Love Story Bengali (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব ৬) Cute Love Story

Are you looking for bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love at first sight,ছাত্রী থেকে আদরের বউ, valobasar golpo, bangla love story, funny love story, mojar golpo, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more

Love Story Bengali (ছাত্রী থেকে আদরের বউ - পর্ব ৬) Cute Love Story,Bangla romantic love story, love at first sight,ছাত্রী থেকে আদরের বউ, valobasar golpo, bangla love story, funny love story, mojar golpo, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo,

গল্প : ছাত্রী_থেকে_আদরের_বউ
Part : 06
লেখক : J.M.Aminul

.
সকালে ঘুম থেকে উঠে আর ছোফায় মাসুদকে দেখতে পেলো না নিলিমা।
ও ভাবছে হয়তো বাইড়ে গেছে। তারপর তার স্বাভাবিক কাজগুলো করতে লাগলো। সকাল পেড়িয়ে দুপুর , দুপুর পেড়িয়ে সন্ধা হয়ে গেলো এখনো মাসুদের দেখায় পায়নি নিলিমা।
তখনি গত কালের কথাটা মনে পড়ে গেল "কাল থেকে আর এই ছোটলোকের বাচ্ছাটার মুখ দেখা লাগবে না তোমার।"
তার মানে কি মাসুদ সত্যি সত্যি চলে গেছে! যাক ভালো হয়েছে! আমি বেঁচে গেলাম।
কথা গুলো ভাবতে থাকে নিলিমা। এরপর সবার সাথে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লো নিলিমা। বাড়ীতে কেউ মাসুদের কথা একটা বার জিগ্গাসাও করলো না।
আজ নিলিমার ঘুম আসছে না। ''আচ্ছা আমি মাসুদের সাথে কেন খারাপ ব্যবহার করলাম! আমি তো ওকে মেনেও নিতে পারতাম! আর তাছাড়া মাসুদের সাথে তো আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওকে কেনো এতোটা অপমান করলাম!"
আবার ভাবে "আরে ধুর! কোথাকার কে তার জন্য এতো ভাবার কি আছে! আমি যার বিষয়ে কিছুই জানি না তার জন্য কেন এতো চিন্তা করবো! যাক আপদ বিদায় হয়েছে ভালোই হয়েছে।"
এসব ভাবতে ভাবতে রাতে ঘুমিয়ে পড়লো নিলিমা। সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে গেলো। মাসুদের আজো কোনো খোজ নেই। নিলিমার আজ কিছুই ভালো লাগছে না। কিছু যেন একটা খুব করে ভাবাচ্ছে ওকে।
"আচ্ছা মাসুদের সাথে কি এমনটা করা ঠিক হলো! না ওতো আমায় জোড় করে বিয়ে করে নি! বাবাই ওকে বাধ্য করেছে এই বিয়েতে। কিন্তু ওকে এতো অপমান করার পরও কেন কোনো প্রতিবাদ করলো না! আচ্ছা আমি কেনই বা ওকে সহ্য করতে পারছিলাম না!"
মনে মনে নিলিমা এখন মাসুদকে মিস করতে শুরু করেছে। দুটি বছর একসাথে থাকার ফলে কিছুটাতো ভালোলাগা তো কাজ করেই।
তারপর তাদের বিয়ের তিনমাস সম্পূর্ন হয়েছে। তিন মাস এক ছাদের নিচে থাকলে একটু তো মায়া জন্মাবেই যতই একে অন্যকে সহ্য করতে না পারুক।
নিলিমা ব্রেক-ফাস্ট করে রুমে গেলো। না কিছুই ভালোলাগছে না ওর। মন খারাপ করে খাটের উপর বসে পরলো। তার চোখের সামনে পড়ে আছে একটি টেবিল। মাসুদ এই টেবিলটায় বসে পড়তো।
নিলিমা কি যেন মনে করে টেবিলটির কাছে গেলো। খুব সুন্দর গুছানো একটি টেবিল। বইগুলো আগের মতোই পরে আছে কিন্তু এগুলো পড়ার মানুষটাই নেই। হঠাৎই তার চোখে পরলো কলম দিয়ে চাপা দেওয়া একটি কাগজ।
নিলিমা কাগজটি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলো....
"" নিলিমা!
আমি জানতাম যে আমি তোমার কাছে এতোটাই বিরক্তিকর। জানো নিলিমা প্রথম যে দিন তোমায় দেখেছিলাম যেন আমার সময় সেখানেই থেমে গিয়েছিলো। আমি তোমায় মাঝেই হাড়িয়ে গিয়েছালাম। প্রথম দেখায় তোমার মায়ায় জড়িয়ে পড়েছিলাম। তারপর যখন জানলাম তুমি রাশেদ আঙ্কেলের মেয়ে , আমি সেই মায়া কাটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রোজ সকাল-বিকাল যখনই তুমি আমার সামনে আসতে , আমার মন যেন আর আমার বাধা মানতে চাইতো না! কি যেন একটা আকর্ষন করতো আমার মনটাকে। তুমি চোখের সামনে থাকলে মনে হাজারো কল্পনার সৃষ্টি হতে যার মূলটা তুমি ছিলে। তবুও চেষ্টা করতাম তোমার থেকে দূড়ে থাকার। আমি জানতাম তুমি আমায় একদমই সহ্য করতে পারতে না আর এখনো পারো না। তাই নিজেকে আড়াল করে রাখতে চাইতাম তোমার থেকে। খাবার টেবিলে যখন তুমি আমার সামনে বসতে, আমার চোখ দুটো আমার সাথে বেইমানী করতো, শুনতো না আমার কোনো কথা। তোমার দিকেই চেয়ে থাকতো অপলক।
এরপর আঙ্কেল যখন তোমায় পড়ানোর কথা বললো আমি আঙ্কেলকে অনেক ভাবেই না করেছি কিন্তু তার সাথে পারিনি ।
জানো নিলিমা তুমি যখন মন দিয়ে পড়তে তখন দুটি চোখ যেন তোমার দিকেই চেয়ে থাকতো। আমি পারতাম না তাদের ফেড়াতে।
আস্তে আস্তে মনে মধ্যে তোমায় নিয়ে হাজারও সপ্ন দেখতে থাকি।
যদিও জানতাম এগুলো কখনোই সত্যি হবার নয়। মিত্যেই হোক তবুও যেন মনে সান্তি পেতাম। আমি বলতে চাইতাম আমার মনের কথা তোমায় কিন্তু পারি নি। পারি নি মুখ ফুটে বলতে,'নিলিমা ভালোবাসি' হ্যা ভালোবাসি তোমায়। অনেক ভালোবাসি কিন্তু বলার সুযোগ পাইনি। হয়তো সেই সুযোগটা তুমি আমায় দাওনি।তবুও তোমায় নিবরেই ভালোবেসে জেতাম। এতেই যেই ছিল পরম সান্তি।
নিলিমা যখন তোমার বিয়ে ঠিক হলো তখন যেন আমার ভেতটা চিড়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু আমি আগে থেকেই জানতাম তোমায় পাওয়া আমার দ্বারা সম্ভব না কারন আমি তো অনাথ তাই না। কি আছে আমার! কি দিয়ে সপ্ন দেখাবো তোমায়। সবার খুশির মাঝে আড়াল হয়ে গিয়েছিল সেদিন আমার বোবা কান্না।
কিন্তু পড়ে যখন বরের সমস্যার পর আঙ্কেল তোমার সাথে আমার বিয়ের কথা বললো, তখন সময়টা আমার কাছে সপ্নের মতো লাগছিলো।
আমি জানতাম তুমি কখনোই আমায় মএনে নিবে না। তআই বিয়েতে তোমার মত জানতে অনেক বার বলেছিলাম আঙ্কেলকে। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেন নি।
তোমায় ভালোবাসি ঠিকই কিন্তু তোমার মনের বিরুদ্ধে আমি তোমায় কখনোই পেতে চাই নি। জানো নিলিমা যখন তোমার সাথে আমার বিয়ে হচ্ছিলো আমার মনে হচ্ছিলো আমি যেন আর অনাথ নই , আজ থেকে আমারও একটা পরিবার হলো কিন্তু দেখো এটাও আমার কপালে সইলো না।
ছোট থাকতে অনাথ আশ্রমে ছিলাম, আঙ্কেল আমায় বিশ্বাস করে এখানে নিয়ে এসেছিলো কিন্তু তা আজ নষ্ট হয়ে গেলো।
নিলিমা জানো তোমার কোনো প্রতিবাদ করিনি আমি কেন করিনি! কারন আমি আঙ্কেলকে সত্যটা বললে সে তোমায় খারাপ ভাববে। তোমার বাবা, তোমার পরিবার সেখানে আমি কে!
তাই ভাবলাম তুমি ভালোথাকো। আমি শড়ে গেলাম তোমার জীবন থেকে।
জানো নিলিমা তোমার অপমানেও ততোটা কষ্ট পাইনি যতটা লাগতো ছোটলোকের বাচ্চা বললে। জানো নিলিমা আমার একসময় সবই ছিলো কিন্তু নিয়তি আমার কাছ থেকে সব কিছুই নিয়ে নিয়েছিলো।
আমার বাবা ছোটলোক ছিলো না।
যাক সে কথা এই ছোটলোকের বাচ্চাটা আর তোমার সামনে আসবে না। কোন ভুল করে থাকলে আমায় মাফ করে দিও আর হ্যা নিজের খেয়াল রেখো,
ইতি,
ছোটলোকের বাচ্চা""
কাগজটি পরে নিলিমা কিছুক্ষনের জন্য পাথর হয়ে গেলো। নিজের ভুলেই এমন একটা মানুষকে হাড়ালো যে কিনা তাকে এতো ভালোবাসতো!
আসলে নিলিমা মাসুদের ব্যাপারে কিছুই জানতো না।
নিলিমা দৌড়ে নিজের বাবার কাছে চলে গেলো..
> বাবা মাসুদ কে?(নিলিমা)
> কেন ?(নিলিমার বাবা)
> বলো please(নিলিমা)
> মাসুদ হচ্ছে তোর শহীদ আঙ্কেলের ছেলে। জানিস মা আমিও অনাথ ছিলাম। তোর শহীদ আঙ্কেল ছিলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আজ আমি এই পজিশনে একমাত্র তোর শহীদ আঙ্কেলের কারণেই। মাসুদ ছোট থাকতে তোর আঙ্কেল আর আন্টি একটি দুর্ঘটনায় মাড়া যান। তারপর মাসুদ অনাথ আশ্রমেই বড় হয়। আমি ভেবেছিলাম আমি তোর জন্য ভালো ছেলেই নির্বাচন করেছি কিন্তু কে জানতো ও এমন হবে! আমি নিজের অজান্তেই তোর জীবনটা নষ্ট করে দিলাম রে মা!(নিলিমার বাবা)
> বাবা আমি অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি! অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি!(নিলিমা)
> কি হয়েছে মা বল আমায়!(নিলিমার বাবা)
> বাবা আমি মাসুদের সাথে অনেক বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছি!(নিলিমা)
> কি হয়েছে বলবি তো!(নিলিমার বাবা)
> (এরপর নিলিমা বাবাকে সবকিছু খুলে বললো)
ঠাসসসস
> তুই আমার মেয়ে হয়ে এমন একটা কাজ করতে পারিস আমি ভাবতেও পারি নি! আমি ছেলেটা কে কি থেকে কি বলে ফেলেছি! মাসুদ এখন কোথায় আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই?(নিলিমার বাবা)
> বাবা মাসুদ কাল থেকে বাড়ী নেই।(কান্না করতে করতে নিলিমা)
> বাড়ী নেই মানে কোথায় ও?(নিলিমার বাবা)
> জানি না বাবা। ও আমায় ছেড়ে চলে গেছে। আমি ওকে তারিয়ে দিয়েছি(হাউ মাউ করে কেদে উঠে নিলিমা)
ঠাসসসস
> তুই কি করে করতে পারলি এমনটা ছেলেটার সাথে!(নিলিমার বাবা)
> বাবা তুমি আমায় যা করবে করো কিন্তু আমায় মাসুদকে এনে দাও বাবা। আমায় মাসুদকে এনে দাও(কাদতে কাদতে নিলিমা)
নিলিমার বাবার মেয়ের উপর প্রচন্ড রাগ ওঠে কিন্তু মেয়ের কান্না সে সহ্য করতে পারে না..
> কাদিস না মা। আমি মাসুদের খোজ করছি।(নিলিমার বাবা)
নিলিমার বাবা পুলিশকে খবর দেয় ।নিলিমার বাবা জানতো যে সুমন মাসুদের বেস্ট ফ্রেন্ড তাই সে নিলিমাকে নিয়ে সুমনের কাছে চলে যায়।
সুমনের বাড়ী গিয়ে জানতে পারে সুমন সদর হাসপাতালে আছে তাই নিলিমার বাবা ও নিলিমা চলে যায় হাসপাতালে। তারা সুমনের কাছে পৌছাতেই..
> সুমন বাবা! মাসুদ কোথায়? মাসুদের খবর জানো ?(নিলিমার বাবা)
> ......(সুমন চুপচাপ দাড়িয়ে আছে)......
> ভাইয়া! ভাইয়া বলো মাসুদ কোথায় প্লিজ ভাইয়া আমাকে মাসুদের কাছে নিয়ে চলো(নিলিমা সুমনের হাত ধরে কাদতে কাদতে বললো)
সুমন একঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিয়ে..
> আর কতো নাটক করবি নিলিমা! আমার ভাইটার জীবনটা শেষ করে দিয়েছিস তুই। মাসুদের যদি কিছু হয় সত্যি বলছি আমি তোর খুন করে ফেলবো(অনেকটা রাগের সাথে বললো সুমন)
> ভাইয়া আপনি আমায় যা করবেন করেন। আমি ভুল করেছি আমায় একবার মাত্র একবার ওর কাছে নিয়ে চলুন।(এখনো কাদছে নিলিমা)
সুমন কোন কথা না বলে একটি কেবিনে ঢুকে গেলো। নিলিমাও অনুরোধ করতে করতে সুমনের পিছে পিছে কেবিনটিতে ঢুকলো।
ঢুকতেই যেন নিলিমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো।
মাসুদ! মাসুদ এখানে শুয়ে আছে কেন! কি হয়েচে ওর!!

Part 7

Post a Comment

0 Comments