Are you looking for bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love at first sight,ছাত্রী থেকে আদরের বউ, valobasar golpo, bangla love story, funny love story, mojar golpo, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more
গল্প : ছাত্রী_থেকে_আদরের_বউ
Last part
লেখক : J.M.Aminul
.হাসি মুখে মাসুদের দিকে একটি ছোট্ট শিশি এগিয়ে দিয়ে মাসুদের কোলেই জ্ঞান হাড়ায় নীলিমা।
মাসুদের বুঝতে আর বাকি থাকে না নীলিমার কি হয়েছে। নীলিমাকে তারাতরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাথে নীলিমার মা-বাবা আর পার্টিতে আশা সবাই যায় হাসপাতালে।
নীলিমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সবাই বাইড়ে অপেক্ষা করতে থাকে..
কিছুখনের মধ্যেই ডাক্তার বেড়িয়ে আসে অপারেশন থিয়েটার থেকে..
> ডাক্তার আমার মেয়ে?(নীলিমার বাবা)
> দেখুন হাসপাতালে আনতে বেশি দেড়ি না হওয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে গেছো..(ডাক্তার)
> ধন্যবাদ ডাক্তার ।(নীলিমার বাবা)
> ধন্যবাদ আমাকে নয় উপরওয়ালাকে দিন আমরা তো শুধু চেষ্টাই করতে পারি।(ডাক্তার)
> ডাক্তার আমরা কি এখন ওর সাথে দেখা করতে পারি?(নীলিমার বাবা)
> এখন ওকে একটু বিশ্রাম দিন। ২০ মিনিট পর ওর সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেব।(ডাক্তার)
> ধন্যবাদ ডাক্তার ।(নীলিমার বাবা)
২০ পর সবাই এক সাথে গেলো। নীলিমার সাথে দেখা করতে...
> কেন করলি মা এটা?(নীলিমার মা)
>(নীলিমা চুপ করে আছে)
> আমাদেরকে একা করে চলে যেতে চাইছিলি!(নীলিমার বাবা)
> বাবা আমি এমনটা চাইনি। কিন্তু কি করে পারতাম আমি মাসুদকে ডিভোর্স দিতে! আমি যে ওকে খুব ভালোবাসি।(নীলিমা)
> কখনো এ কথা মাসুদকে বলেছিস!!(নীলিমার মা)
> না। বলার সুযোগ পাই নি। তার আগেই তো ও ডিভোর্সের সব ব্যবস্থা করে নিয়েছে।(নীলিমার চোঁখের কনে জল নিয়ে)
> কে বললো মাসুদ তোকে ডিভোর্স দিচ্ছিলো!(নীলিমার বাবা)
> মানে !! কি বলছো এগুলো আজতো আমাদের বাড়ী ডিভোর্স পার্টি হচ্ছিলো।(নীলিমা)
> ডিভোর্স পার্টি কখনো দেখেছিস! আর শোন মাসুদ তোকে তোর থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসে।(পাশ থেকে সুমন)
> তাহলে এসব কি ছিলো? আর এই পার্টি ?(নীলিমা)
> আজ তোর জন্মদিন ছিলো দোস্ত।(জুই)
> তবুও বাবা মাসুদ এখন নিলাকে নিয়ে ঘড় বাধার সপ্ন দেখে ও আর আমায় ভালোবাসে না।(নীলিমা)
> হা হা হা। আমি এখানেই আছি কিন্তু হ্যা। মাসুদ আমাকে নয় তোমাকেই ভালোবাসে। সেদিন বিকেলের দেখা করা, কথা বলা, ফুচকা খাওয়া এমনকি ডিভোর্সের কথাটা তোলাও ছিলো একটা প্ল্যাল যাতে তুমি তারাতারি মাসুদকে নিজের মনের কথাটা বলে দাও।(নিলা)
> তার মানে এসবই মিথ্যা ছিলো!!(নীলিমা)
> হ্যা মা।(নীলিমার মা)
> ওনি কোথায়? ওনাকে দেখছি না যে?(নীলিমা মাসুদকে কে খুজছে)
> এখানে আবার ওনিটা কে?(জুই)
> আরে মীল নাটের গুড়ুই তো এখানে নেই। চলো আমরা সবাই বাইড়ে যাই। আর নীলিমার "ওনি" কে ভিতরে আসার সুযোগ করে দিন।(সুমন)
> হ্যা সবাই বাহিড়ে চলো(নীলিমার বাবা)
এরপর সবাই বাইরে চলে গেলো। মাসুদকে পাঠিয়ে দিলো নীলিমার কাছে।
মাসুদ মাথা.নিচু করে এসে নীলিমার পাশে বসলো।
মুখ দিয়ে কথা বেড় হচ্ছেনা তার। সে ভাবতেও পারেনি নীলিমার সারপ্রাইজ দিতে যেয়ে এতো বড় কষ্ট দিয়ে দেবে। আজ নীলিমার এ অবস্থার জন্য সে নিজেকেই দায়ী করছে।
অপরদিকে নীলিমা তাকিয়ে আছে তার একান্ত আপন ও প্রিয় মুখ খানির দিকে। নীলিমা এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছে যে তাকে আর এই মানুষটিকে হাড়াতে হবে না।
মাসুদ এবার নিচের দিকে তাকিয়েই নীলিমাকে সরি বলতে যাবে ঠিক তখনি নীলিমা মাসুদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। মাসুদও তার একমাত্র আপন মানুষটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়..
> কেন করতে গেলে এমন?
> ভয়ে! আপনাকে হাড়াবার ভয়ে।(নীলিমা)
> তোমার কিছু হয়ে গেলে কি হতো!!
> তবুও তো আপনার বউ হিসেবেই মড়তাম। ডিভোর্স পেপারে তো আর সই করতে হতো না। আর ডিভোর্স পেপারে সই করা থেকে এই কাজটাই আমার কাছে সহজ মনে হলো তাই এটাই বেছে নিলাম।(নীলিমা)
> তুমি না থাকলে আমার কি হতো? কাকে নিয়ে সপ্ন দেখতাম!
> কেন আপনাষ নিলা আছে না!(নীলিমা)
> আমি যে শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
> হুম জানি আপনি আমাকেই ভালোবাসেন।(বলেই আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো নীলিমা)
> আচ্ছা তুমি আমায় আপনি আপনি করে বলছো কেন?
> কারণ আপনি আমার স্বামী তাই।(নীলিমা)
> এতো দিনতো তুমি করেই বলেছো!
> তখন আমি আপনাকে ভালোবাসতাম।(নীল
া)
> তারমানে এখন আমাকে ভালোবাসো না!!
> বাসি অনেক ভালোবাসি আর তার থেকেও বেশি সম্মান করি। তাই এখন থেকে আপনি করেই বলবো।(নীলিমা)
> তোমায় বুঝতে আমার আরেক জীবন লাগবে প্রথমে 'তুই' তারপর 'তুমি' আর এখন 'আপনি' করে বলছো!
> আগের কথা গুলো ভুলে যান না। আগে অহংকারের পর্দার কারনে আপনার ভালোবাসা বুঝতে পারি নি। প্লিজ আমায় মাফ করে দিন।(নীলিমা)
> আরে কি বলছো। আমি তোমার কোনো ব্যবহারে কষ্ট পাইনি কিন্তু তোমার সাথে যা করেছি তা সত্যি ভুল হয়ে গেছে তুমি দয়াকরে আমায় ক্ষমা করে দাও।
একথা শুনার পরই নীলিমা মাসুদের বুক থেকে শড়ে অন্য দিকে মুখ ফিড়িয়ে বসে..
> কি হলো ও দিকে বসলে কেন?
>_________________
> কথা বলছোনা কেন?
> আমি আপনার উপর রাগ করে আছি। এ কয়দিন অনেক কষ্ট দিয়েছেন আমায়। অনেক কাদিয়েছেন। আমায় একটুও আদর করেন নি।(ফোপাতে ফোপাতে নীলিমা)
> ও এই কথা। আসো..
বলেই মাসুদ নীলিমার মুখটা ধরে নিজের কাছে এনে কপালে আলতো করে চুমু খেলো..
> এবার খুশি!!
> হুমম (বলেই আবার মাসুদকে জড়িয়ে ধরলো নীলিমা)
(একটা উপদেশ: মেয়েদের ঠোটে চুমু দিলে শারীরিক লালশা বাড়ে এতে ভালোবাসা বিন্দু মাত্র বাড়ে না। আপনি যদি কাওকে সত্যি ভালোবেসে থাকেন তবে পরম আদরে তার কপালে একটি চুমু দিন সে আপনার প্রতি ভরশা পাবে, বিশ্বাস বাড়বে, আপনাকে সম্মান করবে আর অবশ্যই আপনার প্রতি তার ভালোবাসা হাজার গুনে বৃদ্ধি পাবে)
> এভাবে শাড়া জীবন আপনার এই বুকটাতে মাথা রাখতে দেবেন তো?(নীলিমা)
> কতদিন দেবো তা জানি না তবে যতদিন বেঁচে থাকবো এই বুক শুধুই তোমার।
> দেখো কখনো উল্টা পাল্টা কথা বলবেন না।(নীলিমা)
> উল্টা পাল্টা কি বললাম! আমি কি আর শাড়া জীবন বেঁচে থাকবো নাকি! তো তোমায় কথা দিব কি করে যে আমার এই বুকটা শাড়া জীবনের জন্য তোমার?
> দেখুন যে দিন মাথা রাখার জন্য আপনার এই বুকটা পাবো না সেদিনই মাটিতে মাথা রেখে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে যাবো।(নীলিমা)
নীলিমা কথাটা বলেই আরো শক্ত করে জড়ীয়ে ধড়লো মাসুদকে। আর মাসুদও পরম আদরে নিজের ভালোবাসাকে আগলে নিলো নিজের বুকে।
> আচ্ছা তুমি কি এটুকুও চিন্তা করো নি যে তোমার বাড়ীতে আমি তোমাকে ডিভোর্স দিচ্ছি পার্টি করে আর তোমার বাবা-মা কেন বাধা দিলো না বা তুমি এটুকুতো ভাবতে পারতে যে ডিভোর্সই যখন দেবো তখন এতো রাত করার কি আছে! কেউ কি কখনো রাত ১২টায় ডিভোর্স পার্টির আয়োজন করে?
> আপনার কাছ থেকে ডিভোর্সের কথা শুনেই আমার দুনিয়াটা উল্টে গিয়েছিলো। হাড়িয়ে ফেলেছিলাম সব চিন্তা শক্তি। আপনি খুব কষ্ট দিয়েছেন আমায়।(নীলিমা)
মাসুদ নীলিমাকে বুকে জড়িয়ে..
> আমি খুব সরি। তোমায় একটু সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি!!
> যাই হোক। আজ আমি আমার জন্মদিনের বেস্ট উপহারটা পেয়েছি তা হলো আপনার ভালোবাসা। সত্যি এটা আমার জন্য অনেক।(নীলিমা)
> ভাবী আমি কি একটু আসতে পারি! আপনারা বাকি রোমেন্স বাড়ী গিয়ে কইরেন।(নিলা দরজা থেকে)
> হ্যা নিলা আসো আসো।
(নীলিমা তখনো মাসুদে জড়ীয়ে ধরে আছে)
> বাব্বাহ্ ভাবীতো ভাইয়াকে পুরো নিজের মধ্যে লক করেই রেখেছেন। ভায় নেই আমি ভাইয়াকে চুরি করবো না আপনার কাছ থেকে!(নিলা)
নিলার কথা শুনো আমরা তিনজনই হেসে উঠলাম..
> আগেরদিন যখন ভাইয়া আমায় ফুচকা খাইয়ে দিচ্ছিলো তখন আপনি আমার দিকে যে লুকছ দিচ্ছিলেন না ভাবি সত্যি খুব ভয় করছিলো। আপনি আমার মাথায় না ফুচকার প্লেট মেড়ে দেন!(নিলা)
> হ্যা সে দিন খুব রাগ হচ্ছিলো তোমার উপর কিন্তু এখন নেই।(নীলিমা)
> তা ভাবী ভাইয়াকে আপনি ভালোবাসার কথা বলেছেন নাকি আমি প্রপোস করে দিব!!(নিলা)
> করো সমস্যা নাই। আমি জানি তোমার ভাইয়া এখন শুধু আমারই।(নীলিমা)
এভাবে আরো কিছুখন কথা হলো তিনজনের মধ্যে। তখনোও নীলিমা মাসুদের বুকেই ছিলো।
আজ যেন এই বুক ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না নীলিমার।
২দিন লাগলো নীলিমার সম্পূর্ণ স্বুস্থ্য হতে। এদুদিন মাসুদ তার পাশেই ছিলো। নীলিমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিতো, রাতে ঘুম পাড়িয়ে দিতো।
নীলিমা কখনোই মাসুদকে চোখের আড়াল হতে দেয়নি এই দুদিন। রাতে যখন মাসুদ নীলিমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিত তখন নীলিমা মাসুদের এক হাত খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরতো যাতো ঘুমানোর পরেও মাসুদ তাকে ছেড়ে না যায়।
মাসুদ রাতে ঘুমাতো না, নীলিমার ঘুমন্ত মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়েই রাত পাড় করে দিতো সে। রাতে নীলিমার অজান্তেই কতো চুমু খেয়েছে এই মায়াবী মুখ খানিতে তা মাসুদ নিজেও জানে না।
কি যেন একটা টানে তাকে। তার ভিরটা কেন যেন বার বার নীলিমার দিকে আকর্ষন করে। যাই হোক মাসুদ এটুকু তো বুঝে গিয়েছে যে তার দুঃখের জীবনের অবসান ঘটেছে আর তার একটা জীবনে পথচলার একজন সাথী পেয়ে গেছে যে এখন হাজার ঝড়েও তার হাত ছেড়ে দেবে না।
নীলিমাকে হাসাপাতাল থেকে বাড়ী নিয়ে আসা হয়। সে এখন সম্পুর্ন স্বুস্থ্য।
নীলিমাকে সকালে খাইয়ে দিয়ে ভার্সিটিতে চলে যায় মাসুদ। অনেকদিন ভার্সিটিতে আশা হয় না বিধায় তাকে আগের পড়া গুলো সংগ্রহ করতে হয় আর এতে দুপুর পেড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। এর মধ্যে সে নীলিমাকে ফোন দেওয়ার কথাও ভুলে গিয়েছিলো। বিকেলে বাড়ী ফিরে রুমে যায়। দেখে নীলিমা খাটের এক কোনে বসে আছে। মাসুদ ফ্রেস হয়ে এসে নীলিমার সামনে একটি চেয়ারে বসে নীলিমার হাতটি ধরে..
> ঔষধ খেয়েছো?
> খালি পেটে কি ভাবে খাবো!(নীলিমা)
> তুমি খাওনি কেন?
> আপনিতো আমায় এ কয় দিন খাইয়ে দিয়েছেন। তাই আর একা একা খেতে ইচ্ছে হলো না।(নীলিমা)
> আরে এ কয়দিনতো তুমি অস্বুস্থ্য ছিলে তাই।
> তার মানে আমি আবার অসুস্থ্য হলে আপনি আমায় খাইয়ে দিবেন!!(নীলিমা)
> কি বলছো এগুলো!
> হ্যা । (বলেই নীলিমা টেবিল থেকে ফল কাঁটা ছুরি নিয়ে দিলো নিজের হাতে এক টান)
> এই কি করছো!!
> এখন তো আমার হাত কাঁটা। এখন আপনি আমায় খাইয়ে দিবেন?(নীলিমা)
> আরে পাগলি আমি তোমায় তিনবেলাই খাইয়ে দিবো এবার হয়েছে। এদিকে আসো অনেক রক্ত পরছে।
এরপর নীলিমার হাত ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিলাম। তারপর ওকে খাইয়ে দিতে হলো।
বিকেলে ছাদে নীলিমাকে কোলে বসিয়ে গল্প করতে হলো। নীলিমা মাসুদের বুকেই মাথা এলিয়ে দিলো। দুজনে বসে একসাথে সন্ধার গোধুলি দেখলাম।
যেমনটা আমার সপ্ন ছিলো। রাতে নীলিমাকে খাইয়ে দিলাম তারপর রুমে গেলাম।
আমি জানি নীলিমা আর আমায় ছোফায় ঘুমাতে দেবে না। সামান্য খাইয়ে দেওয়ার কথা নিয়ে এভাবে হাত কাঁটলো ছোফায় ঘুমালে না জানি কী করে! তাই আমিও আর ছোফায় ঘুমানো কথাই তুলিনি।
আমি নীলিমার পাশেই শুয়ে পড়লাম। নীলিমা নিজের মাথার নিচ থেকে বালিশটা ফেলে দিলো..
> একি বালিশ ফেলে দিলে কেনো? তুমি শোবে কিসে?
> আমি এখানে শোবো(বলেই নীলিমা মাসুদকে জড়িয়ে মাসুদের বুকে মাথা রাখলো)। আজ থেকে এটাই আমার মাথা রাখার আশ্রয়।(নীলিমা)
নীলিমার এ কথায় নীলিমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো মাসুদ।
> আপনার কাছে একটা আবদার করবো!!(নীলিমা)
> হুমম বলো।
> আমি একটা ছোট্ট পরিবারের সপ্ন দেখি। এখন আমার একটাই সপ্ন "বিকেল গড়িয়ে সন্ধা আসবে, পশ্চিম আকাশে গোধুলির রঙ, আপনি আর আমি পাশাপাশি হাটছি আর আমাদের দুজনের হাত ধরে হাটছে আমাদের আগামি দিনের আলো" । আপনি কি দিবেন আমাকে সেই আলোটা এনে!(নীলিমা)
> কি বলছো এগুলো!
> বলছিলাম কি আমার একটা ছোট্ট বেবি লাগবে। please না করবেন না।(নীলিমা)
> কিন্তু আমি তো এখনো পড়ালেখাই শেষ করি নি!
> তাতে কি হয়েছে আমাদের কি কম আছে নাকি। আমি আর পড়ালেখা করবো না এখন একটা সুন্দর সংসার সাঁজাতে চাই। আপনি আপনার মতো পড়া লেখা করেন। বাবা বিজনেজ সামলালো আর আমি বেবি নিয়ে থাকবো। প্লিজ না করবেন না।(নীলিমা)
> তো আমার বউটা এই আবদার করলো! তা এখনতো আমাকে একটু দুষ্টুমি করতে হবে!
> আপনার বউ তো আপনাকে না করলো কে?(নীলিমা)
> তো চলো...
তারপর আর কি...
সেদিন থেকেই শুরু মাসুদ আর নীলিমার সুখের সংসার।
মাসুদ এতিম হলেও তার নিয়তি আজ তাকে আবার সব ফিড়িয়ে দেয়েছে। হয়তো নিয়তি পারেনি তাকে তার মা-বাবার ভালোবাসা ফিড়িয়ে দিতে! হয়তো পারে নি তার শৈশবের দিনগুলি ফিড়িয়ে দিতে কিন্তু আজ নিয়তি তাকে দিয়েছে একটি পরিবার, নীলিমার মা-বাবা মাসুদকে অনেক ভালোবাসে আর নীলিমা তো নিজের থেকেও মাসুদকে ভালোবাসে।
নিয়তি হয়তো পারেনি তার ফাঁকা স্থানগুলো পূর্ন করতে কিন্তু নিয়তি তাকে একেবারেই নিরাশ করে নি।
""জীবনে যেই পরিস্থিতি আসুক না কেন উপরওয়ালার উপরে ভরশা রাখুন, তিনি আপনাকে কখনোই নিরাশ করবেন না।""
0 Comments