Bangla Romantic Love Story (ভাইয়ের বন্ধু যখন বর - পর্ব_২) Bangla Love Story
Are you looking for Bangla Cute love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, Bangla mojar golpo, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, premer golpo, bondhur sathe prem, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more
ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍TaNiAPart_2
-কলেজে যাবার জন্য তিশা রেডি হচ্ছে।আজ কলেজে parents metting আছে, তাই তিশার মা বাবাকে যেতে হবে কলেজে।কিন্তু বাবার সময় নেই তাই তিশার মা একাই গেলো তিশার সাথে।
ও পরিচয় টা মনে হয় দেয়া হয়নি এখনো আমার, আমি তিশা। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরছি,খুব ভালো ছাত্রী না হলেও মোটামোটি আছি।আর এতে আমি সন্তুষ্ট, কারন সবাই কে যে গোল্ডেন প্লাস পেতে হবে এমন কথা না।যাই হোক আমার বাড়ীর সবাইয়ের মাথা ব্যাথা আরো একটু ভালো করে পড়লে আরো ভালো করতি।তাদের বুজিয়ে লাভ নাই।আমার যতোটুকু সম্ভব আমি চেস্টা করি,ভালো করার।আমার মতে আমি ভালো করেছি।আমরা ২ ভাইবোন। আমার বড় ভাই রায়হান।যে আমার লাইফকে হেল করে রাখে।পড়াশুনা শেষ করে চাকরীর জন্য ওয়েট করছে।কিছু ভালো জায়গায় ইন্টার্ভিউও দিয়েছে।ভাইয়া সিয়র এর মধ্যে কোন এক জায়গায় চাকরী হয়ে যাবে।সারা দিন কোন কাজ নাই বলে আমার পিছে লেগে থাকে।বাবা মা ও এতো শাসন করে না, যতোটা ও করে।ভাইরা কি এমন হয়।নাকি আল্লাহ আমাকেই এমন একটা ভিলেন ভাই দিছে।
"
"
"
-তিশা ও তিশার মা কলেজে এসে পৌছাল। তারা ওয়েট করছে, তিশার রোল অনুযায়ী ভেতরে ডাকবে।তিশা কিছুটা চিন্তিত। কারন এবার পরীক্ষা গুলো তেমন ভালো করে দেয়নি।এমনিই আমাকে বকে আমি নাকি পড়া চোর,তার উপর আজ যদি আফরোজা মেডাম মা কে কিছু বলে তাহলে বাড়িতে গিয়ে মার একটাও নিচে পরবে না।সব আমার গালে.... তিশা এগুলো ভাবছে গালে হাত দিয়ে। কিছুক্ষন পর তিশার রোল ডাকা হলে ভাবনার জগত থেকে বের হয়ে মাকে নিয়ে আফরোজা মেডাম এর কক্ষে গেলো।তাদের বসতে দিয়ে আফরোজা মেডাম তিশার মাকে জিজ্ঞেস করলো বাড়ীতে সবাই সুস্থ আছে কিনা।তিশার মা কিছুটা অবাক হলো এমন প্রশ্নে,তৎক্ষনিক জবাব দিয়ে জিজ্ঞেস করলো কেন মেডাম হঠাৎ এমন প্রশ্ন।
আসলে তিশা মোটামোটি ভালো ছাত্রী, কিন্তু এবার পরীক্ষাগুলো তেমন ভালো হয়নি তাই জানার জন্য বাড়ীতে কেউ অসুস্থ ছিলো কিনা যার কারনে পড়তে পারেনি।তাই হয়তো পরীক্ষাগুলো খারাপ হলো কিনা।
"
"
"
-আসলে মেডাম পরীক্ষার কিছুদিন আগেই ওর প্রাইভেট টিচার টা চলে গিয়েছিলো।তখন একা পড়তে একটু সমস্যা হচ্ছিলো।তাই হয়তো কিছুটা বিশৃঙ্খল হয়ে পরেছিলো।
"
"
"
-হয়তো,,,, এমনেই ওর কোন সমস্যা নেই।কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষার বেশী দিন বাকি নাই।তাই ওকে এখন পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী হতে হবে। আপনারও একটু খেয়াল রাখবেন।তাহলেই হবে।
"
"
-ওকে মেডাম আমি সব বুজেছি, এবার আসি।
"
"
-ওকে....।(আফরোজা মেডাম)
"
"
-মেডাম এর কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখলাম মা আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।আমি জিজ্ঞেস করলাম.. মা কি হইছে।এমন করে কি দেখছো আমায়,,,আগে দেখনো কখনো।
"
"
- মা রেগে গিয়ে বললো আজ আসিছ বাসায়, আর এমন মিস্টি কথা গুলো তোর ভাই আর বাবার জন্য বাঁচিয়ে রাখ।রায়হান টিকিই বলেছে তুই একটা পড়া চোর হয়ে গিয়েছোস।। দিন দিন মানুষের উন্নতি হয়,আর তোর অবনতি হচ্ছে।আমার তো তকে নিয়ে গর্ব করার কথা।
"
"
-মায়ের কথা শুনে তিশার সুন্দর মুখ খানী মলিন হয়ে গিয়েছে।আর মাকে পটানোর বৃথা চেস্টা করছে।যাতে মা বাসায় গিয়ে তার ভাইকে আর বাবাকে কিছু না বলে।কিন্তু লাভ হয়নি।অর মা কোন কথাই শুনতে রাজি না।তাই তিশাও রেগে গিয়ে বললো... হুমমমম আমার তো মনে হয় তুমি আমার মা না শুধু রায়হান ভাইয়ের মা,তাইতো তোমার মাঝে দয়া মায়া কম,আমার মা হলে আমার মতো দয়ালু হতে।
"
"
-দেখ তিশা বাজে কথা বাদ দে।আর বাসায় এসে নিজেকে কিভাবে বাঁচাবি সেটা ভাব।আমি গেলাম বাসায়,তুই ক্লাসে যা।
"
"
-ক্লাসে গিয়ে তিশা নিলা কে সব বললো,আর অর থেকে বুদ্ধি চাইলো আজকে কিভাবে বাঁচা যায়।নিলা তো একদম না বলে দিলো।।
"
"
-তোর কি মাথা খারাপ হইছে, তোর ভাই যদি শুনে আমি তোকে কোন উল্টা পাল্টা বুদ্ধি দি,তাহলে আমাকে মাথায় তুলে একটা আছার মারবো।আর আমিতো এই ভয়ে আছি আবিরের কথা জানলে আমায় কি করে, আমার সেদিন মৃত্যু দন্ড নিশ্চিত।। রাতে এ চিম্তায় গুম হয় না আমার জানোস,হারামি তোর জন্য।
"
"
-এতো চিন্তা করোস কেন! আমি কি ওর সাথে প্রেম করে বেরাইছি।ভালো লাগতো তাই একটু আকটু কথা বলতাম।আর কি করছি।
"
"
- প্রেম করার ইচ্ছা না থাকলে এখানেই স্টোপ যা।আর আগে বারিস না।তা না হলে.....থাক আর বলবো না।
"
"
-আরে বাদ দে... আগে বল এখন কি করবো।আমি কোথাও পালিয়ে গেলে কেমন হয় বলতো।
"
"
-তোর মাথার সব নাট বল্টু কি ঢিলা হয়ে গেছে বলতো। (লিনা)
"
"
-তিশা আবাক হয়ে বললো নাতো,,,কেন তুই এমন বলছোস।
"
"
-তাহলে কি বলবো,তুই ভাবছোস তুই এমন করলে তোর ভাই তোকে যেখান থেকে পারুক খুঁজে এনে একটা রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে।তাহলে ভালো হবে তাই না।
"
"
-নিলার কথা শুনে তিশা গভীর চিন্তায় মগ্ন হলো,আসলেই তো আমার ভাই এটা করতেই পারে, ওর কোন ভরসা নাই,এমনেই বলে পরীক্ষায় খরাপ করলে নাকি বিয়ে দিয়ে দিবে।তার উপর এটা করলে আমার কপালে রিকশাওয়ালাই জুটবে।না না না... বলে চিৎকার করলো তিশা।
"
"
-চিন্তা বাদ দে...যা হবার হবে।ভাইয়া হয়তো একটু বকবে। খেয়ে নিস।এতো কিছু খেতে পারছ, একটু বকা খেলে কি হবে।
"
"
-হুমমমমম....।
"
"
-কলেজ থেকে সোজা বাসায় গেলো।ওর আজ বাসায় যেতেও ভয় লাগছে।বাসায় গিয়ে সোজা রুমে গিয়ে ফ্রেস হলো,কিছু খেয়ে বিশ্রাম নেবার জন্য বিছানায় পিঠ লাগাতেই ঘুমিয়ে পড়লো।সন্ধ্যায় মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
"
"
-কি হইছে মা এতো ডাকাডাকি কেন করছো।
"
-তোর বাবা আর রায়হান ডাকছে তোকে ড্রয়িংরুম এ আস।
"
- এ কথা শুনে আমার কলিজার পানি সব শুকিয়ে গেছে।তবুও আস্থে আস্থে ড্রয়িংরুম এর দিকে পা বাড়ালাম।
"
-তিশা এসব কি মা,তোর মা যা বলছে সত্য।
"
-এভাবে খরাপ করার কারন কি বলো, তোমার সমস্যা না জানলে সমাধান কি করে করবো।
"
-ভাইয়া আমার দিকে ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে।আমি কি বলি তা জানার জন্য হয়তো।
"
-আসলে বাবা তিন মাসে তিনটা টিচার আসছে।আর নতুন টিচার এসেই পুরানো টিচারের সব বদলে নতুন করে সব দেয়।যার কারনে সব কিছু উলট পালট লাগতো আমার। পড়াগুলো টিক মতো কভার করতে পারনি।আর পরীক্ষা ও সামনে এসে পরেছে তাই এমন হলো বাবা।একদমে কথা গুলো বলে চুপ হয়ে যায় তিশা।
"
"
- টিক আছে বুজলাম।কিন্তু এই সমস্যার কথা গুলো আগে বললে এমন হতো না।আমরা কিছু না কিছু ব্যবস্থা করতাম।
"
"
- রায়হান তখনো চুপ। কিছুই বললো না।হয়তো সমস্যা টা বুঝতে পরেছে তিশার।
"
-রায়হান তুমি কালই ওর জন্য ভালো একটা টিচার এর ব্যবস্থা করবে।আর পরীক্ষার আগ পর্যন্ত যাতে আর টিচার বদলাতে না হয়, তেমন ভাবে দেখে আনবে।
"
-টিক আছে বাবা।(রায়হান)
"
-তিশা দেখলো ওর ভাই ওর দিকে এখনো ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে।
"
-ভাইয়া তুমি কি আমায় কিছু বলবে।
"
-না তেমন কিছু না,এমনেই তোর কাজে আমরা অনেক গর্বিত। আর কিছু বলে তোকে ফুলিয়ে দিতে চাই না।
"
-তিশা ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে গেলো ভাইয়ের এমন কথা শুনে।
"
-রাতের খাবারের পর রায়হান ভাবছে।কার কাছে দিলে তার আদরের বোন টি সুরক্ষিত থাকবে আর পড়াতেও পারবে।কারন এর আগের তিনটা টিচারের মধ্যে দুটারি চরিত্র ভালো ছিলো না।তা কিছু দিন এর মধ্যেই রায়হান বুঝতে পারলো, আর সাথে সাথে না করে দিলো। এর মধ্যে নীলয় ছেলেটা ভালো ছিলো কিন্তু ওর ভালো চাকরী হওয়াতে তিশাকে পড়াতে পরেনি।রায়হান সিগারেট টানছে আর ভাবছে এতো আর্জেন্ট একটা ভালো টিচার কই পাবে।ওর ফ্রেন্ডস এর অনেকেই টিউশনি করে কিন্তু তাদের সভাবও তেমন ভালো না।এমন সময় জিশান ফোন করলো।
"
-কি রে খুব টেনস মনে হচ্ছে।রায়হানকে জিজ্ঞেস করলো।
"
-রায়হান সব বললো। এখন কি করি বলতো।
"
-আরে ভাবিস না কাল দেখবো নি।কি করা যায়।এখন ঘুমা।রাখি।
"
-জিশান ফোন কাটার পর রায়হান ভাবতে লাগলো জিশান হলে মন্দো হতো না।কিন্তু জিশান কি রাজি হবে।ওর কোন কিছুর অভাব নেই।ওকে কোন মুখে বলবো তিশাকে পড়াতে, যদি রাজি না হয়।ধুর কাল দেখবোনি।মানলে মানবে,তা না হলে অন্য কিছু ভাববো।
চলনে...
0 Comments