চাচাতো বোন যখন বউ (বাংলা গল্প) পর্বঃ ১৮ তম - Bangla Romantic Love Story

Bangla Romantic Love Story চাচাতো বোন যখন বউ (বাংলা গল্প) রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Romantic Love Story Bangla


Bangla Romantic Love Story, চাচাতো বোন যখন বউ, বাংলা গল্প, romantic love story bangla, romantic love story in bengali, valobashar golpo, premer golpo, bangla golpo, bangla love story
Bangla Romantic Love Story, চাচাতো বোন যখন বউ, বাংলা গল্প


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ১৮ তম


আমি যখন বাসা থেকে বের হয়ে চলে আসতে যাবো তখন, আমাকে পিছন থেকে আব্বু ডাক দিলো...। এই যে ছেলে, তোমার নাম টা ও জানি না, একটু এই দিকে আসো তো..?(আব্বু)

হায় আল্লাহ এটা আবার কোন ঝামেলায় পড়লাম, জানি না এখন কি করি..? ভয়ে ভয়ে আমি আব্বু দিকে যাচ্ছি, আব্বু দিকে যত যাচ্ছি তত আমার হার্ট বিট ধুক ধুক করতেছে, আমি সারা শরীর যেনো অবশর হয়ে যা যাচ্ছে....!

হাত পা কাঁপতেছে...! বলতে গেলে আমি ভিতরে শেষ,
আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াল, ভাগ্য ভালো যে আমার বুকে রুমাল ছিলো..। না হলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে অনেক কিছু হয়ে যেতো...?

এই ছেলে তুমি এই ভাবে কাঁপতেছো কেন..?(আব্বু আমাকে বললো) না আসলে আমার একটা কাজ আছে, তাই আমাকে যেতে হবে..?

তা কি করে হয়, এই মাত্র তো আসলে, আর হঠাৎ চলে যাচ্ছো কেন...?(আব্বু) না মানি আমার একটা মিশন আছে, তাই এখন যেতে হবে, না তোমাকে যেতে দেওয়া যাবে না, আর হ্যাঁ তোমার ভয়েসটা আমার অনেক চিনা চিনা লাগতেছে..?

তুমি কি আগে কখনো এই এলাকায় আসছিলা..?(আব্বু) হঠাৎ দুই বছর আগের কথা গুলো মনে পড়ে গেছে, বুকের ভিতর কালো ছায়া নেমে আসলো..।

বলতে গেলে এখন আমার চোখ দিয়ে বৃষ্টি নামবে...। কোনো রকম নিজেকে ঠিক রেখে বললাম, জ্বি হা এই এলাকায় প্রায় বিগত আঠারো বছর সি আই ডি কাজ করেছি...?

আমি এখন আসি প্লিজ অন্য কোনো একদিন আসবো, আপনাদের বাসায়, আমার এখন সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বাই, ঘাড় টা ঘুড়াতে অবাকক হলাম, রাগিণী একটা নীল রঙের শাড়ি পড়ে সিঁড়ি উপরে দাঁড়িয়ে আছে.....।

তাঁর মানি কি রাগিণী বিয়ে করে পেলেছে, কথাটা ভাবতে কেমন যেনো বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো....।
আমার বিয়ে সমন্ধে যত দূর জ্ঞান আছে, মেয়েরা শাড়ি পড়লে নাকি বিয়ে পরে পড়ে...।

কিন্তু নীল রং তো আমার favourite ওটা রাগিণী ও জানতো, অর্থ দাঁড়াচ্ছে রাগিণী এখন ও বিয়ে করে নাই, এমন ও তো হতে পারে রাগিণী হাসবেন্ড প্রিয় রং নীল......।

কিন্তু এর মাঝে ও আমার হাসি আসতেছে, রাগিণী কুঁচি টা ও ভালো করে ধরতে পারে নাই, কেমন যেনো গুলমাল হয়ে গেছে, আগে প্রায় সময় রাগিণীকে আমি শাড়ি কুঁচি ধরে দিতাম, তখন রাগিণী কোনো বাধা দিতো না...।

এই দুই বছর পরে রাগিণী দেখলাম, আগের চেয়ে বেশ সুন্দর হয়েছে, কিন্তু একটু চিকন হয়ে গেছে, পাগলি তখন কিইই ভুলটা না করলো, আমাকে ভুল বুঝার কারণ ও আছে বটে,

এত রাতে একটা সিঙ্গেল ছেলে একটা সিঙ্গেল মেয়ের রুমে ঢুকলে, সবাই সন্দেহ করবে, এটা সাভাবিক....। আমি এত গভীরে কেন যাচ্ছে, তাঁর পরে চলে আসলাম, বাইরে, আমার পিছু বাসার সবাই বের হলো....।

এখন কোনো রকম তাদেরকে আলগার দিয়ে, পেলতে হবে না হলে কেউ এই খান থেকে যাবে না..? আমি গাছে আড়াল হয়ে গেলাম...। কিছুক্ষণ পরে সবাই বাসার ভিতরে চলে গেছে...!

আমি চুপ চাপ এসে গাড়ি ভিতরে বসে পড়লাম...। আমি গাড়িটা নিয়ে শপিং মহলে চলে আসলাম...।
এসে আম্মু আর ছোট আম্মু জন্য শাড়ি কিনলাম..।

আব্বু আর ছোট আব্বু জন্য পাঞ্জাবি কিনলাম..! আর রাগিণী জন্য কিছু শাড়ি কিন্তু, জানি না ছোট বাচ্চাটা কার..। তাঁর জন্য কি কিছু একটা নিবো...? হুম তাঁর জন্য ও কাপড় নিয়,

তাঁর পরে সব কিছু নিয়ে টাকা দিয়ে চলে আসলাম, আবার বাসার সামনে, কিছুক্ষণ পরে ফারজানা আর রানা আসলো, কি এতক্ষণ কোথায় ছিলি...?(রানা) এই তো কিছু কাপড় আনতে গেলাম...।

ফারজানা এই নাও এই গুলো দিবে রাগিণীকে, আর এই গুলো ছোট আম্মু আর আম্মুকে, আর এই গুলো আব্বু আর ছোট আব্বুকে, আর এই গুলো রাগিণীর কোলে থাকা ছোট বাচ্চাটাকে দিবে...?

তোমাকে কে বলেছে কাপড় আনতে, দেখো তো আমি আব্বু আম্মু জন্য কত গুলো কাপড় এনেছি...? আচ্ছা বাদ দাও মনে করো এই গুলো ও তোমার কাপড় সব গুলো এক করে দিয়ে আসো..?

হুম তাই তো করতে হবে, আর হা এই শাড়ি কতটা দিয়ে কিনলে..?(ফারজানা) এই দুই হাজার পাঁচ টাকা...। কিইই এত টাকা দিয়ে শাড়ি কিনলে, দেখো তো আমার গুলো তোমার কিনা শাড়ি থেকে দুই গুলো ভালো মাত্র এক হাজার টাকা...।

আচ্ছা বাবা টাকা আছে তুমি বাড়িক, এখন গিয়ে কাপড় গুলো দিয়ে আসো...। একটু জন্য ধরা পরে যেতাম...? হুম তা তো ধরা পরবে, ওই খানে হিরো সাজতে গিয়ে ছিলা কেন..?

আমি যদি হিরো সাজতে না যাই থাম, তাহলে তোমাদের কি হয়তো আল্লাহ জানে, হুম সব বুঝি, এখন তুমি বসে থাকো, আমি আস্তেছি..। বলে ফারজানা আর রানা সব কাপড় গুলো নিয়ে বাসার ভিতরে চলে গেছে.......

Part 19

Post a Comment

0 Comments