Are you searching love story in Bangla language you will find here many types of Bangla story like a romantic love story, cute love story, heart touching love story, Islamic love story, Bangla golpo, story, real love story, Bangla Islamic Story, new love story, valobasar golpo, premer golpo, Bangla love story, I hope you are like our collections if you like our collection please connect with us.
বেস্টফ্রেন্ডের সাথে প্রেম
লেখক মোঃ রিয়াদ সন্দ্বীপি (বুঝ বালক)
পর্ব ৩
হঠাত কল আসার শব্দে চমকে উঠলাম।
দেখি নিলা কল দিয়েছে।
--আমি কলটা রিসিভ করে বললাম
হ্যেলো
নিলা - কোই তুই
আমি -বাসায় কেন কিছু বলবি নাকি।
নিলা - হু। তারা তারি রেডি হয়ে মার্কেটে আই
আজ আমি বিয়ের জন্য সফিং করবো।
আমি - তুই যা আমি গিয়ে কি করবো সেখানে
নিলা - তুই কি আসবি নাকি আমি আসবো।
আমি - না তুই আসার দরকার নাই আমি আসবো।
কখন আসতে হবে।
নিলা - বিকেলে
আমি - আচ্ছা বলে কল রেখে দি।
আমি জানি ও আসলে আমার খবর করে ছাড়বে।
তাই ওকে আসতে নিষেধ করছি।
বিকেলে মার্কেটে গিয়ে নিলার সাথে দেখা করি।
সে মার্কেট করতে করতে রাত্র হয়ে গেলো।
পরে আমি নিলা কে নিয়ে তাদের বাসায় সামনে নামিয়ে দিয়ে আসি।
আমি বাসায় এসে গুসল করে ঘুমিয়ে পড়ি।
সারাদিন ও ওনেক জ্বালিয়ে মারছে।
সকালে আব্বুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে আই তুর সাথে কথা আছে।
আচ্ছা তুমি যাও আমি আসতেছি।
তারা তারি রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখি আব্বু ও আম্মু বসে আছে আমার জন্য নাস্তা নিয়ে।
আম্মু বললো বস নাস্তা করে নে।
নাস্তা করার সময় হঠাত আব্বু বললো কিরে তুই বলে বিদেশে তুর বড় খালার ঐ খানে গিয়ে পড়া লেখা করবি তুর আম্মু বললো।
আমি বল্লাম জ্বি আব্বু।
তা হঠাত কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলি।
আসলে আব্বু এখানে থাকলে পড়া লেখা ঠিক মত হবেনা।
তাই বিদেশে গিয়ে বড় খালার সাথে থেকে পড়ালেখা টা শেষ করতে চাই।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাওয়ার ব্যবস্তা করতেছি।
নাস্তা করে রুমে গিয়ে গান শুনতেছি।
আসলে গান শুনতেছি না গান তো এমনি চলছে।
আমি নিলার কথা চিন্তা করতেছি।
চিন্তা করতেছি তার সাথে আর দেখা করবো না।
কারন আমি ওকে যত দেখি ততই আমার কষ্ট টা বেড়ে যায়।
না যেমন করেই হোক আমাকে ওর থেকে দুরে থাকতে হবে।।
আসলে আমি বিদেশে যাচ্ছি শুধু ওর থেকে দুরে থাকতে।
আমি সামনে ও অন্য কোন ছেলেকে নিয়ে থাকবে এটা আমি মান্তে পারবো না।
এমন সময় দেখি নিলার আব্বু কল দিছে।
আমি কল রিসিব করে।
সালাম দিলাম।
বললাম কেমন আছে।
আংকেল - জ্বি বাবা আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আচ্ছা তুমি কি ব্যস্ত আছো।
আমি - না আংকেল আমি ফ্রি আছি।
কিছু কি বলবেন।
আংকেল -হু। আচ্ছা তুমি একটা কাজ করো।
তুমি আমাদের বাসায় চলে আসো। সামনা সামনি কথা বলবো।
আমি - আচ্ছা আংকেল আমি আসতেছি।
তার পর রেডি হয়ে নিলাদের বাসায় গেলাম।
বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি।
আমাকে দেখে নিলা তারা তারি নিছে আসলো।
কিরে কি ব্যপার তুই হঠাত আমার বাসার সামনে।
ভুলে আসলি নাকি।
নাকি কোন মেয়ের পিছনে পিছনে আসতে আসতে এখনে চলে আসলি।
থামবি তুই।
আমি কেমন ছেলে সেটা তুই খুব ভালো করে জানিস।
হু তা তো একটু যানি।
আচ্ছা বাদ দে আমি তো মজা করতে ছিলাম তুর সাথে।
চল ভিতরে চল।
আমি নিলার সাথে বাসার বিতরে চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি আংকেল বসে বসে টিভি দেখতেছে।
আমি গিয়ে সালাম দিলাম।
আংকেল - হু বাবা আসো
কখন আসলে তুমি।
আমি - এতো আংকেল মাত্র আসলাম।
আংকেল - নিলা যা আমাদের জন্য চা নিয়ে আই।
আচ্ছা বাবা তুমার আব্বু আম্মু কেমন আছে।
আমি - জ্বি আংকেল ওনারা ভালো আছে।
আংকেল -আচ্ছা শুন তুমাকে যে জন্য ডাকলাম।
তুমি তো জানো যে আগামি মাসের দুই তারিখে নিলার বিয়ে।
আমি - জ্বি আংকেল জানি।
আংকেল - দেখো বাবা আমারও তো বয়স হয়ছে আর নিলারও তো কোন ভাই নাই যে নিজে নিজের বোনের বিয়ের সব কাজ করবে।
তাই আমি চাই ওর বিয়ের সব কাজ তুমি করবে।
আমি - আচ্ছা আংকেল সমস্যা নাই আমি দেখি কি করা যায়।
আজ তাহলে আমি আসি।
আংকেল - আরে এত তারাতাড়ি ছলে যাবে।
আমি - জ্বি আংকেল বাড়িতে একটু কাজ আছে।
আংকেল - আচ্ছা যাও তাহলে। পরে কথা বললো তাহলে।
আমি নিলাদের বাসা থেকে নেমে সোজা নিজের রুমে এসে সুয়ে পড়লাম
দেত আর ভালো লাগতেছে না।
কোথায় ভাবলাম আর নিলার সামনেও যাবো না।
আর এখন ওর বিয়ের সব কাজ কিনা আমাকেই করতে হবে।
হঠাত আম্মু রুমে এসে বললো তুকে তুর বাবা ডাকতেছে।
আচ্ছা আম্মু তুমি যাও আমি আসতেছি।
আব্বু আমাকে ডেকেছো।
হু। এই নে তুর টিকিট আগামি মাসের এক তারিখে তুর প্রাইট।
আমি সব কিছু ঠিক করে রেখেছি।
এক তারিখ রাত্রে তুর প্রাইট।
আচ্ছা ঠিক আছে।
আস্তে আস্তে নিলার বিয়ের দিনটা চলে আসলো।
আজ ওর মেহেদী রজনি।
সবাই কত খুশি
নাচানাচি গান হাসি ঠাট্টা।
শুধু এক মাত্র খুশি নেই আমার মনে।
ইকবাল , , সাহেদ, , ফারিন ও এসেছে।
ফারিন নিলাকে মেহেদী দিচ্ছে তার রুমে ।
এমন সময় দেখি আব্বু কল দিছে।
কিরে তুই আসবি না প্রাইডের সময় ছলে যাচ্ছে।
আমি বললাম এতো আব্বু আসতেছি।
বলেই কলটা কেটে দিলাম।
শেষ ভারের মত নিলাকে গিয়ে একটু দেখি আসি।
দেখলাম নিলা সবার সাথে হাসতেছে।
কিন্তু হাসি নেই
ফারিন, ইকবাল ও সাহেদের মুখে।
কারণ তারা জানে আমি আর কিছুক্ষণ পরে ছলে যাচ্ছি দেশের বাহিরে।
আমি ওদের নিষেধ করেছি যাতে এই কথা কেও নিলাকে না বলে।।
হঠাত ফারিন আমাকে দখতে পাই।
সাথে সাথে নিলাও দেখতে পাই।
নিলা আমাকে রুমে ডাকে বলে বন্ধু ধন্যবাদ।
আমি - হঠাত ধন্যবাদ কেন দিলি।
নিলা- আরে আমার বিয়ের সব কাজ তুই এত সুন্দর করে করলি তাই।
নিলার কথা শুনে ফারিন ওটে ছলে যায়।
নিলা আমাকে বললো আচ্ছা এই ফারিনের কি হয়ছে বলতো।
আসার পরথেকে দেখতেছি কেমন যানি মন মরা হয়ে বসে থাকে।
আমি তো জানি কি হয়ছে তার বা তাদের।
তাও বললাম যানি নারে।
আচ্ছা বাদ দে তুই এই সব নিয়ে চিন্তা করিস না।
তুই থাক আমি আসি৷
আসি
আসি
আসি
আসলে নি বুঝতেই পারে নাই এই আসি শব্দের মানে কি।
নিলার সাথে কথা শেষ করে সোজা বাসায় এসে বেগ নিয়ে বাহির হয়ে যাই৷
সাথে আব্বু এসেছে আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য।
আমি বিমানে বসে আছি
ঐ দিকে নিলা বসে আছে মেহেদী সাজে।.......
0 Comments