Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৫) Love Story Books

Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৫) Love Story Books

Are you looking for Bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more

Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৫) Love Story Books, Bangla sad love story, story book, romantic love story, cute love story, valobasar golpo, premer golpo, status zone bd

অবহেলিত_বয়ফ্রেন্ড
পর্ব_০৫
লেখক_Ariyan_Ripon


সুজন যত রাবেয়ার দিকে এগুচ্ছিলো রাবেয়ার মনে যেনো ঝড় তত বাড়ছিলো..
কিন্তু রাবেয়ার সব কিছু মাটি করে দিয়ে সুজন রাবেয়াকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো..
রাবেয়া বেশ অবাক হলো.কারণ আগে এই সুজন রাবেয়াকে যেখানে দেখতো কথা বলে পাগল করে দিতো..আর আজ কিনা পাশ কাটিয়ে চলে গেলো কোনো কথা না বলেই.
সুমিঃ রাবেয়া সুজন ভাইয়া দেখি তোকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলো??
রাবেয়াঃহহুম সেটাই এই ছেলে কিছুতেই আমার সুজন হতে পারে না,,আমার সুজন হলে অবশ্যই আমার সাথে কথা বলতো.
সুমিঃডাক দিয়ে দেখ..
রাবেয়াঃডাক দিবো তবে হারামিটাকে না,,ওর ফ্রেন্ডকে
দাড়া ডাক দিচ্ছি
মিরাজ ভাইয়া এই মিরাজ ভাইয়া..
সুজনঃতোকে ডাকছে আমার ব্যাপারে কিছু জানতে চাইলে কিছুই বলবি না,,বলবি তুই নিজেও জানিস না।
মিরাজঃসেটা কি করে হয় আমি আর তুই তো এই দুই বছর একসাথে ছিলাম..
সুজনঃআরে গাধা যেটা বলেছি সেটা করবি..না হলে তোর আর মৌসুমির বিয়ের কিন্তু বারোটা বাজিয়ে দিবো।
মিরাজঃদোস্ত এতবড় সর্বনাশ আমার করিস না..
আমি যাচ্ছি আর ভুল ভাল বুঝিয়ে চলে আসছি।
রাবেয়াঃকি হলো মিরাজ ভাইয়া প্লিজ একটু এই দিকে আসুন?
মিরাজ রাবেয়াদের কাছে চলে গেলো..
মিরাজঃহ্যা বলুন কি বলবেন??
#রাবেয়াঃ কেমন আছেন?
মিরাজঃএইসব ফর্মালিটি বাদ দিয়ে যেটা বলার জন্য আমাকে ডাকলেন সেটা বলেন..
রাবেয়াঃভাইয়া আপনার সাথে অইটা আমার সুজন না??
মিরাজঃওটা আপনার সুজন কিনা জানিনা তবে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড সুজন..
রাবেয়াঃতাহলে ও আমারি সুজন..আচ্ছা ভাইয়া ও আমার সাথে কথা না বলে চলে গেলো কেনো??
মিরাজঃসেটা আমি কি করে বলবো?আর আপনার সাথে কথা বলতেই হবে এমন কোনো নিয়ম আছে নাকি??
রাবেয়াঃভাইয়া এইভাবে কথা বলছেন কেনো?
মিরাজঃআমি ভালোভাবেই কথা বলছি..
রাবেয়াঃআচ্ছা আপনারা এতোদিন কোথায় ছিলেন??
মিরাজঃআমি ছিলাম আমার শশুড় বাড়ি,,কিন্তু সুজন কোথায় ছিলো সেটা আমি জানিনা..
রাবেয়াঃভাইয়া সুজন কি আমার উপর খুব রেগে আছে??
মিরাজঃরাগ করার জন্য কারণ বা অধিকারবোধ থাকা লাগে,,যেটা আপনি সুজনের কাছ থেকে অনেক আগেই কেড়ে নিয়েছেন..এখন সুজন আর আপনার উপর কোনো দিন কোনো কারণেই রাগ করবে না।
#সুজনঃ কিড়ে আর কতক্ষণ লাগবে?চল আমাদের যেতে হবে.(দূর থেকে দাঁড়িয়ে)
রাবেয়াঃভাইয়া সুজনের সাথে একটু কথা বলিয়ে দিবেন প্লিজ..
মিরাজঃআমি পারবো না,,এখন আমি যায়..ভালো থাকবেন.আর শুনুন সুজন এখন আর আপনাকে নিয়ে ভাবে না সো বেটার হবে সুজনকে আপনি ভুলে যান...।
#রাবেয়াঃ আরে সেটাই যদি পাড়তাম,,সুজন যখন আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো তখনি ভুলে যেতাম,কিন্তু ওর শূন্যতা আরো বেশি করে ভালোবাসতে শিখিয়েছে..
মিরাজ চলে যাবার পর..।
সুমিঃকিরে তুই কাঁদছিস কেনো??
রাবেয়াঃ কাঁদবো না তো কি করবো?আমাকে দেখেও আমার সাথে কথা বললো না...আবার মিরাজ কুত্তা বললো সুজনকে ভুলে যেতে কিন্তু সেটা যে আমি পাড়বো না সেটা কেনো বুঝতে পারে না..
সুমিঃকাদিস না,,সুজন ভাইয়া যেহেতু ফিরে এসেছে একটা ব্যাবস্থা বের কর..
রাবেয়াঃহুম সেটাই করবো,,তবে সুজন না আগের থেকে অনেক কিউট হয়ে গেছে.?গাল দুটো কি গুলুগুলু হয়েছে,,সুযোগ পেলে ইচ্ছামত টেনে দিবো
চল বাসায় চল প্লান করতে হবে..
সুজন আর মিরাজ নিজেদের কাজে চলে গেছে..
রাতে,
আম্মুঃকিরে সুজন অমনভাবে কপালে হাত দিয়ে শুয়ে আছিস কেনো?খারাপ লাগছে?
সুজনঃনা আম্মু আমি ঠিক আছি,,এমনি ঘুম পাচ্ছিলো তাই
আম্মুঃএখন কিসের ঘুম চল খেতে চল
আম্মুর সাথে খেতে চলে গেলো..
খেয়ে দেয়ে এসে আবার শুয়ে পড়ছে..তখন সেখান থেকে আসার পর বারবার রাবেয়ার মায়ায় ভরা মুখটার কথা মনে পড়ছে..
চোখেড় আড়াল হলে মনের আড়াল হয় না,,এটা সত্য কিন্তু আবার যখন মুখোমুখি হয় তখন সব এলোমেলো হয়ে যায়..
পরদিন সকালে সুজন তখন ঘুম থেকে উঠে নাই..
হঠাৎ কানের কাছে চুড়ির ঝনঝন শব্দের ঘুম ভেঙে যায়
চোখ খুলে দেখে একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে..মানে রাবেয়া দাঁড়িয়ে ছিলো..
সুজনের মাথায় রক্ত উঠে যায় এতো সকালে রাবেয়াকে নিজের রুমে দেখে..
উঠে এই তুমি এতো সকালে আমার রুমে কি করছ??
রাবেয়াঃএমনি তোমার গাল দুটো টেনে দিতে আসলাম..
সুজনঃআমার রুম থেকে এখুনি চলে যাও..আরে লোকে জানলে কি বলবে..একটা অবিবাহিত ছেলের রুমে আর একটা অবিবাহিত মেয়ে..লোকে জানলে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না,,চলে যাও এখুনি আমার রুম থেকে.
রাবেয়াঃসুজন তুমি?তুমি বললে এই কথা, চোখের কোনে ইতিমধ্যে পানি চলে আসছে..দুইবছর আগেও তুমি আমাকে আসার জন্য কত আবদার করতে?আর এখন তুমি আমাকে চলে যেতে বলছ?
সুজনঃহুম আমি বলছি!!কেনো বলছি জানো?কারণ এখন আমরা আর ছোট নেই,আগে লোক ভালো চোখে দেখলেও এখন সেটা অন্যচোখে দেখবে..তাই বলছি চলে যাও আমার রুম থেকে,,আর তুমি আমার রুমে আসলে কেও সেটা দেখনি নাকি??
রাবেয়াঃ আম্মু দেখেছে,,
সুজন আম্মুকে ডাকতে শুরু করলো.
আম্মুঃকিরে বাবা এমনভাবে ডাকছিস কেনো??
সুজনঃআম্মু তুমি একে আমার রুমে ঢুকতে দিয়েছ কেনো?
আম্মুঃকেনো তুই না আসতে বলেছিস!
সুজনঃআম্মু তোমার কি মনে হয়?এতোকিছুর পরেও আমি এই মেয়েকে আমার বাসায় আসতে বলবো..
রাবেয়াঃ আম্মু আমি মিথ্যা বলেছি আসলে আমি ভেবেছিলাম যদি সারপ্রাইজ দেই সুজন হয়তো আমাকে মাফ করে দিয়ে সব ঠিক করে নিবে..মাথা নিচু করে.?
আম্মু আমি চলি,তবে আমি আবার আসবো এতো সহজে আমি আমার ভালোবাসাকে হেরে যেতে দিবো না।রাবেয়া চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলো..
রাবেয়াঃহ্যালো সুমি তুই কইরে তোর সাথে কিছু কথা আছে..
সুমিঃকি কথা বল।
রাবেয়াঃ ফোনে সব বলা যাবে না,,দেখা কর আমার সাথে..
কলেজ এর পরিক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দিছে
সুজন রাবেয়া মিরাজ সবাই ভালো রেজাল্ট করেছে..
এখন পালা ভার্সিটিতে ভর্তি হবার..?
সুজনদের বাসা থেকে ভার্সিটি বেশি দূরে না
সুজন আর মিরাজ এক ভার্সিটিতেই ভর্তি হয়েছে..
প্রথমদিন ভার্সিটিতে
ক্লাসে গেলো,,সুজন বেশ অবাক হলো কারণ রাবেয়া সেই ভার্সিটিতে..সুজন ভেবেছিলো রাবেয়া অন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হবে..
সুজন সেটা নিয়ে আর ভাবতে চায় না,,
পড়ালেখায় মনোযোগ দিলো.
তেমনি একদিন ক্যাম্পাসে গাছের নিচে বসে ফেসবুক চালাচ্ছিলো..
ঠিক তখন রাবেয়া আর একটা ছেলে সেখানে এলো..
রাবেয়াঃ এই তুমি আমার জন্য আজ কিছু আনোনি?
ছেলেটাঃ এনেছি বাবু তোমার জন্য রিং নিয়ে এসেছি।
রাবেয়াঃতো সেটা পকেটে ভরে রেখেছ কেনো পড়িয়ে দাও..
ছেলেটা পকেট থেকে রিং বের করলো.
সুজন একনজর সেই দিকে তাকিয়ে আবার ফোন টিপতে লাগলো..
রাবেয়া ভেবেছিলো এটা দেখে সুজন এসে নানান কথা বলবে
কারণ এর আগে এমন অনেক হয়েছে তাদের ব্রেকআপ হয়েছে তখন রাবেয়া ছেলেদের সাথে মিশতো কথা বলতো সুজন সেটা সহ্য করতে না পরে এসে সব ঠিক করে নিতো..রাবেয়া এইবারো সেটাই ভেবেছিলো,,কিন্তু সুজনের কোনো প্রকার কোনো রেসপন্স নেই.?
রাবেয়া সেখান থেকে এসে সুজনের সামনে দাঁড়ালো
এখনো সুজনের কোনো রেসপন্স নেই..
রাবেয়াঃকি ব্যাপার সুজন আজ তুমি কিছু বললে না কেনো?আমাকে একটা ছেলে রিং পড়াতে যাচ্ছিলো আর তুমি চুপ করে বসে ছিলে??
#সুজনঃ কোনো উত্তর নেই..!
রাবেয়াঃকি হলো কিছু বলছো না কেনো?
সুজনঃআপনি কি করবেন না করবেন সেটা আপনার ব্যাপার..আঙুলে রিং কেনো গলায় যদি মালাও পড়ায় তবুওও আমার কিছুই যায় আসবে না..
রাবেয়াঃতুমি যা বললে ভেবে বললে তো?আমি যদি অন্য রিলেশন করি/বা অন্য বিয়ে করি তাহলেও তোমার কিছু যায় আসবে না??
সুজনঃনা যায় আসবে না,,এই কথা বলে মামুন ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছিলো।
রাবেয়াঃআর যদি আমি মরে যায় তাহলেও তোমার কিছু যায় আসবে না।
রাবেয়ার এমন কথা শুনে সুজন একদম পাথর হয়ে গেছে..
কিন্তু কোনো উত্তর না দিয়ে আবার হাটা শুরু করলো..
সুজন যতক্ষণ ছিলো রাবেয়ার
কান্না পায়নি..কারণ টা রাবেয়া নিজেও জানে না,,সুজন সামনে থাকলে হাজার ঘটনা ঘটে গেলেও রাবেয়া কান্না করতে পারে না..চোখের কোনে পানি আসবে কিন্তু সেটা বেয়ে পড়বে না..
সুজন চলে যাবার পর রাবেয়ার চোখ দিয়ে সমানে পানি পড়তে লাগলো..
রাবেয়া সেখানে বসে পড়লো......?
কতক্ষণ বসে কান্না করেছে সেটা জানা নেই..
ভার্সিটি ছুটি হয়ে গেছে রাবেয়া উঠে বাসায় চলে গেলো
রাবেয়ার আম্মুঃকি তোর চোখ লাল হয়েছে কেনো?
রাবেয়াঃকান্না করেছি তাই লাল হয়েছে..তোমার মেয়ে দোষী অনেক বড় দোষী..আম্মু তোমার মেয়ে অনেক বড় দোষ করে ফেলেছে,,আর এতো বড় দোষ করেছে যে তাকে ক্ষমা করা যায় না,,
এই কথা বলেই রাবেয়া নিজের রুমে চলে গেলো?
রাবেয়ার আম্মু ব্যাপারটা জানে।
কারণ এক বছর আগে রাবেয়ার বিয়ের জন্য বলেছিলো..তখন রাবেয়া বলে দিয়েছিলো সুজনকে ছাড়া অন্য কোনো ছেলেকে সে বিয়ে করবে না..
পুরোনো দিনের কথা খুব মনে পড়ছে আজ..
রাবেয়া একদিন কথার ছলে সুজনকে বলেছিলো আমি যদি মরে যায় তুমি কিন্তু অন্য প্রেম করবে না..
এই কথা শুনে সুজন বাচ্চাদের মত সেই কি কান্না পুরো আড়াই ঘন্টা কান্না করেছিলো.
আর বলেছিলো আমাকে ছেড়ে তুমি কোথায় যেতে পারো না,,কিছু হবে না তোমার..
অনেক কিছু বলেও সেদিন সুজনের কান্না বন্ধ করতে পারেনি..।
আর আজ।
রাবেয়া বাসায় এসে কিছুতেই শান্তিতেতে বসে থাকতে পাড়ছে না।সুজনের এমন ব্যাবহার রাবেয়াকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে,,কিন্তু রাবেয়া কি করবে সেটা বুঝে উঠতে পাড়ছে না..
রাবেয়া জনিকে ফোন করলো..
জনিঃআরে বাহ,,মহারানী দেখা যায় আমাকে ভুলেনি,,আমার কথা এখনো মনে রেখেছে..
রাবেয়াঃবেশি কথা বলিস না,খুব কষ্টে আছি,,কিছু আইডিয়া দিয়ে সাহায্য কর প্লিজ..
জনিঃকি আইডিয়া লাগবে বল আমাকে..
রাবেয়া জনিকে সব বললো..
জনিঃতোকে আমি একটা আইডিয়া দিতে পারি,,যদি সেটা কাজে লাগাতে পারিস দেখবি আর কোনো কষ্ট নেই.।
রাবেয়াঃএমন আইডিয়া আমার লাগবে।
জনিঃতাহলে তুই সুজনকে ভুলে নতুন একটা রিলেশন শুরু কর..
রাবেয়াঃ জনি তোর মাথা ঠিক আছে তো নাকি?
আমি সুজনকে ভুলতে পারবো না,,
জনিঃআরে আমি সেটা বলিনি,,আমি বলেছি কিছুদিনের জন্য সুজনকে ভুলে যাবি,,নতুন একটা রিলেশন শুরু করবি,,দেখবি কিছুদিন পর সুজন নিজেই তোর কাছে ফিরে এসেছে,,তখন তোর সুজন তোর হয়ে যাবে।
রাবেয়াঃতুই যে আইডিয়া দিলি সেটা কাজে লাগবে তো নাকি?
জনিঃ১০০% কাজে লাগবে..
রাবেয়াঃআর যদি কাজ না হয় তাহলে কি হবে?
জনিঃযার সাথে রিলেশন করবি তার সাথে কন্টিনিউ করে যাবি
রাবেয়াঃআচ্ছা আমাকে একটু ভাবতে হবে,আমি পরে তোকে সব জানাচ্ছি
জনিঃএতো ভাবাভাবির কিছু নেই,,তোকে না শান্ত পছন্দ করে,,তুই শান্তর প্রপোজাল একসেপ্ট কর..আর শুন শান্ত ছেলেটা কিন্তু তেমন ভালো না,,এর আগেও অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে,,শান্ত যেমন মেয়েদের ব্যাবহার করে তুই জাস্ট শান্তকে ব্যাবহার করবি,,আর শান্তর কাছ থেকে একটু সাবধান থাকবি।আমার যা বলার আমি বলে দিয়েছি বাকিটা তোর উপর নির্ভর করবে.
রাবেয়াঃ নারে তুই যা বললি তাতে করে সম্ভব না..আর বড় কথা হচ্ছে সুজন ছাড়া আমি অন্য কারো সাথে রিলেশন করতে পারবো না.?
জনিঃতাহলে বিয়ের একটা মিথ্যা নাটক করতে
পারিস!দেখ আমার মনে হচ্ছে সুজন ভাইয়া তোর উপর প্রচুর অভিমান করে বসে আছে..দেখ ভালোবাসার মানুষের উপর অভিমান করাটা স্বাভাবিক,,কিন্তু তার বিয়ের কথাটা মেনে নিতে পারবে না,,সব অভিমান ফুস হয়ে যাবে..।
রাবেয়াঃ এই কথাটা ভুল নারে,,আমি এটাই কাজে লাগাবো..থ্যাংক ইউ দোস্ত।
জনিঃআরে থ্যাংক্স লাগবে না,,বিয়ের দাওয়াত দিস তাহলেই হবে..।
রাবেয়াঃদোয়া করিস আমার জন্য..
রাবেয়া ওর আব্বু আম্মুকে সব বুঝিয়ে বললো..
প্রথমে তাড়া অমত ছিলেন,,কিন্তু মেয়ের জেদের কাছে তারা হার মানতে বাধ্য হয়েছেন।।
অন্যদিনে তিশা তো বাড়িতে হাংগামা শুরু করে দিয়েছে..তার এককথা সুজনকে এনে দাও..নাহলে আমাকে সুজনের কাছে পাঠিয়ে দাও।
চেয়ারম্যান সাহেব বেশ বেকায়দায় পড়ে গেলেন.
উপায় না পেয়ে সুজনের নানার সাথে কথা বলে জানতে পারলেন সুজন ঝিনাইদহ জেলা শৈলকূপা থানা গ্রামে তার নিজের বাসায় আছে,,
তিশা এই কথা শুনে তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো..
হারামি আমাকে দুই বছর অপেক্ষা করিয়ে রেখে এখন নিজে বাসায় চলে গেছে আমাকে ফাকি দিয়ে..
আব্বু আমিও ঝিনাইদহ জেলা শৈলকূপা থানা গ্রামে যাবো..
চেয়ারম্যানঃকিন্তু মা আমার ঝিনাইদহয় শৈলকূপা থানা গ্রামে তুই থাকবি কার কাছে??
তিশাঃকেনো মামা আছে না,,আমি মামা বাসায় থাকবো।
চেয়ারম্যানঃআমার এতো বড় বাড়ি থাকতে তুই গিয়ে থাকবি অই কালামের বাড়ি??
তিশাঃতাহলে আব্বু আমাকে সুজনের কাছে পাঠিয়ে দাও..দেখবে কয়েক বছরের মধ্যে কতগুলা নাতি নাতনী গিফট করবো..এই কথা বলেই তিশা জিব্বায় কামড় দিলো..
চেয়ারম্যান সাহেব মেয়ের কথা শুনে হাসতে হাসতে চলে গেলো..
এহহ আমি মনে হয় খুব হাসির কথা বলেছি যে এতো হাসতে হবে..যেটা সত্যি আমি সেটাই বলেছি,শুধু একবার ঝিনাইদহ জেলা শৈলকূপা থানা গ্রামে যাই তারপর অই সুজনের বারোটা বাজাবো..
তিশা দুইদিন পরেই ঝিনাইদহ জেলা শৈলকূপা থানা গ্রামে চলে আসলো.?
অনেক খোজ করে সুজনের বাসা কোথায় সেটা জানতে পারলো,কিন্তু প্রথমেই সুজনে বাসায় যাবে না,,
সুজন যে ভার্সিটিতে পড়ে সেই ভার্সিটির সভাপতির বন্ধু হলো তিশার মামা..
ভার্সিটিতে ভর্তি হলো..
পরদিন সুজন আর মিরাজ ভার্সিটি আসছে..যেই গেইট দিয়ে প্রবেশ করছে অমনি ভুত দেখার মত কিছু একটা দেখে সুজন আর মিরাজ দাঁড়িয়ে গেছে...।
সুজনঃদোস্ত আমি যা দেখছি তুই ও কি তা দেখতে পাচ্ছিস?
মিরাজঃহ্যা দোস্ত দেখতে পাচ্ছি,,কিন্তু এনি এখানে এলো কিভাবে?
তিশাঃকিভাবে এসেছি শুনবা?
তিশা সুজনের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে,যে আজ তোমার মুক্তি নেই..চোখ দিয়ে ইশারা করছে..
সুজন কোনো কথা না বলে পেছন দিকে দৌড় মারতে মারতে বলে ভাগ মিরাজ ভাগ নাহলে তোর খবর হয়ে যাবে..।
তিশাঃকিরে ভিতুর দল এখন ভাগছিস কেনো?
আমাকে মিথ্যা আশা দিয়ে পালিয়ে এসে কি ভেবেছিলি বেচে গেলি..?ভুল ভেবেছিলো হনুমানের দল..
সুজন আর মিরাজ দৌড়াতে দৌড়াতে হাপিয়ে উঠছে,,
সুজনঃদোস্ত দেখতো পেছনে কেও আছে নাকি?
মিরাজঃআরে শালা তুই নিজেই দেখে নিতে পারিস না?আমাকে কেনো বলছিস??
সুজনঃঅহহ হ্যা তাই তো আসলে মাথা কাজ করছে না..পেছনে কেও নেই এইবার থাম..
আচ্ছা তিশা এখানে আসলো কিভাবে?
মিরাজঃ আরে মধু যেখানে আছে মৌমাছি তো সেখানে যাবেই।তিশাও ঠিই সেই রকম তোর ঘ্রানে ঘ্রানে চলে এসেছে..
সুজনঃদোস্ত এখন কি হবে??
মিরাজঃকি আর হবে তিশাকে বিয়ে করতে হবে..
সুজনঃধুর ব্যাটা আমি তিশাকে বিয়ে করবো না,,
মিরাজঃতাহলে রাবেয়াকে বিয়ে করে ফেল..
সুজন এইবার আর কিছু বললো না,তবে এই কথা শুনে সুজনের মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো।
সুজনঃআজ তো আর ক্লাস করা হবে না চল বাসায় চল..
পরদিন চোরের মত লুকিয়ে লুকিয়ে সুজন ভার্সিটি প্রবেশ করলো
আশেপাশে তিশা নেই,,তাই আবার বুক ফুলিয়ে হাটা শুরু করলো..
কিছুদূর যেতেই আবার সুজনের কাপাকাপি শুরু হয়ে গেলো..
হঠাৎ করেই তিশা কই থেকে যেনো উদয় হলো
হাতে ফুল নিয়ে.?
সুজনের সামনে বসে,,জানু আই লাভ ইউ..
তিশা যখন সুজনকে প্রপোজ করছিলো দূর থেকে
রাবেয়া সেটা দেখছিলো..আর সেটা দেখে রাবেয়ার মাথায় রক্ত উঠে গেলো।রাবেয়া ছুটে তাদের কাছে চলে আসলো.তিশার হাত থেকে ফুলটা কেড়ে নিয়ে মাটিতে সেটা ছুড়ে ফেলে দিলো.?
রাবেয়াঃঅই এখানে এইসব কি হচ্ছে?আর অই মাইয়া তুই কে,তুই কেনো সুজনকে প্রপোজ করছিস??
তিশাঃআমি কে সেটা পরে বলছি,,আগে তুই বল কোন সাহসে তুই আমার হাত থেকে ফুল নিয়ে সেটা মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিলি??
রাবেয়াঃফেলে দিয়েছি বেশ করেছি..!তোর সাহস হয় কি করে সুজন কে ফুল দেওয়ার সাহস হয় কি করে??
তিশাঃবারে যাকে ভালোবাসি তাকে ফুল দিবো তো নাকি কাটা দিবো নাকি?
রাবেয়াঃঠাসস ঠাসসস ঠাসসস,,এই তুই কি বললি তুই ওকে ভালোবাসিস একদম মেরে ফেলে দিবো এইকথা আবার বললে সুজন আমার শুধু আমার..।
তিশাঃআমাকে তুই থাপ্পড় মারলি,,আমার আব্বু আম্মু আজ পর্যন্ত আমাকে থাপ্পড় মারেনি আর তুই আমাকে মারলি??
রাবেয়াঃমেরেছি বেশ করেছি,,শখ কত সুজনকে ভালোবাসি,,শুন সুজন শুধু এই রাবেয়ার
তিশাঃকি কি তোর নাম কি বললি??
রাবেয়াঃ আমার রাবেয়া
তিশাঃ ও তাহলে তুইই সেই মেয়ে যে কিনা দিনের পর দিন কোনো কারণ ছাড়াই কষ্ট দিয়ে গেছিস..
রাবেয়াঃকষ্ট আমি দিয়েছি ভালো ও আমি বাসবো..
তিশাঃকষ্ট তুই দিয়েছিস কিন্তু ভালো আমি বেসেছি..
সুজন এতক্ষণ চুপ করে শুনছিলো..
সুজনঃএই তোমরা চুপ করো তো আমার ভালো লাগছে না
রাবেয়াঃআমি তো চুপি আছি,এই মেয়েটাই তো কথা বলছে সুজন তুমি প্লিজ ওকে এখান থেকে চলে যেতে বলো আমার একদম সহ্য হচ্ছে না এই মেয়েকে
তিশাঃমেয়ে না আমি সুজনের হবু বউ সেটা তুই মাথায় ভালো করে ঢুকিয়ে নে..
রাবেয়াঃআমি তোর কাছ থেকে কোনো কিছু শুনতে চাই না,,আমি সুজনের কাছ থেকে শুনতে চাই..
সুজনঃআমার কিছু বলার নেই..
রাবেয়াঃতুমি শুধু এই মেয়েকে এখান থেকে চলে যেতে বলো..
সুজনঃতোমার সমস্যা হলে তুমি এখান থেকে চলে যাও না,আমাকে কি রোবট মনে হয়?তুমি যা বলবে আমি সেটাই করবো..
সুজন রাবেয়াকে চলে যেতে বলছে এটা রাবেয়া বিশ্বাস করতে পাড়ছে না,,
চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে..
রাবেয়াঃসুজন তুমি?তুমি আমাকে চলে যেতে বললে??
সুজনঃহুম আমি তো বলেছি,,কারণ তিশাকে নাকি তোমার সহ্য হচ্ছে না,,তাই তুমি চলে যাও
তিশাঃকিরে এখনো ছ্যাঁচড়ার মত দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা এখান থেকে।।
রাবেয়াঃআমি আরো একবার সুজনের মুখ থেকে শুনতে চাই..
সুজনঃকি শুনতে চাচ্ছ বলো??
রাবেয়াঃআমি কি সত্যি এখান থেকে চলে যাবো?
সুজনঃনা,, তোমাকে যেতে হবে না,,আমাকে নিয়ে তো সমস্যা আমি চলে যাচ্ছি।
চলবে তো ..........?

Part 6

Post a Comment

0 Comments