Bangla Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব ৫) Valobasar Golpo

Are you looking for bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love at first sight,ছাত্রী থেকে আদরের বউ, valobasar golpo, bangla love story, funny love story, mojar golpo, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more

Bangla Love Story (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব ৫) Valobasar Golpo,true love story, Bangla romantic love story, love at first sight,ছাত্রী থেকে আদরের বউ, valobasar golpo, bangla love story, funny love story, mojar golpo, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo,

গল্প : ছাত্রী_থেকে_আদরের_বউ
Part : 05
লেখক : J.M.Aminul

.
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেড়ী হওয়ায় আর ব্রেক-ফাস্ট করা হলো না। না খেয়েই ক্যাম্পাছের দিকে রওনা দিলাম।
ক্যাম্পাছে পৌছাতেই সুমনের সাথে দেখা । এই একটা মানুষই এখন আমার একটু কেয়ার করে।
> কি রে ভাই! কি খবর?
> এইতো ভাই ভালো। তোর?(সুমন)
> হুম আমিও ভালো। আচ্ছা সুমন তুই কারো সাথে প্রেম করিস না কেন?
> ভাই আজকাল প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই রে । যা আছে সব সার্থ উশুল করার একটি প্রক্রিয়া। এখানে সত্যকারের ভালোবাসার কোন দামই নেই।(সুমন)
> তবুও তোর এমন একজনকে খোজা উচিৎ ছিলো যে তোর কেয়ার করবে, তোকে ভালোবাসবে, তোর সুখ-দুঃখের ভাগিদার হবে।
> আমার সুখ-দুঃখের ভাগিদার তো তুই আছিস ভাই!(সুমন)
> দেখ তবুও তোর উচিৎ কারো সাথে ঘড় বাধা। আমার এটাই একমাত্র তোকে তোর এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারবে।
> কিন্তু ভাই আজকাল কাউকে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয়। আর জানিস তো বিশ্বাস জিনিসটা নষ্ট হলে কতটা কষ্ট লাগে।(সুমন)
> আরে ভাই এমনোতো কেউ থাকতে পারে যে তোকে তার জীবন থেকেও বেশি ভালোবাসে!
> হা হা হা। নেই রে ভাই! আমার জীবনে এমন কেউ নেই(সুমন)
> চল আমার সাথে ।
> কই যাবি !(সুমন)
> আগে চলতো।
এরপর ক্যাম্পাছে মীমকে খুজতে লাগলাম। ঐ তো মীম ।
> ঐ মীম দাড়াও।
আমার সাথে সুমনকে দেখে মীম অপ্রস্তুত হয়ে গেল। কিছুটা লজ্জা পাচ্ছে তা ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি সুমনকে নিয়ে মীমের কাছে গেলাম..
> হুমম মীম কাল আমাকে যে কথাগুলো বলেছিলে তা এখন সুমনকে বলে ফেলো।
মীম লজ্জায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। তাই দেখে আমি বললাম..
> চল সুমন মীম মনে হয় তোকে কিছু বলবে না!(মীম শুনিয়ে আমি সুমনকে নিয়ে হাটতে শুরু করলাম)
এই বার মীম মুখ খুললো..
> ভাইয়া আমার খুব লজ্জা করছে!! (মীম)
> এসব বিষয়ে চুপ থাকলে তার জন্য অনেক বড় কিছু হাড়াতে হয়। তাই বলছি তারাতারি বলে ফেলো। আমি ঐ সাইডে যাচ্ছি তুমি ওর সাথে কথা বলে দুজন একসাথে এসো।
আমি মীম আর সুমনকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে আসলাম।
> কিছু বলবেন !(সুমন)
> হুম বলবো।(মীম)
> কি বলবেন বলুন?(সুমন)
> আসলে...(মীম)
> হুম বলুন?(সুমন)
> সুমন আমি তোমাকে ভালোবাসি।(মীম)
> কিহ !! তুমি তো আমাকে ঠিক ভাবে চিনোও না। আর আমি তো তোমার নামটাও আজই জানলাম! কি ভাবে হলো এসব!(সুমন)
> আসলে তোমায় প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায়। তারপর তোমায় ফলো করতে শুরু করি। তুমি সবার থেকে আলাদা এবং খুব ভালো তাই তোমায় ভালোবেসে ফেলি(মীম)
> আবেগ! এসব আবেগ ছাড়া আর কিছুই নয়। কিছু দিন আমার সাথে থাকলে এ আবেগ আর থাকবে না। আমার বেপারে জানার আগ্রহকেই তুমি ভালোবাসা বলছো। একে অপরের মনের কথা বুঝতে পারার শক্তিকেও ভালো বন্ধুত্ব বলে আর ভালোবাসা তও আরো গভীর একটা প্রক্রিয়া।(সুমন)
> WOW! আমি আবার তোমার উপর লাড্ডু হয়ে গেলাম। আচ্ছা যাও ভালোবাসার নাম দিলাম না অন্তত্য তোমাকে বোঝার সুযোগ দাও। তারপর বাকিটুকু দেখাযাবে।(মীম)
> হুম ঠিক আছে আজ থেকে আমরা বন্ধু। এখন চলো মাসুদ বসে আছে।(সুমন)
এরপর ওরা আমার কাছে আসলো।
> কিরে সুমন! তাহলে মনের মানুষ পেয়ে গেলি!
> না রে এখনো অনেক বড় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে তোমার বোনকে।(সুমন)
> আরে আমার বোন ঠিকই করে নিবে কোন ব্যাপার না। কি বলো মীম!
> জ্বি ভাইয়া।
তারপর একসাথে বসে কিছুক্ষন কথা বললাম। জানতে পারলাম মীম সম্পর্কে।
বড়লোকের মেয়ে কিন্তু অহঙ্কার নেই, আমাদের মতোই স্বাধারণ জীবন-যাপন করতে ভালোবাসে।
কিছুক্ষন কথা বলার পর সুমন একটা দরকারের ফলে আমাদের মাঝথেকে উঠে গেলো। তখন আমি আর মীম..
> তা ব্যাপার কতদুর!
> আর বইলেন ভাইয়া! আপনার বন্ধু আস্ত একটা খাটাশ। এতো ভালোবাসি তবুও বিশ্বাস করতেই চায় না। না পেরে বন্ধু হয়ে থাকতে হচ্ছে।(মীম)
> ওর বন্ধুত্বটাই অনেক। আর হ্যা ওর মনে জায়গা করার সকল সুযোগ আমি করে দিব। চিন্তা নাই।
> ধন্যবাদ ভাইয়া।(মীম)
> শোনো একটা কথা! তোমার ফলে যদি কোনো কারনে আমার ভাইটা কষ্ট পায় তবে আমি কিন্তু তোমায় ক্ষমা করবো না।
> ভাইয়া আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে ও কষ্ট পায়।(মীম)
> হুম ধন্যবাদ(তারপর আমি মীমকে সুমনের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে সব বলতে লাগলাম)
এরি মধ্যে সুমন চলে আসলো।
> ভাই এইটা রাখ(সুমন)
> মোবাইল কেন?
> ভাই তোকে অনেক মিস করি। রাখ না ভাইয়েদ দেওয়া একটা জিনিস!(সুমন)
> আচ্ছা ঠিক আছে দে।
সুমন ফোনটায় নিজের নাম্বার করে দিলো। তারপর মীমও আমার নাম্বার নিলো।তারপর তিনজনে কিছুক্ষন গল্প করে তারপর আমি আর সুমন ক্লাছে গেলাম আর মীম নিজের ক্লাছে গেলো।
ক্লাস শেষ করে বাড়ী ফিড়লাম। বাড়ীর ভিতরে ঢুকতেই ..
ঠাসসসসসস
> তোকে কতো বিশ্বাস করতাম আর তুই আমার মেয়েটাকে ঠকাচ্ছিস। তোকে বলেছিলাম তোর যা লাগে সব নিয়ে নে কিন্তু আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিস না। কিন্তু তুই এতোটা নিচ আগে জানতাম না।(নিলিমার বাবা)
> বাবা আমার অপরাধ!
> এমন ভাব দেখাচ্ছিস যেন কিছুই জানিস না! এটা কি?(বলেই আমাকে একটা ছবি দেখালো যেখানে মীম আমায় জড়িয়ে ধরেছে )
আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। মীম কখনোই আমার এতোটা কাছে আসে নি। আর ওকে তো আমি বোন মনে করি।
> বাবা বিশ্বাস করেন এগুলোর কিছুই সত্য না।
ঠাসসসসসস
> আমি নিজেও আজ তোকে এই মেয়েটার সাথে দেখেছি। আবার মিথ্যা বলছিস লজ্জা করে না! তোকে বিশ্বাস করে আমার মেয়েটাকে তোর হাতে তুলে দেওয়াই ছিল আমার সব চেয়ে বড় ভুল। আমি নিজেই আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলাম। তোকে বিশ্বাস করে আমার বাড়ী ঠায় দেওটাও ছিল আমার ভুল। আরে তোর বাবা-মা তো অনেক ভালো ছিলেন তুই এমন কেমনে হলি!(নিলিমার বাবা)
> বাবা ওকে তুমি কিছু বলবে না। ভালো হোক , খারাপ হোক ও আমার স্বামী। ওকে কিছু বললে আমার খারাপ লাগে।(নিলিমা)
> দেখ! দেখ! আমার মেয়েটাকে দেখ। তোকে কত্তটা ভালোবাসে। তবুও তুই কি করে ওকে ঠকাচ্ছিস!(নিলিমার বাবা)
> বাবা ওকে যদি তুমি আর একটা কথা বলো তো আমি ওকে নিয়ে এই বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যাবো(নিলিমা)
যতটা না কষ্ট হচ্ছে নিলিমার বাবার কথায় তার চেয়ে বেশী অবাক হচ্ছি নিলিমার আচরনে।
নিলিমা আমার হাতটা ধরে রুমে নিয়ে গেল। রুমে এসেই দরজা আটকে দিলো..
> কিরে ছোটলোকের বাচ্চা! কেমন লাগলো আজকের অভিনয়?(নিলিমা)
নিলিমার উপর এতোটাই রাগ উঠে গেলো যে ঠাসস করে একটা বসিয়ে দিলাম ওর গালে.
> আমি তো বলেই ছিলাম তোকে মুক্তি দিয়ে দিবো তবে কেন এমন করছিস?
> কারন তোকে শুধু আমার জীবন থেকেই নয় আমার বাড়ী থেকেও বেড় করতে চাই।(চিৎকার করে বললো নিলিমা)
> এটাই যদি তোর উদ্দেশ্য হয় তবে কাল থেকে তুই আর এ ছোটলোকের বাচ্চাটার মুখ দেখতে পারবি না।
> চলে যা। মুক্ত কর আমায়(বলেই রুম থেকে চলে গেলো নিলিমা)
আমি ছাদে চলে আসলাম..
'এ আমি কি করলাম! আমি নিলিমাকে চড় মাড়লাম! কি করবে পারলাম আমি! আর আমি নিলিমার আছে এতোটাই বিরক্তি কর! রাশেদ আঙ্কেলও আমায় ভুল বুঝলো! কেউ বিশ্বাস করলো না আমার কথা! ঠিক আছে নিলিমা যখন চায় তবে চলেই যাবো । থাকবো না ওর চোখের সামনে। ভালো থাকুক ও"
ছাদে দাড়িয়েই সন্ধা পেড়িয়ে রাত হয়ে গেলো। রাতেও কেউ আমায় খাবার জন্য ডাকলো না। আজ সাড়াদিন কিচ্ছু না খাওয়া মাথা খুব ব্যথা করছে ।
হঠাৎ করেই ছাদে মাথা ঘুড়ে পরেগেলাম। কিছুক্ষন পর শরীরে পানি পড়ায় জ্ঞান ফিরলো। চোখ খুলে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। আমি রুমে চলে গেলাম। মাথাটা এখনো ঝিনঝিন করছে ।
পড়ার টেবিলে বসে নিলিমার জন্য একটা চিঠি লিখলাম। যাতে আমার না বলা কথাগুলো লিখে রেখেছিলাম নিলিমার জন্য।
তারপর খালি হাতেই বেড়িয়ে পড়লাম অজানার উদ্দেশ্যে....

Part 6

Post a Comment

0 Comments