বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ Romantic Valobashar Golpo |
বাংলা গল্প চাচাতো বোন যখন বউ, Romantic Valobashar Golpo |
চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২৩ তম
ওই তুই ওদেরকে অজ্ঞান করে পেললি কেন..?(লোকটি) আরে মামা ওরা বিয়ার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে..। হঠাৎ একটা পিস্তল শব্দ পেলাম, আমি ভয়ে আমি ও আমার পিস্তলের টিগার টিপ দিলাম, পিস্তলটা লোকটা সামনে ধরে রাখ ছিলাম, বোল্ট গিয়ে শুধু তাঁর মাথা লাগলো..!
।
লোকটা ওই খানে শেষ, কিছুক্ষণ পরে লোকমান স্যার আর তাঁদের ফোর্স আসলো৷ এই রাশেল এই লোকটাকে মারলে কে..?(লোকমান) আরে স্যার আমি মেরেছি, আসার সময় আপনাকে বলেছিলাম না, আমি কোনো একজনকে শেষ করবো.. হা হা হা..।
।
দেখছেন আমার কথা আমি রাখছি, হা হা হা pubg খেলে চিকেন বিরানি পেয়ে গেলাম, চলেন চলেন আগে বিরানি খাবো..। পাগল ছেলে একটা.! লতিফ এই গুলো কে দেখো আমি আসতেছি..। চলো বাচ্চারা..।
দাঁড়ান আঙ্কেল চাচার পিস্তল টা দিয়ে দিয়...।
।
তাঁর পরে চাচাকে পিস্তল দিয়ে চলে আসলাম, সবাই রেস্টুরেন্ট, সবাই ইচ্ছে মতো খেলাম, ওই খানে স্যার সাথে একটা চুক্তি হয়..। এই থেকে শুধু ও আমার সি আই ডি কাজ...। তা তো বুঝাল কিন্তু বাসা থেকে চলে আসার কারণটা কি..?(ফারজানা)
।
আমি ফারজানা পিছনে দেখলাম, তাঁদের বাসার সবাই দাঁড়িয়ে আছে..! তাঁর মানি সবাই আমার কথা শুনতেছে...? ফারজানা ওইটা এখন জিজ্ঞেস করো না প্লিজ পরে না হয় বলবো..? না এখন শুনতে চাই আমি..?
।
তাহলে আব্বুকে চলে যেতে বলো..? আমি থাকলে কি সমস্যা..?(আব্বু) সমস্যা আমার নেই আব্বু সমস্যা হলো আপনার..!) আমার সমস্যা নেই তুমি বলো..? আচ্ছা আব্বু তোমার বন্ধুর নাম অভ্র চৌধুরী তাই না..? হুম, কিন্তু তুমি কি ভাবে জানলে আমি এই ব্যাপারের কাউকে বলি নাই..?(আব্বু)
।
এই খানে তো সমস্যা ..? আপনার বন্ধু এখন চিনে..! তাই না..? হুম, কিন্তু তুমি কি ভাবে জানলে..?(আব্বু অবাকক হয়ে বললো) তোমাকে তোমার বন্ধু বিয়ে করে নাই এটা বলেছে তাই না, এবং আপনার বন্ধু চারটা বিয়ে করেছে, আমার জানা গতে তাঁর মাত্র একটা ছেলে..। তাঁর নাম রুদ্র..। বলতে গেলে সেই আমার পার্টনার হা হা হা..।
।
সবাই অবাকক হয়ে আমার দিকে থাকিয়ে আছে...। Wait wait..এই ভাবে থাকার মানিটা বুঝি তো, সেই আমার পার্টনার মানি হলো তাঁর প্রথম অক্ষর আর আমার ও আর হি হি হি তাই তো পার্টনার..। একটু একটু মজা করতে হয়, এখন যেটা বলবো ওটা শুনে আপনারা সবাই প্রায় কিছুটা ভয়ে তাকবেন, তাই তো এই করলাম..।
।
বতমানে রুদ্র এখন আমাদের বাংলাদের আছে, সেই আসার কারণ হলো আপনার পরিবার শেষ করতে আসছে..। ওই দিন টেনে ও রুদ্র বাড়াটি গুন্ডা গুলো ফারজানাকে কিডন্যাপ করেছে৷ ওই দিন আমার মিশন ছিলো ঢাকাই উত্তরায়..।
।
হঠাৎ লোকমান স্যার কল করে ফারজানা কথাটা বলে, আর এটা ও বলে সামনে আরে বিপদ আছে..। তাই ফারজানা সাথে বাসায় চলে আসলাম..। রাতে আমি কোথায়ও যেতাম না, বাসার সামনে চায়ের দোকানে বসে থাকতাম, যেইদিন রাতে ঘুমাতাম, ওই দিন আমার বদলি অন্য একজন তাকতো..।
।
আর ওটা ভয়ে নেই, কালকে তাঁর ছেলে রুদ্র এবং তা বাবাকে আমরা ধরে পেলেছি..। এবং কালকে আমি এই খান থেকে চলে যাচ্ছি...! সবাই ভালো থাকবে...। আর মা বাবাকে অনেক কষ্ট দিয়ে পেলেছি...। ও প্রচুর ঘুম পাচ্ছে..। আমি উঠি, অনেক দিন পরে আজকে ভালো মতো ঘুমাতে পারবো...।
।
এই বলে ছাঁদ থেকে নেমে রুমে চলে আসলাম..। অনেক কষ্ট লাগতেছে, মনে হচ্ছে সারা শরীর কোনো এক কালো ছাঁয়া যেনো আমার শরীরকে জীবাণুর মতো ঘুরা ঘুরি করতেছে...। ওয়াশরুমের ঢুকে ফ্রেশ হয়ে, বেডে এসে শুয়ে পড়লাম,
।
দুই বছরের মায়া, একদিনের ত্যাগ করতে হচ্ছে..। আমি জানতাম আমার কপালে এটাই আছে..। কারণ যারা দেশকে ভলোবাসে, তাদেরকে ভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে হয়...। তাঁদের মাঝে আমি ও আছি...। ঘুমিয়ে পড়লাম..। মাঝ রাতে বুকে কিছু একটা ভারি অনুভব করলাম..! আমার বুঝতে আর বাকী রয়লো না, কারণ এটা ফারজানা...।
।
কিন্তু আমার দুইজনকে আকর্ষণ লাগে কেন..। এক রাগিণী আর ফারজানা..। আমি তো কিছু বুঝতে পারলাম..। কিন্তু রাতে আমি এটার জন্য এক্সাইটেড ছিলাম...! যেমনটা আমার ভাবনাই ছিলো, ঠিক সেই রকম হলো...।
।
আজকে লাষ্ট, সো এক্সাইটেড আজকে পর থেকে শেষ..। বোকটা শূন্য রয়ে যাবে..। হাজার ও স্বপ্ন ছিলো রাগিণীকে নিয়ে.. সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে...। কিন্তু পরে এসে ফারজানাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনা শুধু করলাম..।
কিন্তু সেই ও আর নেই...।
হয় তো বা আর মাত্র পাঁচ ঘন্টা আমার বুকটা বরফোর থাকবে,
।
তাঁর পরে শূন্য বলের মতো, শূন্য হয়ে যাবে...। বুকটা মনে হয় দুইজনের জায়গায় ছিলো..। কিন্তু রাগিনীকে ছেড়ে আসতে এত কষ্ট হয় নাই, ফারজানাকে ছেড়ে যেতে এত কেন কষ্ট হচ্ছে...?
।
তবে দুইজনের জন্য আমার মনটা হাহাকার করতেছে..।
যেনো দুইজন ছাড়া আমার মনটা একদম অচল...!
কি করবো যেই যুদ্ধে নামলাম,এটার কোনো শেষ নেই...। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ফারজানাকে জড়িয়ে ধরলাম..।
।
ডিম লাইটে দেখা যাচ্ছে ফারজানা মুখটা...।
মনে হচ্ছে ফারজানা প্রচুর কান্না করেছে, চোখ গুলো ফোঁলে গেছে.। গুলো গুলো গাল দুইটা লাল হয়ে গেছে...। দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেছি....। সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখলাম এখন ও ফারজানা বুকে ঘুমিয়ে আছে...! কিন্তু এই মেয়ে তো এতক্ষণ ঘুমায় না...।
।
তাহলে কি সেই আমার বুকে সুখ খোঁজেছে..? হতে ও পারে, আমি ও আর তাকে না ডেকে তাঁর দিকে থাকিয়ে থাকলাম...। প্রায় আদা ঘন্টা পরে ফারজানা সজাগ হলো...! কি মহা রাজ এই ভাবে কি দেখছো...?
না কিছু না..? হু্ সব বুঝি তো মহা রাজ এখন ফ্রেশ হয়ে আসো...!
।
কেন কোথায় যাবো..? কেন অফিসে যাবে না..? না আজকে আমাকে অন্য একটা জায়গায় যেতে হবে..। হু্ জানি তো আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে আসো তো..! এই বলে ফারজানা চলে গেছে...। আমি ও ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করলাম...!
।
বাবা আজকে না গিলে হয় না..?(আম্মু) (আমার তো আরো কয়েক দিন থাকার ইচ্ছে ছিলো কেন আর থাকা হলো না মা) না মা আজকে যেতে হবে...? তাঁর পরে উপরে এসে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম ফ্ল্যাট কি হবে এখন...। সমস্যা নেই ফারজানাকে দেখতে বলবো..?
।
ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে ছাঁদে দিকে হাঁটা দিলাম, কিন্তু ছাঁদে এসে বেশ অবাকক হলাম, অবাকক হওয়ার ও কথা, ফারজানা তো এই সকালে ছাঁদে কখনো আসে না, তাহলে হঠাৎ ছাঁদে কেন..? আমি সামান্য স্যান্ডেলের শব্দ করলাম,
যাতে ফারজানা বুঝতে পারে তাঁর পিছনে কেউ একজন আছে...। হঠাৎ বুঝতে পারলাম...! ফারজানা মোবাইলে পাওয়ার বাটন টা চেপে, মোবাইলটা বন্ধ করে পেললো, তাঁর মানি সেই কারো সাথে কথা বলতেছে....।
।
বুকটা ছেদ করে উঠলো...। আজকে এত সাত সকালে ছাঁদে কি করছো..? কেন এত সকালে ছাঁদে আসা কি অপরাধ নাকি..?(কিছুটা শব্দ করে বললো) বেশ অবাকক হলাম তাঁর কথাটা শুনে...? না এমনি জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা তেমার সাথে একটা কথা বলার ছিলো.....। কিইইই.....
0 Comments