বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ২২তম - Cute Love Story

বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ Cute Love Story | bengali cute love story

বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ, Cute Love Story

চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২২তম

আজকে চাঁদ টা না অনেক সুন্দর লাগতেছে..! আমি শব্দ টা শুনে চমকে উঠলাম, এত রাতে ছাঁদে ফারজানা কি করছে..? আমি পিছনে ফিরে দেখলাম, ফারজানা হাতে মোবাইল..। মনে হয় মোবাইলে কিছু একটা করতেছে...!
।
আমার কাছে এসে দোলনায় বসলো..। এই যে মহারাজ আপনি অফিসে দেখা করতে যান নাই কেন..? কোন অফিসে কথা বলছো..? কোন অফিস আবার আপনার স্যারের সাথে দেখা করতে যাও নাই কেন..?
।
তুমি তো জানো আমার মিশন রাতে হয়, সো কখনো দেখছো, আমি দিনে কখনো মিশনে গিয়েছি..। এবং এটা ও গুপন আমি যে সি আই ডির সাথে কাজ করতেছি...।
।
এটা কি ভাবে হয়.? আচ্ছা তুমি এই চাকরিটা কি ভাবে নিয়েছো..? আমার জানা মতে তো অনার্সের ছাত্র সি আই ডি চাকরি পায় না, তাহলে তুমি কি ভাবে পেলে..? তুমি ও একটা পাগলি এই দুই বছর কিছু জিজ্ঞেস না করে হঠাৎ এই কথা কেন উঠলো..?
।
তুমি না একটা পাগল, আমার ও এখন মনে হলো, তোমার কেরিয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি, তাই করলাম..। তুমি তো আর আমার সম্পর্কে কিছু জানো না..? তাই করলাম,
।
আচ্ছা ভালো কথা, এটা একটা মিশন বলতে গেলে, যারা ক্রাইম করে সরকারের কাছ থেকে বেঁচে যাই, তাঁদের কে ক্রর্স ফাইয়ার দাও জন্য লোকমান স্যার এই মিশনটা চালো করেছে..?
।
বুঝলাম, কিন্তু তুমি এই চাকরিটা কখন থেকে করতেছো..? আর এই গুলো কি তোমার বাসার কেউ জানতো না..! আর ওই রাতে ও তোমাকে কেউ একজন ফোন করেছে..। আমাকে বাঁচানোর জন্য...।
।
আর এটা ও ঠিক তুমি বাসা থেকে চলে আসছো..। আর তোমার বাসা থেকে চলে আসার একটা কারন ও আছে বটে..। বলো সেই দিন তোমাকে কে কল দিয়েছে..? মিথ্যা বলবে না..?
।
থাক না এই গুলো অন্য একদিন বললো না হয়..। না আমি আজকে শুনতে চাই, বা তুমি বাসা থেকে কেন চলে আসছো..? বাসা থেকে চলে আছি ওটা তো তুমি জানো..? না এটা তুমি প্ল্যান করে এই কাজটা নীলা সাথে করেছ..।
।
এখন বলো কেন চলে আসছো..। এই চাকরিটা করতেছি আমার কিশোর জীবন থেকে..। What's.... কি বলো তুমি কিশোর জীবন থেকে, হাউ ফানি, আমার তো এটা ফান মনে হচ্ছে...?
।
হা হা হা, অবশ্য তোমার ফান মনে হবে, কারণ কোথায় তুমি আর কোথায় আমি, এই দেখো দেশে মানুষে জীবন রক্ষা করা জন্য নিজের পরিবারের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত..। কি করবো.? হয় তো বা ভালোবাসাটা আমার কপালে ঠিকবে না..?
।
তাই আল্লাহ আমাকে অন্য কোথাও পাল্টিয়ে দিলো..। তবে নিজের পরিবারের কাছ থেকে না পেলে কি হবে..। মা বাবা মতো হুবহু মা বাবা পেয়েছি তাঁর কাছ থেকে তো ভালোবাসা পেয়েছি...।
।
Wait wait... তোমার কথা বুঝতে পারি না..? হুবহু মা বাবা মানি বুঝতে পারি নাই..? হা হা হা তুমি কি ভাবে বুঝবে, মা বাবা মানি তোমার মা বাবা কথা বলতেছি..।
হু আমি এত গাঁধা কেন..?(ফারজানা তার মাথা একটা টোকা দিয়ে বললো)
।
এই জন্য তো তোমাকে পাগলি বলি আমি..। এখন ও কিন্তু মূল কথা বলো না..? কিশোর বয়েছে আমি সব সময় দুষ্টুমি করতাম, বলতে গেলে আমি তখন এক নাম্বার খিলার ছিলাম...।
।
এমন করে আমরা দশ বারো জন্য গেমস খেলতেছি, যেমন লুকচুরি বলা যাই, আমাদের গ্রামের পাশে রেললাইন বয়ে গেছে, এই খানে নাকি প্রচুর ডাকাতি হয়ে..। লোকদিন ডাকাতে ভয়ে ওই রাস্তায় যাওয়া আসা করে না..। আমরা সবাই একদিন এক হয়ে এক এক জায়গায় থেকে ওই খানে রওনা দিলাম..।
।
তবে ওই খান লিডার ছিলাম আমি, এই রবি এই রশি গুলো সবাইকে একটা একটা করে দিয়ে দে, তার পরে সবাই প্ল্যান করে চলে আসলাম ওই জায়গায়, সবার আগে আমি পৌঁছে গেছে, ওই খানে একটা কুঁড়ে ঘর আছে, ঘরটা সামনে দুইটা লোক দাঁড়িয়ে আছে..।
।
হঠাৎ দেখতে পেলাম..। রবি বাম সাইড দিয়ে আসতেছে, আমি বরিকে হাতে ইশারা করে বললাম, ওই এই লোকটাকে রশি দিয়ে গলারজোর দিয়ে ধর আমি এই লোকটাকে দেখতেছি...।
।
রবি ও বুঝে গেছে, তাঁর পরে আমরা আমাদের মিশন চালো করে দিলাম, ততক্ষণে হন্তদন্ত করে আমাদের গ্রুপে সবাই চলে আসছে, তাদের সাথে রহিম চাচাও চলে আসছে, রহিম চাচা হলো সি আই ডি সামান্য একজন ফোর্স..।
.
কুঁড়ে ঘরটায় আরো চার জন্য লোক বসে আছে, কিন্তু তাদের হাতে পিস্তল আছে চাচা এখন কি করবো..?
তেমনি কিছু করতে হবে না রবি, একটা কাজ করি, চাচা আপনার পিস্তল কি বোল্ট আছে..? কেন বোল্ট দিয়ে কি করবি..?(চাচা)
।
চাচা সন্দেহ জনক কিছু একটা আছে এই খানে..? বোল্ট তাঁদের গায়ের আকর্ষণ করতে হবে চাচা..।
কিন্তু তুই তো পিস্তল চালাতে জানি না..?(চাচা) চাচা ভুলে যায়েন না আমরা হলাম আধুনিক যুগে পোলা..।
সো বেশি কথা না বলে আমাকে পিস্তল টা দিয়ে, ও দেরকে এই খান থেকে নিয়ে যাও...।
।
কিন্তু তুই তো একা হয়ে যাবি তখন তোর কেনো ক্ষতি হতে পারে..। চাচা আমার কিছু হলে সমস্যা নেই চাচা..। আমি যা বলছি তাই করো, তাঁর পরে চাচা তাদেরকে নিয়ে চলে গেছে, আমার শিকার আমি করবো হা হা হা হা..।
।
বাস্তবে গেমস খেলতেছি, কতদিন মোবাইল ও কম্পিউটার খেলবো..। বোরিং লাগে...। আজকে বাস্তবে খেলি..! হা হা হা হা..। দরজা সমানে গিয়ে এক লাথিয়ে দরজা খুলে পেললাম..।
।
হেই ইউ হ্যান্ডসাপ.. লোক গুলো ভয়ে পেয়ে গেছে...।
তারাতাড়ি পিস্তল নিয়ে নিলো তাঁরা..। আমার দিকে ফিরতে অবাকক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে তাঁরা...। তবে আমি বুঝতে পারলাম, তারা কিছুটা ভয়ে আছে..।
।
হেই মামা আপনারা কি আমার সাথে PUBG খেলবেন..? কিন্তু মামা তোমার হাতে এটা কি...? মামা এই কে চিনো না.। এইটা পিস্তল.। কিন্তু মামা ভয় পেয়ে ও না এটা নকল পিস্তল যেটা দিয়ে আমাদের মতো ছোট ছেলেরা খেলা করে...।
।
ও তাই বল, কিন্তু মামা pubg কি ভাবে খেলবো..। আপনার একদিকে এক এক স্থানে লুকিয়ে পড়েন আমি গিয়ে ধরে আনবো..। আপনাদের..,। কিন্তু আমাদের পিস্তল লাগবে না....? না আপনাদের পিস্তল লাগবে না, আপনার এখন তারাতাড়ি লুকিয়ে পড়েন।।
.
।
তারপরে লুকিয়ে পড়লো,আমি প্রথমে টাকলোকে পিছন থেকে গিয়ে মাথা একটা দিলাম পিস্তলের বারি..।
টাকলা ওই খানে জ্ঞান হারিয়ে পেলছে..। এক এক করে তিন জনকে মারলাম, শালার এক জন্য থেকে গেছে...
।
ওই তুই এদেরকে অজ.......

Part 23