চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ৮ম - Bangla Romantic Golpo

Bangla Romantic Golpo চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Valobashar Golpo


Bangla Romantic Golpo, চাচাতো বোন যখন বউ, romantic golpo bangla, romantic golpo, romantic bangla golpo, New romantic golpo, bangla golpo, valobasar golpo
চাচাতো বোন যখন বউ - Bangla Romantic Golpo

চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ৮ম



আমি রাতে খালি রাস্তায় হাঁটতেছি, রাস্তায় কোনো মানুষের আনাগোনা নেই, বিশ ত্রিশ মিনিট পরে একটা একটা গাড়ি আসতেছে...। হাঁটতেছি আর হাঁটতেছি আমার গন্তব্য কি আমি নিজে ও জানি না...। মাথা দিয়ে রক্ত পড়তেছে..।

পকেটে মাত্র দশ হাজার টাকা আছে, হাতে একটা বিশ হাজার টাকা মোবাইল আছে..। কিন্তু মোবাইলটা বন্ধ......। চলে আসলাম স্টেশনে...।

একটা টেন দেখে যাচ্ছে, কিন্তু এত রাতে তো কোনো টেন চলাচল করে না, তাহলে এই টেনটা কোথায় যাচ্ছ.....। আমি লাপ দিয়ে টেনে উঠে পড়লাম, গুটি গুটি পায়ে হাঁটতেছি.....।

টেন অনেক দ্রুত চলতেছে...। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম..! একটা মেয়ে চিৎকার দিলো.....। এই খানে এত রাতে মেয়ে কোথায় থেকে আসলো.....?

আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি, একটা রুমে এসে দেখতে পেলাম, কিছু ছেলে একটা মেয়েকে আঁটকে রেখেছে....। ছেলে গুলো আমি দেখে চমকে গেছে...। এই তুই এই খানে কি ভাবে উঠলি..?(একটা ছেলে)

না মানি আপনারা এই আপুকে বেঁধে রাখছেন কেন..?
ওই তোকে আমরা কি বলেছি আর তুই কি বলছি.?(আমার দিকে আসতে আসতে বললো) ভাই আমি কিন্তু মাই পিট জানি না, আমার কাছে আছিস না..?

লোকটা আমার কলার ধরতে দিয়ে দিলাম তার নাকে একটা ঘুশি..। শালার নাক দিয়ে প্রচুর রক্ত পড়তেছে...!
লোকটা এই খানে নাক ধরে বসে পড়লো..? আরেক জন্য আসলো...।

তাঁর পায়ে একটা লাথি দিলাম, ফলে লোকটা পরে গেছে, ইচ্ছে মতো মারতে লাগলাম, তাঁকে মারার শেষে, ওই বেটা এই গুলো মজা লাগতেছে না, যদি পিস্তল থাকে, আমার দিকে একটা দেয়,

এতে মজা বেশি হবে, আমাকে এক ক্লিকে শেষ করতে পারবি, তো তোদের খেলতা শেষ হয়ে যাবে..? ভাই তুই একদম ঠিক কথা বলছিস, যাই পিস্তল নিয়ে আছি, আর শুন ফারজানাকে দেখে রাখ..?(মনে তাদের ওস্তাদ)

তাঁর সবাই চলে গেছে, আমি মেয়ের কাছে গিয়ে হাত পা খুলে দিলাম, আপনি কি পাগল, আপনি পিস্তল দিয়ে ওই গুন্ডা লোক গুলোর সাথে কি ভাবে পেড়ে উঠবেন..?(ফারজানা)

আপনি জানেন না, আমি এক জন ভালো শুটার্স, আমি সি আই ডিতে কাজ করি, আপনার সাথে পরে কথা বলবো...। আপনি এই রুমে বসে থাকেন আমি যাস্ট ফাইব মিনিট...।

আমি ফারজানাকে রুমি ঢোকিয়ে দিয়ে ব্যাগ থেকে পিস্তল টা বের করলাম...। আমি আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি...। কিছু দূর গিয়ে দেখতে পেলাম, একটা লোক পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,

দিলে তাই পায়ে একটা ফাইয়ার, সেই ওই খানে বসে পড়লো, এক এক করে সবাইকে মারলাম, এখন শুধু তাদের বসকে মারতে হবে, একটা রুমে ঢোকে দেখতে পেলাম,

আমাদের গ্রামের বড় লিডারটা, সেই আমাকে দেখে চমকে গেছে..। রাশেল তুমি এই খানে...?( অভ্র) মামা তোকে কথা দিয়ে ছিলাম না, তুই আমার হাতে মরবি, তুই আজকে শেষ,

দিয়ে দিলাম মাথা, গুলির দানা বের হয়ে গেছে..! তার পরে সবাইকে মেরে পেললাম তাঁর পরে ফারজানা রুমে এসে দরজাটা খুলে দিলাম..! তুমি ঠিক আছো তো..? (ফারজানা কৌতুহল অবস্থায় বললো)

হুম আমি ঠিক আছে, আপনাকে ওই লোক গুলো কিডনাপ কেন করেছে..? আমি হলাম ঢাকা শহরের বড় লোক বাবা এক মাত্র মেয়ে, হয় তো বা লোক গুলো বাবার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য মনে হয় আমাকে কিডনাপ করে...?

তো তোমার সম্বন্ধে বলো এখন..?(ফারজানা) আমার নাম রাশেল মাহাম্মুদ নীলয়, কিইইই তুমি ফেসবুকে গল্প লেখো..?(ফারজানা) হুম লেখি তো কিন্তু কেন..? আমি তোমার অনেক বড় পাঠিকা..। আমি নিয়মিত তোমার গল্প পড়ি... তাঁর পরে বলো..?(ফারজানা)

আমি অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি, তো এই দিকে কোথায় যাচ্ছ..?(ফরজানা) জানি না, কোথায় যাবো..?
মানি কি..? বাসা থেকে বের করে দিয়েছে..! তাই কোথায় যাবো জানি না..?

দেখি এত বড় ঢাকায় আমার মতো একটা ছোট ছেলের থাকার জায়গায় হয় কি না..? যদি কিছু মনে না করো আমাদের বাসায় থাকতে পারেন...! না এতে আপনাদের সমস্যা হবে,

আমি চাই না আমার জন্য কারো সমস্যা হয়..? না সমস্যা হবে না, আজ থেকে আমাদের সাথে থাকবে এইটা ফাইনাল..। আর কেন তোমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে...!!

তাঁর পরে প্রথম তেকে শেষ পর্যন্ত বললাম...! আচ্ছা এখন কি ভাবে আমরা এই টেন থেকে নামবো...?(ফারজানা) সময় হলে টেন থেমে যাবে..! আপনি এই খানে কোথায় আসলে..?

ঘুড়তে আসছিলাম..? আচ্ছা এখন আপনি এই রুমে ঘুমিয়ে পড়েন আমি অন্য রুমি যায়..? তা দরকা নাই,তুমি ও এই রুমে ঘুমিয়ে পড়ো..?(ফারজানা) কিন্তু... কোনো কিন্তু নই এখন ঘুমিয়ে পড়ো..! তাঁর পরে ঘুমিয়ে পড়লাম....!

সকালে মা বাবা, এবং ছোট আম্মি আর ছোট আব্বি রুমে এসে দেখলো আমি রুমে নেই..? তবে বেডে দুইটা চিঠি দেখলো..। নিয়ে পড়া শুরু করলো..। ছোট আম্মি ছোট আম্মি পড়ে, কান্না করে দিলো..!

এক এক করে সবাইকে দিলো, সবাই পড়ে কান্না করে দিলো..! দ্বিতীয় চিঠি রাগিণীকে দিলো...।

চিঠি টা ছিলো এই রকম

রাগিণী তুমি আমাকে ভুল বুঝলে, আসলে রাতে আমি তোমার মুখের আঙ্গুল গুলো দাগ মাশাস করতে গিয়েছি, তখন রুমে গরমের কারণে গেঞ্জি খুলতে ছিলাম, তখন তোমার ঘুম ভেঙ্গে যাই,তুমি আমাকে অন্য কিছু ভাবে বসে থাকো..। একটি

ভাবের জন্য ও আমার কথাটা শুনতে চাও নাই..? যদি বিশ্বাস না হয়, তাহলে তুমি খাটে নিচে দেখো আমার নীল রঙের গেঞ্জিটা, আর গ্লাসে দেখো এখন ও পানি আছে....।

তবে শেষে একটা কথা বলতে চাই, তোমরা সবাই ভালো থাকো সেই প্রত্যাশা করি...।

ইতি
ছোট লোকের বাচ্চা



রাগিণী চিঠি টা পড়ে তারাতাড়ি নিচে দেখলো, নিচে গেঞ্জি টা পড়ে আছে, আর গ্লাসে পানি এখন ও আছে..। রাগিণী কান্না করে দিলো, সবাই খোঁজার জন্য বের হয়ে পড়লো....।

মা তো প্রায় পাগল হয়ে গেছে, কান্না করতে করতে, ছোট আম্মি ও কান্না করতেছে..। ছোট আব্বু আর আব্বু খোঁজতে বের হলো..! রাগিণী কান্না করতেছে........।

আমার ঘুম ভাঙ্গতে আমি তো পুরা অবাকককক... আমি এটা কার রুমে, রুমে ফারজানা ছবি দেখা যাচ্ছে...। তার মানি কি আমি ফারজানা আপু বাসায় কিন্তু আমি তো ট........

Part 9

Post a Comment

0 Comments