→বেস্টফ্রেন্ডের সাথে প্রেম
→লেখক-মোঃ রিয়াদ সন্দ্বীপি (বুঝ বালক)
→পর্ব ২
পর্ব_১--নিলা এখন অার অামাকে ফোন দেয়না, অাগের মত অামার সাথে কথা বলেনা, অনেকটাই বদলে গেছে,হয়ত সে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকে,
--এই সব কথা চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি তা নিজেও যানি না।
--হঠাত কল আসার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি নিলার কল।
--দেখতে দেখতে প্রথম বার কল কেটে যাই। সে আবার কল দিয়েছে।
--আমি কল রিসিভ করে কনে ধরার আগেই ঔ খান থেকে গালা গালি শুরু করেছে নিলা।
-- কিরে গালাগালি করতেছিস কেন। কুত্তা বাঁদর কল দরতে এত সময় লাগে।
--আরে ঘুমে ছিলাম তো তাই। তো কি মনে করে কল দিলি আমাকে।
--কেন আমি কি তুকে কল দিতে পারি না।
পারবি না কেন। কি বলবি বল।
-- বিকেলে একটু দেখা করবো তোদের সাথে আমার কিছু কথা আছে।
তুই ইকবাল ও সাহেদ কে বলে দিছ।
আমি ফারিন কে বলে রাখবো।
--আচ্ছা ঠিক আছে।
ও আপনাদের তো বলতে ভুলেই গিয়েছি
আমরা পাঁছ বন্ধু
আমি রিয়াদ সন্দ্বীপি ( বুঝ বালক)
ইকবাল সন্দ্বীপি
সাহেদ সন্দ্বীপি
ফারিন সন্দ্বীপি
ও
নিলা সন্দ্বীপি
--আমরা সবাই একসাথে একি কলেজে পড়ি।
--আচ্ছা গল্পে পিরা যাক।
--আমি ইকবাল ও সাহেদ কে কল করে বলে দিলাম আসার জন্য।
--আমি গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে আমার জন্য।
--হঠাত নিলা বললো কিরে আজকে ও দেরি করে আসলি।
--আর বলিস না রাস্তায় যা জেম।
--ইকবাল বললো হু বন্ধু রাস্তা দিয়ে তো শুধু তুমি চলা পিরা করো আর আমরা তো বনে জঙ্গলে ঘুরি।
--ফারিন বললো আচ্ছা তোরা কি শুরু করলি।
থামবি তোরা।
--নিলা কি হয়ছে তোর।
হঠাত কেন আসতে বললি বল।
--নিলা তার বেগ থেকে চারটি কার্ড বাহির করে আমাদের সবাইকে দিলো।
--আমি বললাম কিরে এটা কিসের কার্ড।
তুর আব্বু কি আবার বিয়ে করতেছে নাকি।
--নিলা রাগি চেখো আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ।
--তারপর বললো এটা আমার বিয়ের কার্ড।
তোদের সকলের দাওয়াত রইলো।
আর আমার বিয়ের সব কাজ তুরা করবি।
তোরা ছাড়া কে আছে আমার বল।
--আমি কথাটা শুনার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।
সাবাই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
না চাইতে আমার চখের কোনে পানি চালে আসলো।
--নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো কিরে তুর আবার কি হলো।
--আমি বললাম নারে কিছু না।
--সাহেদ বললো কিরে বিয়ে কোনদিন।
--নিলা বললো আগামি মাসের দুই তারিখ।
আমার না খুব খুশি লাগতেছে।যাকে ভালোবাসি তার সাথেই মা বাবা বিয়ে ঠিক করছে।
--হঠাত নিলার মোবাইলে একটা কল আসলো।
নিলা মোবাইলে দিকে তাকিয়ে বললো তোমাদের দুলাভাই কল দিছে।
আচ্ছা তুরা থাক।
তুদের সাথে পরে কথা বলবো।
তাকে নিয়ে আজ একটু গুরতে যাবো ।
--এটা বলে নিলা চলে গেল।
--আমি শুধু তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
--ফারিন বললো আচ্ছা তোরা থাক
আমার না বাসায় কাজ আছে।
আমাকে যেতে হবে।।
--একে একে সবাই চলে গেলো
--আমি বাসায় এসে ওয়াসরুমে গিয়ে পানির কল ছেড়ে দিয়ে অনেকক্ষণ কান্না করলাম।
--শুনেছি কান্না করলে নাকি দুঃখ গুলো একটু হালকা লাগে।
--রুম থেকে বাহির হয়ে মা কে বললাম মা তুমি বাবার সাথে কথা বলো আমি আর এইখানে থাকবো না বিদেশি বড় খালার কাছে গিয়ে পড়বো।
--মা বললো হঠাৎ তুর কি হলো যে তুই দেশে থাকতে ছাসনা।
আগে তো বললেই বলতি তুই বন্ধুদের ছেড়ে কোথাও থাকতে পারবি না।
তো এখন যেতে চাস কেন।
--মা আমি এত কিছু যানি না আমি দেশে থাকবো না মানে থাকবো না।
বাবাকে বলে দিও
--এটা বলে আমি আবার রুমে ছলে আসলাম।
রুমে এসে মোবাইল টিপা টিপি করতেছি।
--কিন্তু কিছু ভালো লাগতেছে না।
মোবাইল টিপতেও ভালো লাগতেছে না।
--শুধু নিলার কথা মনে হচ্ছে।
খুব কষ্ট হচ্ছে এটা ভাবতে যে আর কিছু দিন পর নিলা অন্য কারো হয়ে যাবে।
এটা চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানি না।
--যদিও মা খাওয়ার জন্য ডেকে ছিলো।
আমি বলছি খাবো না।
--এই ভাবে কিছু দিন কেটে গেলো
--একদিন ছাঁদে বসে বসে নিলার কথা ভাবতেছি।
--ভাবিলাম নিলাকে নিয়ে কাটানো সময় গুলুর কথা।
হঠাত মনে পড়ে গেলো
--আর মাত্র কয়েক দিন পর নিলা অন্য কারো হয়ে যাবে।
--এগুলো ভাবতেছি
-- আর নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে পানি পড়তেছে।
তার কি মনে থাকবে আমার কথা
তাকেও একজন খুব ভালোবাসতো তার নিজের থেকেও বেশি।
সেটা কি তার কখনো মনে থাকবে।
-- নাকি নতুন মানুষ পেয়ে ভুলে যাবে সব কিছু।
--হঠাত কল আসার শব্দে চমকে উঠলাম।
দেখি নিলা কল দিয়েছে।
--আমি কলটা রিসিভ করে বললাম
হ্যেলো............
0 Comments