Best Love Story in Bangla চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Bangla Romantic Love Story
Best Love Story in Bangla, চাচাতো বোন যখন বউ |
চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ১৬ তম
রাশেল ভাবি নাকি..? ভাবি কেমন আছো..?(রানা)
মাইরি শালা আমার সাথে মজা নিচ্ছে..! শালা বুঝতে পারবি আমি দেখে নিবো তোকে..!(মনে মনে) ফারজানা রানা মুখে ভাবি শব্দটা শুনে মিন মিন হাঁসতেছে....।
।
ভালো আছি. তুমি কেমন আছো..?(ফারজানা) হুম আমি ও ভালো আছি...। শালা বিয়ে করলি আর আমাকে একবার ও জানালি না..?(রানা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো)
।
আরে আমার কথাটা তো শুন..... কি কথা শুনবো, হু আমি কি যেতাম নাকি..। একটা খুশি আর কি...।(রানা)
এই শালা থাম উনি আমার বস হন...!(রেগে বললাম)
।
কিইইইইই সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে..। আচ্ছা ঠিক আছে, রাশেল তুই না আগের চেয়ে বেশ স্মার্ট হয়ে গেছিস...। এখন তোকে দেখে সব মেয়েরা ক্রাশ খাবে...।(শালা ক্রাশ খাবে তাই না ফারজানা জন্য কোনো মেয়ে আমার আশে-পাশে ও আসতে পারে না,
।
সেই আবার বলতেছে আমাকে দেখে নাকি সবাই ক্রাশ খাবে...।) ফারজানা দিকে থাকিয়ে দেখলাম, ফারজানা রানা দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে....।
।
রানা ফারজানা চোখ দেখে ভয়ে চুপসে গেছে..! আমি রানার এমন হাল দেখে শব্দ করে হেঁসে দিলাম হা হা হা......। এই কি হলো তুমি হাঁসছো কেন..? (ফারজানা) কিছু না..! কিছু না মানি তুমি হাঁসলে কেন..?(ফারজানা)
।
মুখের মধ্যে হাত দিয়ে হাঁসানি টা আঁটকাতে চাইলাম, কিন্তু পারলাম না..। এই আর হাসবে না, যদি হাঁসো তাহলে তোমাকে মেরে পেলবো.....।(ফারজানা রেগে বললো)
।
আমি অনেক কষ্টেই হাঁসানি বন্ধ করলাম..। এখন চুপচাপ গাড়ি চালাও...!(ফারজানা) আমি গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চালাচ্ছি..। আমাদের গাড়ি ভিতরে নিস্তব্ধ...।
।
কারো মুখে কোনো কথা নেই, এটা একটা উপভোগ করার মতো মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত একটা নিস্তব্ধ পরিবেশের মতো, আমি আমার কানটা উপরের করে পাশের জিনিস গুলো ভাব বুঝতে চাচ্ছি.।।.
।
আমার ভাবনা ছেদ ভেঙ্গে দিয়ে ফারজানা বললো..। কি হলো সবাই চুপ কেন..? তুমি তো চুপ থাকতে বলছো..? তোমরা এমন করলে তো চুপ থাকতে বলবো..?(ফারজানা)
।
রানা এখন তুই কি করিস..? হু–একটা সরকারি চাকরি করি..। তো বিয়ে করিস..! না মামা করি নাই, তবে আগামী মাসের বিশ তারিখ হচ্ছে। (রানা)
।
শালা তুই বিয়ে করে এখন বড় বড় কথা বলতেছি, চোরের মায়ের বড় গলা বলতে..। মনে আছে... হা হা হা😄😄😄😄😄 এই একদম হাসবি না, আমি এখন ও বিয়ে করি নাই, বিয়ে করলে অবশ্যই তোকে বলতাম,
।
দেখ বিয়ে সময় তুই চলে আসলি..। (রানা) হয়েছে হয়েছে আর ফাঁকি বাজি দেখাতে হবে না, এখন গাড়ি থেকে নাম, আর ফারজানাকে নিয়ে গিয়ে টাকা গুলো দিয়ে আয়...।
।
কিন্তু তুই যাবি না..! না রে আব্বু আম্মু বলেছে তাঁদের আশে পাশে যেনো না থাকি..। আমি গিলে এখন টাকা গুলো নিবে না...।
।
তোরা গিয়ে টাকা গুলো দিয়ে আয়...। দেখ তখন মনে হয় রাগের বর্সে বলেছে মনে হয়..!(রানা) বাধদে তো তোরা গিয়ে দিয়ে আয়...। তাঁর পরে তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে বাসার ভিতরে চলে গেছে..।
।
কিছুক্ষণ পরে আমি দরজাটা খুলে বের হলাম...। বাসাটা একটু দেখে নিলাম, বাসাটা আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে গেছে, আগে বাসার রং ছিলো লাল, এখন পুরা বাসার আমার পছন্দের রং...।
।
হঠাৎ বেলকুনিতে চোখ পড়তে,আমার চোখ আকাশে উঠে গেছে, এটা আমি কাকে দেখতেছি, এটা তো রাগিণী, আর তাঁর কোলে এটা কে...!
।
রাগিণী একটা পাঁচ ছয় মাসের বাচ্চার সাথে খেলা করতেছে, হঠাৎ রাগিনী গাড়ি দিকে ফিরে থাকালো..।
আমি সাথে সাথে মাটিতে বসে পড়লাম...। জানি না রাগিণী আমাকে দেখেছে কি না...।
।
আমার সন্দেহ হচ্ছে, আমি কোনো রকম দরজা টা খুলে গাড়ি ভিতরে ঢোকে পড়লাম..। দেখতে পেলাম রাগিণী গাড়ি দিকে বার বার তাকিয়ে দেখতেছে...।
।
আর বুকের মধ্যে হাত দিয়ে কি যেনো ফিল করতেছে...। আমি রানাকে একটা মেসেজ দিলাম..।
রানা মেসেটা ওপন করলো..। মেসেজে লেখা ছিলো........!
।
ফারজানাকে বল আম্মু হাতে কিছু একটা বানিয়ে আমার জন্য আনতে, খুব ইচ্ছে করতেছে, আম্মু বানানো কিছু খেতে...।(মেসেজটা লেখতে আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো...!)
।
হঠাৎ দেখলাম, রাগিণী আমার দিকে আস্তেছে....
0 Comments