Romantic Love Story চাচাতো বোন যখন বউ Bangla love story
চাচাতো বোন যখন বউ - Romantic Love Story |
চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ৩য়
আমি ঢাকায় স্টাডি করতে গিয়ে ছিলাম, এই তো কয়েক দিনের জন্য গ্রামের ঘুড়তে আসলাম..।(নাবিলা)
হঠাৎ দেখতে পেলাম, রাগিণী এই দিকে আসতেছে..!
ওই তোকে এই খানে কি আসতে বলেছে..?(রাগিণী রেগে বললো)
।
আসলে....ঠাসসসসসস, আজ থেকে তুই আর আমার সাথে কথা বলবি না..?(রাগিণী হন হন করে চলে গেছে)
আমি তো মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি...। নাবিলা তো
।
এখন কি হয়েছে, বুঝার চেষ্টা করতেছে..? রাগিণী চলে গেছে..। ওই মেয়েটা কে রে..?(নাবিলা) তুই রাগিণীকে চিনিস না...? ওই এটা রাগিণী, তাহলে তোকে সেই থাপ্পড় মারছে কেন...?(নাবিলা) তাঁর কথা শুনি নাই সেই জন্য..!(মিথ্যা কথা বললাম, সেই আমাকে কেন মারলো তা তো আমি জানি না, তবে আমি মেয়েদের সাথে কথা বললে রাগিণী রেগে যায়...!
।
কেন রেগে যায় তা তো আমি জানি না...!) তাঁর পরে নাবিলার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বাসার দিকে হাঁটা দিলাম..! রাগিণী আমার সাথে বেশ রেগে আছে মনে হয়, তার রুমে এসে দেখলাম, রাগিনী নেই, মনে হয় ছাঁদে।
।
ছাঁদে দিকে হাঁটা দিলাম, ছাঁদে এসে দেখতে পেলাম, মাত্র গোসল করে আসলো রাগিণী, তেয়াল আছে, তাঁর গায়ে, রাগিণীকে এই অবস্থায় দেখে আমার যেনো হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে গেছে...।
আমি গিয়ে রাগিণীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম...!
।
রাগিণী কেঁপে উঠলো, তাঁর পরে যত তারাতাড়ি পারে, রাগিণী আমাকে ছাড়িয়ে, ঠাসসসসস ঠাসসসসসস..।
ছোট লোক কোথায় কার, তোর কোনো যোগ্যতা আছে, আমাকে স্পর্শ করা, এখন আমার চোখের সামনে থেকে সর,(রাগিণী বেশ রেগে বললো)
।
রাগিণীর কথা শুনে, চোখ দিয়ে টপটপ পানি পড়তেছে।
তাঁর পরে নিজে রুমে চলে আসলাম, রুমে এসে দরজা লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম, চোখ দিয়ে শুনে পানি পড়তেছে..। আমরা তখন কি হয়েছো, আমি কেন থাকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে ছিলাম..।
।
আর রাগিণী আমাকে ছোট লোকের বাচ্চা বললো...।
তাঁকে স্পর্শ করতে যোগ্যতা লাগবে..। তা তো আমি নিজে ও ভাবতে পারি না..? তাঁর মানি এতদিন ভাই হিসাবে সব কিছু মানিয়ে নিয়েছে, তা তাঁর সাথে আর এই ভাবে মিশানো যাবে না...? চোখের পানি তো বন্ধ হতে চাচ্ছে না, অনেক কষ্টেই ঘুমিয়ে পড়লাম...।
।
এটা আমি কি করলাম, রাশেলকে ছোট লোকের বাচ্চা বললো, ধ্যাত আমি ও না, রাগের বষে কি না কি বলে পেলেছি..। তাঁর কাছ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে...!(রাগিণী কথা গুলো ভাবতেছে...।)
।
রাগিণী ও ঘুমিয়ে পড়লো, আমার ঘুম ভাঙ্গলো বিকালে, ফ্রেশ হয়ে আস্তে আস্তে রাগিণীর রুমে আসলাম...।
ঠক ঠকঠক।। কে..?(রাগিণী বাথরুম থেকে বললো)
আমি...! রাশেল ভিতরে এসে বস...!(রাগিণী) আমি দরজা খোলে ভিতরে এসে দাঁড়িয়ে থাকলাম...।
।
কিছুক্ষণ পরে রাগিণী ফ্রেশ হয়ে বের হলো, দাঁড়িয়ে কেন থাকলি..? বস(রাগিণী) না ঠিক আছি..? আসলে দুপুরের ব্যবহার জন্য সরি, বিশ্বাস কর, তখন আমার কি হয়েছিলো, তা আমি নিজে ও জানি না, আমাকে ক্ষমা করে দেয়...?
।
তুই কেন ক্ষমা চাচ্ছি, ক্ষমা তো আমার চাওয়ার কথ, আমাকে ক্ষমা করে দিস..!(রাগিণী) না ঠিক আছে,
আমি পিছনে ফিরে হাঁটা দিলাম, কি রে কোথায় যাচ্ছি...?(রাগিণী) কেন রুমে যাচ্ছি..? বস কিছুক্ষণ দুইজনে গল্প করি..?(রাগিণী)
।
সরি রে আমার সেই যোগ্যতা নেই, তা ছাড়া আমার একটা ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে, আমি আসি, বলে চলে আসলাম, আসার সময় একবার পিছনে ফিরে থাকিয়ে দেখলাম, রাগিণী মুখটা কালো হয়ে গেছে..!
রাতে বাসায় ফিরে দেখলাম, সবাই টিভি দেখতেছে,
।
আমি সোজা ওই কানে না বসে,নিজে রুমে চলে আসলাম, মা বাবা, চাচা চাচি আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে, বিষেণ করে, রাগিণী, আমি তাদের দিকে না থাকিয়ে, রুমে এসে মোবাইলে গেম খেলতেছি, জানি এখন কিছু না করে, বসে থাকলে, আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে,
।
রাতের মুহূর্ত গুলো, সেই জন্য মোবাইলে গেম খেলতেছি..। ডিনার করা জন্য আমাকে ডাকলো, আমি গিয়ে চাচার পাশে বসলাম, সবাই আমার দিকে হা করে থাকিয়ে থাকলো, রাগিণী আমার দিকে আহত দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে, হয় তো বা সেই বুঝার চেষ্টা করতে, এখন হচ্ছেটা কি..?
।
ওই রাশেল তোর আর রাগিণী কি কিছু হয়েছে..?(আম্মু) না কেন..? তাহলে তুই আজকে তোর চাচার পাশে কেন বসলি..!(আম্মু) আশ্চর্য ব্যবহার, আমি কি আমার চাচার পাশে বসতে পারবো না..?
।
আসলে তা না, তুই তো প্রতিদিন রাগিণীর পাশে বসতি, তাহলে আজকে কি হলো তোর..?(আম্মু) আশ্চর্য! মানুষ কি প্রতিদিন এখন কাপড় পড়ে নাকি..? তা ছাড়া আজকে মনে হলো, চাচা কে জ্বালাতন করি, তাই তো চাচা চাচি কাছে চলে আসলাম.....।
।
তোর আজকে কি হয়েছে, বলতো রাশেল, আমার না কেমন যেনো লাগতেছে, তুই মনে হয় চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছি..? কি রকম যেনো কথা বলছি, আগে কোনো দিন ও আশ্চর্য শব্দ টা তোর মুখ থেকে শুনি নাই, কিন্তু আজকে হঠাৎ এই কথা তোর মুখ দিয়ে, শুনে আমার না কেমন কেমন যেনো লাগতেছে...?
0 Comments