বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ২৭ তম - Bangla Cute Love Story

বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ Bangla Cute Love Story রোমান্টিক গল্প ভালোবাসার গল্প রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Romantic valobashar golpo

বাংলা গল্প, চাচাতো বোন যখন বউ, Bangla Cute Love Story, cute love story bangla, cute love story, Romantic valobashar golpo, রোমান্টিক গল্প, ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

Bangla Cute Love Story রোমান্টিক গল্প ভালোবাসার গল্প


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২৭ তম


ও এই ব্যাপার সমস্যা নেই, তোমরা থাকো আমি একটু এই দিকে যাবো..?(চাচা) আচ্ছা ঠিক আছে, যান...। ছাঁদে এক প্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে আছি, দুই জনে নিস্তব্ধ কারো মুখে কোনো কথা নেই..? আসলে আমার কথা বলতে মন চাচ্ছে না,

মনে ভিতর কিছু একটা নিয়ে ভয়ে আছি, আমি যেনো কিছু একটা হারিয়ে পেলছি..! কিন্তু কি হারিয়ে পেলছি তা আমি বুঝতে পারছি না বা উপলব্ধি করতে পারছি না..। আমার ভাবনার জগৎ টা ভেঙ্গে দিলো রাগিণী...?

এই যে মহারাজ এত কি ভাবছো..? আমি স্বাভাবিক হয়ে বললাম, কই কিছু না তো...! তো তোমার বর কেন চলে গেছে বলতো..?(কোনো কিছু টপিক নেই তাই এটা নিয়ে বললাম)

তোমার কি এই কথা ছাড়া আর কোনো কথা নেই..? আচ্ছা বাদ দাও, আমার চুপ করে থাকলাম..। কি হলো আবার চুপ করে আছো কেন..?আগে তো আমাকে এক সেকেন্ড ও ভালো ভাবে বসে দিতি না..?

আসলে ব্যাপার হচ্ছে সময়..! মানি..? কিছু না..! রাশেল তুই আগে মতো নেই..? বলতেছি তো সব গুলো সময়ের পরিবর্তন, আর নিজে দায়িত্ব টা নিয়ে নিতে হয়, কিছু সময় নিজের দায়িত্ব নিতে গিয়ে নিজেকে চেঞ্জ করতে হয়...।

সামনে দিকে থাকিয়ে কথা গুলো বললাম, এখন সময় দুপুর দুইটা তিনটা বাজবে মনে হয়...। রাগিণী চুপ করে আছে..। আব্বু আম্মু আর ছোট্ট আম্মি ছোট্ট আব্বু কেমন আছে...?

হুম সবাই ভালো আছে, কিন্তু.. কিন্তু কি, কি হলো চুপ করে আছিস কেন..? বাসাটা সরকার নিয়ে পেলছে..।
কিন্তু কেন..? টাকা নিয়েছে সেই জন্য, এখন আর কোনো সমস্যা নেই, একজন পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে গেছে..?

তুই তো দিতে পারবি না, কারণ তুই তো একটা গাঁধা..? হুম অবশ্য আমি তো একটা গাঁধা, এখন ও টাকা কি জিনিস তা জানি না, তাঁর মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা কি ভাবে দিবো...? এটা আমার জন্য একটা জোকস মনে হয়...।

দেখতে পেলাম রাগিণী মুখটা কালো করে পেলেছে..? আচ্ছা চল লাঞ্চ করে পেলি..? রাগিণী কিছু না বলে আমার পিছু পিছু আসতেছে...! রুমে ঢুকে দুইজনে লাঞ্চ করলাম, বিকালের লোক গুলো সাথে গিয়ে ডিল করে আসলাম...।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বাদলাম এক অনেক বড় ঝামেলায়, এখন শুয়ার সময় কি হবে..? এখানে মাত্র একটা রুম, তা ও ছোট্ট সোফা ও নেই...। রুম টা ও ছোট্ট এখন যদি দুই জনে ঘুমায় তাহলে একে অপরে একদম কাছে চলে আসবো...।

এতে দুইজনের জন্য খারাপ হবে, কারণ রাগিণী অন্য কারো স্ত্রী, আর আমি একজন সিংগেল ছেলে...। এতে বিপরীত হতে পারে..। কি হলো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো..?

না কিছু না তুমি ঘুমাও আমি আসতেছি, আর হ্যাঁ দরজা ভালো করে লাগিয়ে দাও, মানি কি তুমি কোথায় যাবে..? আমার একটা কাজ আছে..? আর আমি এসে যেনো তোমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখি,

কিন্তু তুমি রুমে কি ভাবে ঢুকবে..? সেইটা তোমাকে চিন্তা করতে হবে না, তুমি এখন চুপ চাপ ঘুমাও এখন. আমি চলে আসলাম,। রাতে মিশনে, মিশন শেষ করে চলে আসলাম রাত দুইটায়...।

রুমে পাশে এসে রুমটা খুলে দেখলাম, রাগিণী ঘুমিয়ে গেছে..। আমি গিয়ে তাঁর গায়ে চাদরটা দিয়ে দিলাম, ফলে রাগিণী নরে ছড়ে উঠে আমার হাতটা ধরে পেললো..। রাশেল আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি, কেন যে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছো..?(রাগিনী ঘুমের ঘোরে কথা গুলো বলতেছে)

তাঁর মানি কি রাগিণী হাসবেন্ড নাম রাশেল...। আমি আসতে করে রাগিণী কাছ থেকে হাতটা নিয়ে রুমটা লক করে ছাঁদে চলে আসলাম,

ছাঁদে এসে দোলনায় বসে থাকলাম, কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই, সকালে সূর্য আলোতে, এবং পাখি কিচিরমিচির শব্দেই ঘুম ভেঙ্গে গেছে...। দোলনায় থেকে উঠে যে বসে যাবো তখন আমার পায়ের কাছে ঠাসসস করে শব্দ হলো..!

চোখ খুলে দেখে রাগিণী ছাঁদে পরে গেছে, মনে হয় রাগিণী আমার পায়ের কাছে আসেছিলো মনে হয়...। সরি সরি আসলে বুঝতে পারি নাই তুমি ওই খানে বসছো..? রাগিণী এখন ও এই খানে বসে আছে আমি উঠে,

থাকে উঠিয়ে নিলাম, রাগিণী রাগে ফোলতেছে..। এই এক পা ও নরা ছড়া করবি না, আমি যেইখান বলছি ওই খানে বসে থাকবি..? না হলে তোকে কি করি আমি নিজে ও জানি না...!( রেগে বললো)

আমি রাগিণী রাগি ভয়েস শুনে ভয় পেয়ে গেলাম, এই মেয়ের রাগ উঠলে অনেক কিছু করে পেলে...। এক বার কলেজে একটা মেয়ে আমাকে ভুল বর্সে একটা থাপ্পড় দিয়েছিলো...।

ওটা রাগিণী দেখে পেলে..। রাগিণী মেয়েটা চুলের মুঠি ধরে কলেজে মাঠের সামনে নিয়ে গিয়ে সবার সামনে সেই কি থাপ্পড় মারা...। কলেজে সবাই হা হয়ে তাকিয়ে রয়েছে...। কলেজে ম্যাডাম স্যার প্রিন্সপল স্যার ও থাকিয়ে আছে...।

তাঁর পর থেকে কলেজে সবাই রাগিণীকে অনেক ভয় পায়..। অনেকে বলতো যেমন না তেমনি রাগ...। এই কি হলো দোলনায় বস..? আমি ও বসে পড়লাম...।

তুই রাতে কোথায় ঘুমেছিস..? এই রে এখন যে রাগা রাগছে মনে হয় না, সত্যি কথা বললে মাই দিবে মিথ্যা বলতে হবে, কেন আমি তো তোমার সাথে ঘুমিয়েছি..? এই একদম মিথ্যা কথা বলবি না..?

তুই রাতে ছাঁদে ঘুমায় নাই..? কে বলেছে আমি তো তোমার সাথে ঘুমিয়েছি, তুই দুইটা পনেরোতে আমার রুমে ঢুকে চাদর দিয়ে আছিস নাই..। তাঁর পরে ছাঁদে এসে এই দোলনায় ঘুমিয়ে পরিস নাই..?

রাগিণী আমার কাছে এসে আমার শার্টের কলা ধরলো..। রাগিণী মুখ একদম আমার মুখের কাছে তাঁর নিঃশ্বাস আমি অনুভব করতে পারছি, আমি নিঃশ্বাস রাগিণী মুখে পরতে সেই শিউলিয়ে উঠতেছে....।

রাগিণী চোখ বন্ধ করে আছে...। আমি ও রাগিণী দিকে এক দানে থাকিয়ে আছি, আমার সাথে এই সব কি হচ্ছে, দুইটা মেয়ে আমাকে ঠিক থাকতে দিচ্ছে না কেন..? তাঁরা কি আমাকে ঠিক থাকতে দিবে না....?

বাসা থেকে চলে গিয়েছি ওই খানে ফারজানা পেলো..। আর ওই খান থেকে এই স্হানে আসলাম, এই খানে ও রাগিণী চলে আসলো...। আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না.....

Part 28

Post a Comment

0 Comments