে
দিয়েছে,,তুমি তোমার জীবন থেকে রাবেয়াকে মুছে ফেলো..আর সেখানে তোমার বউয়ের ছবি একে নাও দেখবে তোমার বউ তোমাকে খুব ভালো বাসবে..।
সুজনঃহুম কথা মিথ্যা বলেননি,,সত্যি তো রাবেয়া আমাকে ওর জীবন থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছিলো,,
তিশাঃবুঝতে পাড়ছ তাহলে.
সুজনঃআচ্ছা আমার ভালো লাগছে না আমি বাসায় যাবো
তিশাঃহুম যাও সোজা বাসায় যাবা,,আর শুনো এখানেও অনেক ডাইনি থাকে।
সুজন চলে গেলো..
চলে গেছে আরো একমাস....?
তিশার সাথে ভালো একটা বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছে..
সুজন প্রথমে রাজি ছিলো না,,জোর করেই বন্ধুত্ব করেছে..
আগে সুখির সাথে কলেজে যেতো তিশার কোনো রকম লাগতো না,,কিন্তু ইদানীং সুখিকে অসহ্য লাগতে শুরু করেছে..
সুখিঃএই সুজন এই দিকে আসো তোমার সাথে আমার কথা আছে?
সুজনঃহুম বলো??
তিশাঃতুমি কি এখনো ছোট আছ নাকি?যে সুখির সাথে আসতে হবে?আর আসবে না ভালো কথা সুখি তোমার গায়ের সাথে এতো চিপকে থাকে কেনো??
সুজনঃমামাতো বোন একসাথে পরি তাই একসাথে আসি..
তিশাঃবোন তাই না কিন্তু সুখি তোমার সাথে যে রকম করে মনে হয় তোমার বউ..
সুজনঃহলেও তো সমস্যা নেই..
তিশাঃকি বললি তুই কুত্তা আজকে তোর একদিন..আর আমারর যে কয়দিন লাগে।।
সুজনঃআমাকে বোকা পায়ছ নাকি?আমি এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকবো না,,এমনিতেও আমার তেমন ক্লাস ছিলো না আমি গেলাম..এই বলেই ভৌ দৌড় দিয়ে হাওয়া হয়ে গেলো..
তিশা কিছুতেই নিজেকে শান্ত রাখতে পাড়ছে না,
সুজনকে তিশা অনেক ভালোবেসে ফেলেছে,,
এখন চাইলেও এখন তিশ চাইলেও সুজনকে অন্যকারো হতে দিবে না সে..জোর করে হোক ভালোবেসে হোক..
পরদিন তিশা সুজনকে একটা যায়গাতে দেখা করতে বললো,,
সুজনঃহ্যা বলো কি জন্য আমাকে ডাকলে?
তিশাঃআজ আমি তোমাকে বিয়ে করবো তাই এখানে ডেকে এনেছি.?
সুজন একটা অট্রহাসি দিয়ে বললো তুমি পারোও তিশা খুব ভালো মজা করতে..
তিশাঃআমি ও মজা করছি না,,আমি সত্যি আজ তোমাকে বিয়ে করবো??
সুজনঃবলো আমাকে হঠাৎ এখানে কেনো ডেকে পাঠালে
তিশাঃতোমাকে বিয়ে করবো তাই এখানে ডেকে আনছি.
সুজনঃতিশা তুমি পারোও অনেক মজা নিতে..
তিশাঃআমি একটুও তোমার সাথে মজা করছি না,,
আমি সত্যি আজ তোমাকে বিয়ে করবো
সুজনঃতোমার মাথা ঠিক আছে?কি বলছো এইসব??
তিশাঃহ্যা আমার মাথা ঠিকি আছে,,চলো আমার সাথে..
সুজনঃকোথায় যাবো তোমার সাথে??
তিশাঃতোকে বিয়ে করবো কাজি অফিস চল.
সুজন খুব চিন্তায় পড়ে গেলো..
সুজনঃআচ্ছা বিয়ে কি করতেই হবে?
তিশাঃহুম করতেই হবে।
সুজনঃযদি না করি তাহলে কি হবে?
তিশাঃআমি সুইসাইড করবো,,আর আমার মৃত্যুর জন্য তোমাকে দায়ি করে রেখে যাবো..
এইবার তো সুজন ব্যাচারা মাইনকার চিপায় পড়ে গেলো..অনেকক্ষণ কি জেনো ভাবছে,
তিশাঃএই তুমি কি এতো ভাবছো বলো তো?
সুজনঃনা মানে ভাবছি এতো অল্প বয়সে বিয়ে করলে তোমাকে খাওয়াবো কি?রাখবো কোথায়?
তিশাঃআরে সেইসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না,,আমার আব্বুর কি কম আছে নাকি,,
সুজনঃনাহ তারপরেও,,আচ্ছা তিশা আমি যদি তোমার কাছে কোনো রিকুয়েস্ট করি তুমি রাখবে??
তিশাঃহুম রাখবো.
সুজনঃমাত্র তো আমরা প্রথম বর্ষে পড়ি
যদি বিয়ে করতেই হয় আমরা না হয় এক বছর পরে করি.
তিশাঃকিন্তু আমার যে অতদিন অপেক্ষা করার মত শক্তি নেই,,তোমাকে কাছে পেতে আমার খুব ইচ্ছা করে..
সুজনঃআরে আমি তো এখানেই আছি,,উড়ে তো আর যাচ্ছি না,,মাত্র তো কয়েকটা দিন
তিশাঃআচ্ছা বাবু সোনা ঠিক আছে তবে আগামী বছর কিন্তু আমি কোনো কথা শুনবো না এই বলে দিলাম।
সুজনঃআরে আমি কি না করতে পারি,,?
তিশাঃআচ্ছা ঠিক আছে,,তবে তোমার মামাতো বোনের থেকে একটু দূরে দূরে থাকবে,,আর শুনো অই রাবেয়াকে একদম মনে করবে না,
সুজনঃচাইলেই কি আর সব ভুলে থাকা যায়??
তিশাঃআমাকে আজ বিয়ে করো দেখবে আমি তোমাকে সব ভুলিয়ে দিয়েছি
সুজনঃআমি তোমাকে কি বললাম,,এক বছর অপেক্ষা করতে বলেছি না,,তারপরেও কেনো এতো প্যাঁচাল পাড়ছো.?
তিশাঃআরে আমার পিচ্চিটা দেখি রাগ করছে,,চলো চলো বাসায় চলো এতো রাগ করতে হবে না।।
**
আম্মুঃএই মেয়ে তোমাকে না বলেছি আমার বাসায় আর আসবে না।
রাবেয়াঃআন্টি আমি আর পাড়ছি না..?
আম্মুঃতো আমি কি করবো?
রাবেয়াঃআন্টি ওর সাথে আমাকে একটু কথা বলিয়ে দিবেন প্লিজ..?
আম্মুঃদেখো আমার ছেলেটা এখন ভালো আছে,,আমি তো মা আমি চাই না তোমার জন্য আবার আমার ছেলেটা দুঃখ পাক..
রাবেয়াঃআন্টি আপনারা মা ছেলে মিলে কেনো এমন শুরু করেছেন বলবেন একটু?আমিও তো একটা মানুষ..
আম্মুঃআমার ছেলেটা মনে হয় মানুষ ছিলো না তাই না?তাই ওর সাথে অমন করছিলে।
রাবেয়াঃমা আমি সত্যি তোমার ছেলেকে খুব ভালোবাসি,,হ্যা আগেও বাসতাম প্লিজ মা ওর নাম্বার টা দাও।।
রাবেয়ার কাছে মা ডাক শুনে মনে হয় আম্মু একটু নরম হলেন.
আম্মুঃনাম্বার দিতে পাড়বো না,,তবে কথা বলিয়ে দিতে পারবো।
রাবেয়াঃসেটাই দাও.
আম্মু আমাকে কল দিলেন.?
সুজনঃহ্যালো আম্মু কেমন আছ??
আম্মুঃহ্যা বাবা আমি ভালো আছি,,তুই কেমন আছিস??
সুজন;হ্যা আম্মু বিন্দাস আছি.?
আম্মুঃআচ্ছা তোর সাথে কেও একজন কথা বলবে,,
সুজনঃকে কথা বলবে আম্মু?
আম্মুঃসেটা বুঝেই যাবি এই কথা বলে আম্মু রাবেয়ার কাছে ফোন দিলো..
সুজনঃহ্যালো কে
রাবেয়া কিছু বলছে না সুজনের ভয়েজ শুনে কেমন জানি চুপ হয়ে গেছে.
সুজনঃকি হলো কিছু বলছেন না কেনো?
এইবার কান্নার শব্দ..
সুজনঃকি ব্যাপার আপনি আবার কান্না করছেন কেনো?
কান্নার শব্দ বেড়ে যাচ্ছে..
সুজনঃআরে আজব কিছু বলছেন না কেনো??কথা যদি না বলেন আম্মুর কাছে ফোন দেন প্লিজ..
রাবেয়াঃহ্যালো(একদম করুণ সুরে)
কণ্ঠটা চিনতে সুজনের ভুল হলো না।।
এইবার সুজন চুপ হয়ে গেলো.
রাবেয়াঃহ্যালো তুমি কেমন আছ?আমাকে এইভাবে একা রেখে কেনো তুমি চলে গেলে?আমি আর পাড়ছি না তোমাকে ছাড়া থাকতে..আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে..
সুজনঃনিশ্চুপ……………®
রাবেয়াঃএই কি হলো কথা বলছ না কেনো?জানো আমি না একদম একা হয়ে গেছি?এখন আর কাওকে আমার ভালো লাগে না,,তোমাকে একনজর দেখতে টুট টুট....?
সুজন ফোন কেটে দিয়ে পুকুরে চলে গেলো গোসল করতে.কেনো জানি খুব রাগ হচ্ছিলো মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিলো তাই..
আম্মুঃকি হলো কথা হয়েছে,,তাহলে এখনো অমন বাচ্চাদের মত কান্না করছ কেনো।?
রাবেয়াঃআম্মু তোমার ছেলে না আমার সাথে একটুও কথা বলেনি..খুব রাগ করে আছে আমার উপর..।
আম্মুঃসেটাই তো স্বাভাবিক..।
রাবেয়াঃআম্মু বলো না কোথায় লুকিয়ে রেখেছ তোমার ছেলেকে??
আম্মুঃসেটা বলতে পারবো না,,যদি পারো নিজে খুঁজে নাও..
রাবেয়াঃআমি না জেনে কিভাবে খুঁজবো?তুমি বলে দাও না!
আম্মুঃসেটা পারবো না বললাম তো?আমার ছেলেকে আমি কথা দিয়েছি ও কোথায় আছে সেটা আমি কোনো দিন বলবো না..তুমি যদি আমার ছেলেকে খুঁজে নিয়ে আসতে পারো তবে আমি কথা দিচ্ছি তুমি যা চাইবে আমি তাই দিবো..।
রাবেয়াঃসত্যি বলছ তুমি আম্মু আমি যা চাইবো তাই দিবে??
আম্মুঃহুম দিবো..।
রাবেয়া আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললো আম্মু তুমি খুব ভালো উম্মাহ
রাবেয়া খুশি মনে চলে গেলো।কারন সুজনকে খুঁজে বের করে দিতে পারলে নাকি যা চাইবে তাই দিবে..।
কিন্তু রাবেয়া এটা ভুলে গেছে যে কাওকে খুঁজে বের করা কতটা কষ্টের ব্যাপার..
দেখতে দেখতে একবছর চলে গেছে..।(২০১৭_২০১৮)
রাবেয়া অনেক খুজেও সুজনকে পায়নি..
আজ কলেজে রেজাল্ট দিবে সাথে তিশার তো ঈদ লেগে গেছে..কারণ সুজনের কথামত আজকে একবছর মানে প্রথম বর্ষ শেষ...।
রেজাল্ট দেওয়া শেষ কিন্তু সুজনকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,,
৭দিন হলো সুজন তিশার ভয়ে বাসা থেকেই বের হয়নি..মিরাজের কাছে শুনেছে তিশা নাকি পাগলের মত খুঁজছে তবে বাসায় আসার সাহস পাচ্ছে না..বাসার বাইরে নাকি দিনে অনেকবার এসে ঘুরঘুর করে আবার চলে যায়..
কিন্তু সুজনের এক বন্ধুর জম্মদিনের দাওয়াত পড়লো. না যেয়েও উপায় নাই.যেতেই হবে না যেয়ে উপায় নেই..
সুজন আগে মিরাজ কে ফোন করলো..
মিরাজঃকিরে এমন সময় আমাকে ডেকে পাঠালি কেনো??
সুজনঃদোস্ত আজকে দাওয়াত আছে সেটাই খেতে যাবো..সাথে তুইও যাবি..
মিরাজঃহুম অনেকদিন দাওয়াত খাওয়া হয়না..চল খেয়ে আসি..
সুজনঃহুম তার জন্যই তো তোকে ডাকলাম,,কিন্তু তোকে একটা কাজ করতে হবে তুই শুধু দেখবি তিশা আমাদের বাসার সামনে আছে কিনা??
মিরাজঃআচ্ছা আমি যাচ্ছি ফোন করলে চুপচাপ বেড় হয়ে আসিস..
চোরের মত বন্ধুর বাড়িতে গেলো..।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে,,
মিরাজঃদোস্ত মৌসুমি ফোন দিছিলো আমাকে যেতে বলছে..
সুজনঃআর একটু পরে যাই,,
মিরাজঃমৌসুমি খুব রেগে আছে ওকে না বলে এসেছি তাই এখন না গেলে আমার বারোটা বাজবে
সুজনঃআচ্ছা যা তাহলে..
মিরাজ চলে গেলো.অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে ১১টা বেজে গেল..
সুজন বাসায় উদেশ্যে রওনা দিলো..
কিন্তু মাঝপথে ঘটলো বিপত্তি.
কে বা কারা হঠাৎ সুজনের মাথায় অনেক জোরে আঘাত করলো..
সুজন সাথে সাথে পড়ে গেলো..
কতক্ষণ জ্ঞানহীন ছিলো সেটা সুজন জানে না..
জ্ঞান ফিরতে দেখে ও বিছানায় শুয়ে আছে,,আর পাশে বসে আছে তিশা..
সুজন মনে হয় ভূত দেখলো..
তিশাঃআরে আরে চান্দু ভয় পাবার কিছুই নেই..
আজ আমার আর তোমার বাসর হবে.কি ভাবছিলে বাসা থেকে বের না হলে আমি তোমাকে ধরতে পাড়বো না,,আমাকে ঠকানো অত সহজ নয়..
সুজনঃতিশা আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ..
তিশাঃছেড়ে দেওয়ার জন্য তো তোমাকে এখানে ধরে আনিনি..তোমার কুমারত্ব হরণ করার জন্য আজকে ধরে এনেছি..আমাকে মিথ্যা কেনো বলেছিলে একবছর পর আমাকে বিয়ে করবে।
সুজনঃআমি আম্মুকে তোমার ব্যাপারে সব বলেছি,,আম্মু বলেছে পরিক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে ভার্সিটি যখন ভর্তি হবো তখন নাকি বিয়ে করাবে এর আগে বিয়ে করাবে না.কিন্তু আমি বলেছি এইবছর আমাকে বিয়ে দিতেই হবে তোমার সাথে,,আম্মু আমার কথা শুনে নানা নানি মামা সবাইকে বলে দিছে আমাকে যেনো বাসা থেকে বের হতে না দেয়..জানো তোমাকে দেখার জন্য আমি কত ব্যাকুল হয়ে উঠছিলাম.বন্ধুর বাসায় দাওয়ার এর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছি এখন তোমার কাছেই যাচ্ছিলাম(ডাহা পড়া মিথ্যা কথা)।
তিশাঃসত্যি তুমি আমার কাছে আসছিলে??!
সুজনঃহুম সত্যি আসছিলাম,,প্লিজ আমাকে আরো একটা বছর সময় দাও একবছর পর তোমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবো..
আরো ১ বছর পর (২০১৮_২০১৯)
সুজন পরিক্ষা দিয়েই নানি বাড়ি থেকে নিজের বাসায় চলে এসেছে..মিরাজ আর মৌসুমিও চলে এসেছে
শহরটা এখন আর সুজনকে পুরোনো কোনো কথা মনে করাতে পারে না।।
তবে ভালোবাসাটা আগের মতই আছে অন্য কাওকে সেটা দিতে পারেনি বা দিতে চায়নি..
সুজন আর মিরাজ একসাথে মজা করতে করতে বাজারের দিকে যাচ্ছিলো ঠিক যেমন দুইবছর আগে যেতো..
ভাগ্যক্রমে রাবেয়াও সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো
সুজন আর মিরাজ মজা করতে ব্যাস্ত,,
হঠাৎ সুজন থেমে গেলো..
মিরাজঃকিরে দোস্ত থেমে গেলি কেনো??
সুজনঃসামনে দেখ.
রাবেয়া সুজনের দিকে তাকিয়ে আছে,,
সুমিঃদোস্ত এটা সুজন ভাইয়া না?
রাবেয়াঃহ্যা আমার সুজন এটাই আমার সুজন..
মিরাজঃদোস্ত চল অন্যগলি দিয়ে যায়..
সুজনঃআরে আমরা চোর নাকি ডাকাত যে অন্য রাস্তা দিয়ে যাবো?চল এই রাস্তা দিয়েই যাবো..।
সুজন আর মিরাজ এগুচ্ছে
রাবেয়া মনে মনে অনেক খুশি হচ্ছে এতোই খুশি যে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না,,রাবেয়ার শুধু এটাই মনে হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া অতিমূল্যবান কিছু একটা আজ ফিরে পেয়েছে..।
চলবে তো .......?
0 Comments