বাংলা গল্প Premer Golpo চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Valobashar Golpo
চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প |
চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ২৪তম
কিইইইই..! না কিছু না, ভালো লাগছে না, তাই ছাঁদে আসলাম..। আমি চলে যাচ্ছি ভালো থেকে...। ফ্ল্যাট গাড়ি কি নিবো নাকি অন্য গাড়ি নিয়ে চলে যাবো...। কিছু তো বুঝতে পারছি না...। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ছাঁদ থেকে নেমে চলে আসলাম..।
।
কিন্তু হঠাৎ ফারজানা কথা গুলো মনে পড়লো, হঠাৎ ফারজানা আমার সাথে এই রকম কেন আচরণ করলো..? ফারজানা কথা গুলো মানতে পারছি না..? লাগেজ গুলো নিয়ে নিচে চলে আসলাম...।
।
মা বাবাকে সালাম করলাম, তাঁর পরে মামার কাছ থেকে বিদায় নিলাম, বলতে গেলে..। এখন আমি পুরা পুড়ি প্রস্তুত, বাইরে এসে নিজের বাসার গাড়িটা লাগেজ গুলো রাখলাম..।
।
চোখ গেলো ছাঁদে উপরে..। দেখলাম ফারজানা উপরে দিকে থাকিয়ে আছে, যেনো সে আমাকে দেখে নাই..।
হঠাৎ মনে পড়লো ফ্ল্যাটের চাবির কথা..। বাসায় ঢুকে চাবিটা নিলাম, সাথে ফারজানা রুমে গিয়ে...!
।
পুরানো সিমটা রেখে দিলাম..। ফারজানার ল্যাপটপে উপরে রেখে দিলাম...! নিচে এসে আব্বুকে ডাকলাম...। আব্বু টাকা গুলো লোকমান স্যার থেকে নিয়ে নিবে..! আমি বলে দিয়েছি...। আর হা কান্না করবে না কিন্তু..?
।
মা বাবা কান্না করতেছে..? তারপরে গাড়ি পাশে এসে ছাঁদে একবার তাকিয়ে দেখলাম, ফারজানা আমার দিকে কোনো কেয়ার নেই..। বলতে গেলে সেই আমাকে চিনে না..। কি নিষ্ঠুর, তাঁর পরে গাড়িতে উঠে মা বাবাকে বিদায় দিয়ে গাড়ি টা স্টার্ট দিয়ে চলা শুধু করলাম..।
।
কান্না পাচ্ছে. তাঁর পরে দুই ঘন্টা ড্রাইভ করে একটা খুলা রাস্তায় ঢুকলাম, ঠিক গ্রামটা নাম জানি না..। অনেক পানির তূসনা লাগলো..। গাড়িটা ব্রেক করলাম একটা ছোট দোকানের কাছে..! চাচা পানি পাওয়া যাবে...?
।
হুম বাবা পাওয়ার যাবে..! তাঁর পরে পানি নিয়ে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে বিল দিলাম...। চাচা গ্রামটা নাম কি জানতে পারি..? হুম বাবা গ্রামটা নাম কৃতীপুর..।
আজব নাম তো কৃতীপুর ও গ্রামের নাম আছে নাকি।।।
।
আচ্ছা চাচা এই খান থেকে হুহুঙ্কারপুরে যেতে কতক্ষণ সময় লাগবে..? প্রায় তিন ঘন্টা লাগবে..।(চাচা) ধন্যবাদ চাচা আছি পরে না হয় আবার দেখা হবে ভালো থাকবেন..? হুম বাবা তুমি ও ভালো থেকো....।
।
তাঁর পরে গাড়িটা স্টার্ট দিয়ে চলা শুরু করাল..। একঘন্টা অতিবাহিত করে দেখলাম..। একটা বয়স্ক মহিলা টা পানি কলসি নিয়ে রাস্তা রাস্তা হেটে যাচ্ছে । ভালো ভাবে হাটতে ও পারছে না..। কেন যে তাদেরকে পানির জন্য পাটায়...আল্লাহ জানে...!
।
গাড়িটা মহিলাটার কাছে গিয়ে দাঁড় করালাম..। ভয়ে পেয়ে গেছে..। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম..। হুম কি ডাকবো হুম পেয়েছি দাদি ডাকি হি হি হি..! এই যে দাদি আপনি পানি গুলো কোথায় নিয়ে যাবে..?
।
বাসায় নিয়ে যাবো..। কিন্তু তুমি কে বাবা..? আমি.আমাকে চিনবেন না আমি এই গ্রামে নতুন আসছি..। যাই হোক এখান থেকে আপনার বাসায় যেতে কতক্ষণ লাগবে...। আদা ঘন্টা লাগবে..। বাবা, আচ্ছা চলেন আপনাকে আমি পৌঁছে দিয়ে আছি..?
।
তাঁর পরে আমি কলসিটা নিয়ে গাড়িতে উঠালাম..। আমি গাড়িটা স্টার্ট দিলাম, গাড়ি আস্তে আস্তে চলাচ্ছি, কারণ রাস্তাটা ভীষণ ভাঙ্গাচুরা, বলতে গেলে এটা কোনো রাস্তা না..। আচ্ছা দাদি আপনার কি কোনো ছেলে মেয়ে নেয়..?
।
দেখলাম কথাটা বলার সাথে সাথে বয়স্ক মহিলাটা কান্না করে দিলো..। সরি সরি মনে হয় আপনাকে কষ্ট দিয়ে পেলেছি, আমি একটা টিসু দিয়ে বললাম এই নাও মুখটা মুছে পেলেন...?
আমার হাত থেকে টিসুটা নিয়ে বললো, আমার তিনটা ছেলে আছে..। তাহলে আপনি কেন পানির জন্য আসলেন...? কি করবো বাবা, আমাকে তো পানির জন্য আসতে হয়..! বলেন কি তাহলে আপনার ছেলে মেয়ে কি করে..?
।
তাঁরা তো বিয়ে সাদি করে, আমাদের দুইজনকে রেখে চলে গেছে..? What's চলে গেছে মানি..? বুঝতে পারলাম না কথাটা..? একটু বুঝিয়ে বলবেন...! আমার ছয় জন লোক তিনটা ছেলে একটা মেয়ে আর আমরা দুইজন বুড়ি, মেয়েটাকে প্রথমে বিয়ে দিয়ে দিলাম..।
।
তাঁর পরে এক এক করে ছেলে গুলোকে ও বিয়ে দিয়ে দিলাম..। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতে ছেলে গুলো আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে..। oh no...।
কথা গুলো একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বললো, একদম বিচ্ছিন্ন বলে প্রতক্ষান করলো, যেনো কোনো বিদ্যুৎতিক তার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো করে বললো...।
।
আরো কিছু কথা বলে, ওই এলাকায় চলে আসলাম..। গাড়ি থেকে নেমে দাদিকে ও নামালাম..। হঠাৎ চোখ পড়লো একটা দোকানে..। আরে এই লোকটাকে কোথায় যেনো দেখেছি...? কিন্তু লোকটাকে কোথায় দেখেছি ঠিক মনে পড়ছে না..।
।
হঠাৎ লোকটা আমার দিকে আসতেছে.। লোকটা আমার কাছে এসে বললো রাশেল তুমি এই খানে..?(লোকটা) আপনি.. তুমি আমাকে চিনতে পারছো না..। মনে আছে একবছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে একদিন রাতে তুমি মিশন করতে যাওয়ার সময় তোমার মানি ব্যাগ মেরেছি..? আমি ও লোকটা....।
।
ও তুমি, কিন্তু তুমি এই খানে কি করছো..? সরি ওই দিনের জন্য, দেখেন তোমার কথা এবং তোমার দেওয়ার টাকা গুলো দিয়ে আজকে আমি আমার গ্রামের সব চেয়ে একজন ভালো দোকান দার হয়ে গেছি...। oh Really...Good job চালিয়ে যাও...।
।
আর হ্যাঁ এই দাদুকে চিনো..? হুম চিনি তো ও তো আমার মাশি মা..। কিন্তু কি করেছে..? আরে কিছু করে নাই.। ওর ছেলে গুলো কে চিনো...! হুম চিনি..। কোথায় থাকে এখন ছেলে গুলো..? হুহুঙ্কার পাড়া গ্রামে থাকে..। তার মানি আমি যেই খানে যাচ্ছি ওই খানে তাকে..। আচ্ছা যাই হোক...।
।
আর শুনো এঁরা দুইজন কে মা বাবা মতো দেখবে, আর তোমার দোকান থেকে যা যা চাই সব গুলো দিবে..। চাল ডাল তরকারী, সব গুলো এই নাও টাকা এই খানে পঞ্চাশ হাজার টাকা আছে..। আর লাগলে আমাকে বলবে..?
।
আর ওই লোক গুলো ছবি গুলো দাও..। দাদি এই দোকান থেকে যা যা লাগে নিয়ে নিবো, কোনো টাকা দিতে হবে..! কিন্তু বাবা তুমি কেন আমাদের জন্য এত টাকা দিচ্ছ..? মনে করেন আমি ও তোমার ছেলে, ভালো তাকবেন, আমি যাই তাহলে..। হুম বাবা তুমি ও ভালো থেকো...।তাঁর পরে ছবি গুলো নিয়ে এক ঘন্টা দশ মিনিট ড্রাইভ করে চলে আসলাম গ্রামটাই...। স্যার আমার জন্য একদম পারফেক্ট বাসা বাড়া করলো..। স্যার উম্মমমম উম্মমমম...। ফ্ল্যাটের উঠলাম, ফ্রেশ হলাম, বেশ টায়ার্ড লাগতেছে..!
।
বেডে শুয়ে পড়লাম কখন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজে ও জানি না..। রাতে ঘুম ভাঙ্গলো, একটা মহিলা এসে খাবার দিয়ে গেলো, খাবার গুলো খেয়ে নিলাম, একটু ল্যাপটপে কাজ করলাম, বেলকুতে এসে দাঁড়ি দাঁড়ি রাতে পরিবেশ অপভোগ করতেছি...।
।
ঝি ঝি পোকা ঝিঁ ঝিঁ করতেছে..। কিছু দূরে দূরে একটু একটু লাইট দেখা যাচ্ছে, লাইট বললে ভুল হবে, বলা যায় গ্রামের বাসায় চেরাগ বলে..। এখন এই সব নেই, এই গুলো ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়...! যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করলাম...।
।
তাঁর পরে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম..! সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার বেলকুতি আসলাম...। রাতে ভালো ভাবে দেখতে পেলাম না, হঠাৎ চোখ গেলো রাস্তা পাশে চার পাঁচ জন্য ছেলে একটা মেয়েকে ডিস্টার্ব করতেছে...।
আমি তারাতাড়ি গিয়ে বেড থেকে পিস্তল টা নিয়ে নিচে আসলাম আস্তে আস্তে যত তাঁদের পাশে যাচ্ছি ততই আমার বুকটা
।
ধুক ধুক করতেছে, কারণটা কি আগে তো কখনো এমন করে নাই, আজকে হঠাৎ কি হলো..? আমি তাদের পাশে এসে লোক টাকে ডাক দিলাম, হেই ইউ..? লোক গুলো আমার দিকে ফিরলো, সাথে মিয়েটা ও আমি তো মেয়েটাকে দেখে অবাকক..... এটা কি ভাবে হতে পারে.. তাঁর মনি কি সেই এই খানে বি.....
0 Comments