Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৬) Bangla Golpo

Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৬) Bangla Golpo

Are you looking for Bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love story books, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more

Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৬) Bangla Golpo, love story books, sad love story Bangla, Bangla love story, romantic love story
(অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৬)

অবহেলিত_বয়ফ্রেন্ড
পর্ব_০৬লেখক_Ariyan_Ripon



তিশা আর রাবেয়ার ঝগড়ায় সুজন খুব বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলো..তাই বললো কাওকে যেহে হবে না,,আমি চলে যাচ্ছি..
এই কথা বলেই সুজন চলে গেলো।
রাবেয়াঃদেখো তিশা আমার আর সুজনের সম্পর্ক ৪ বছরের তাই তুমি আমাদের মাঝে আসার একদম চেষ্টা করবে না..
তিশাঃভুল বলছিস তুই?কারণ রিলেশন ছিলো দুই বছর তারপর তুই সুজনকে সহ্য করতে পাড়তি না।
রাবেয়াঃ রিলেশনে একটু আকটু ভুল বুঝাবুঝি থাকবেই,,তাই বলে তৃতীয় কেও আসবে সেটা তো হতে পারে না..
তিশাঃহুম ঠিক বলেছিস,,তুই আমাদের মাঝ থেকে চলে যা।
রাবেয়াঃ আমি কেনো যাবো?আমাদের দুজনের মাঝে তুমি এসেছ তাই যদি যাওয়াও হয় তুমি যাবে..
তিশাঃআমি তো কিছুতেই যাচ্ছি না..কারণ আমি সুজনকে অনেক ভালোবাসি.
রাবেয়াঃকিন্তু সুজন আমাকে ভালোবাসে আর আমি সুজনকে..
তিশাঃসুজন আগে তোকে ভালোবাসত,,কিন্তু এখন আর তোকে ভালোবাসে না,,আর সুজন অতবোকা না যে তোকে আবারর ভালোবেসে তোর সাথে রিলেশন শুরু করবে..
রাবেয়াঃকরবে কি করবে না সেটা আমি আর সুজন বুঝে নিবো..তোমার সাথে কথা বলার আমার কোনো ইচ্ছা নেই..আমি শুধু এই টুকু বলছি সুজনের থেকে দূরে দূরে থেকো।
তিশাঃআরে আমি কোথায় থাকবো সেটা আমি বুঝবো..এই কথা বলেই তিশা চলে গেলো..
রাবেয়ার পুরো শরীর জ্বলছে..কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না..
তিশা চলে যাবার পর রাবেয়া কিছু একটা নিয়ে খুব ভাবছিলো..কিন্তু হিসাব টা মিলাতে পাড়ছিলো না,,
কিছুদিন পর সুজন মিরাজ আর তিশা বসে আছে,,
সুজন চাইছিলো না একসাথে বসতে,,কিন্তু সুজন যখন প্রচুর কষ্টে ছিলো এই তিশাই পাশে থেকে সুজনকে সব ভুলে থাকতে সাহায্য করছিলো..তাই সুজন তিশার সাথে তেমন খারাপ ব্যাবহার করে না..
হঠাৎ একটা বাইক আসলো একটা অপরিচিত ছেলে আর রাবেয়া ছিলো..
তিনজন হা করে তাকিয়ে আছে,,বিশেষ করে সুজন বেশি অবাক হয়েছে..কারণ রাবেয়া ছেলেদের সাথে মিশলেও কোনো দিন, কোনো ছেলের কাছ থেকে লিফট নিতো না,,কিন্তু আজ রাবেয়ার কি হলো?একদম সোজা অপরিচিত একটা ছেলের সাথে ভার্সিটি চলে আসলো??
সুজন কিছুতেই হিসাব মিলাতে পাড়ছে না,,
রাবেয়া বাইক থেকে নেমে সুজনকে উদেশ্যে করে বললো আরে সুজন সাহেব অমনভাবে হা করে তাকিয়ে থেকো না,,মশা ঢুকে যেতে পারে..
সুজনঃ কিছুটা অস্বাভাবিক বোধ করলো..কিন্তু নিজেকে আবার সামলেও নিলো।
রাবেয়াঃআমি জানি তোমাদের সবার মাথায় একটা কথা ঘুড়ছে,,এই ছেলেটা কে?আর আমি কেনোই বা এর সাথে কলেজে আসলাম??তাহলে সবাই শুনে নাও,,
রাবেয়াঃএনি হলো আমার খালাতো ভাই,,কিছুদিন পর এনার সাথেই আমার বিয়ে হচ্ছে..
সুজন আর মিরাজ কিছু না বললেও
তিশা বসা থেকে উঠে গিয়ে রাবেয়াকে জড়িয়ে ধরলো..আর বললো তুই আমার মায়ের পেটের বোন না,,,কিন্তু তুই আমার যে সাহায্য করলি.আমার মায়ের পেটের বোনও মনে হয় এত করতো না..
রাবেয়সঃআমি আবার কিভাবে সাহায্য করলাম?(অবাক হয়ে)
তিশাঃসেটা পড়ে বলবো এখন সবার সামনে বলা ঠিক হবে না,,
রাবেয়াঃআচ্ছা যে কারণে এখানে আসা আগামী ০৯ তারিখ আমাদের বিয়ে,,তোমাদের সবাইকে দাওয়াত,,এখন মুখে বললাম,,কিছুদিন পর কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করবো...আর শুনো আগেই বলে রাখি জনি আমাকে বিয়ের মিথ্যা নাটক করতে বলেছিলো,,কিন্তু আমি ভাবলাম মিথ্যা নাটক কেনো করতে যাবো।যে আমাকে ভালোবাসে না তার জন্য??তার থেকে ভালো আব্বু আম্মুর কথামত কাওকে বিয়ে করে নিবো..
তাই আব্বুকে বললাম..
রাবেয়াঃআচ্ছা আজ আসি,,এইকথা বলে রাবেয়া আবার বাইকে উঠে ছেলেটাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো,,ঠিক সেই সময় সুজনের মনে হলো কেও একজন তার বুকে ছুড়ি বসিয়ে দিলো
এমন কেনো হলো সুজন সেটা নিজেও জানে না,,
সুজন কারো সাথে কোনো কথা না বলে বাসায় চলে গেলো..রাবেয়া বিয়ে এই কথা মনে পড়তেই সুজনের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে..
পরদিন বন্ধ ছিলো
তাই সুজন ঘুরতে বেরহয়েছে,,হঠাৎ সুজনের চোখ গেলো একটা ফুচকার দোকানের কাছে,,কালকের সেই ছেলেটার সাথে রাবেয়া বসে ফুচকা খাচ্ছে..সুজন দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলো..কিন্তু কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে রাবেয়া সুজনকে ডাক দিলো।
সুজন যাবে না যাবে না করেও তাদের কাছে গেলো..
রাবেয়াঃআরে সুজন সাহেব আপনি এসেছেন..আসুন বসুন ফুচকা খান..চিন্তা করবেন না আপনি যত ইচ্ছা খেতে পারেন আপনার দুলাভাই বিল দিবে..
রাবেয়ার কথা শুনে সুজনের প্রচণ্ড রাগ হলো..
কিন্তু তারপরেও বললো সত্যি দুলাভাই টাকা দিবে??
রাবেয়াঃদুলাভাই না দিলে আমি দিবো আপনি খান..
সুজনঃএই মামা প্রচুর ঝাল দিয়ে ফুচকা বানাতে থাকো তো..
রাবেয়াঃ কি ঝাল?আপনি না ঝাল খান না.
সুজনঃহুম খায়না,কিন্তু দুলাভাই এর টাকায় ফুচকা খাবো যদি ঝাল দিয়ে খাই অনেকদিন মনে থাকবে..আর এমনি খেলে কিছুদিনের মধ্যেই সেটা ভুলে যাবো
ফুচকা চলে আসছে সুজন খেতে শুরু করলো..
এতো ঝাল হয়েছে যে বলার বাইরে,,কিন্তু সুজন খেয়েই যাচ্ছে
এতোক্ষন রাবেয়া চুপ করে দেখছিলো.
কিন্তু সুজনের অবস্থা দেখে আর চুপ থাকতে পাড়লো না,,
রাবেয়াঃএই তুমি কি শুরু করেছে এমনভাবে ঝাল খাচ্ছ কেনো?এই নাও পানি খাও..
সুজনঃ কোনো কথা না বলে এর একপ্লেট নিয়ে বসলো ঝালের কারনে চোখ মুখ সব লাল হয়ে যাচ্ছে,,কিন্তু এই ঝালের কষ্ট অন্যসব কষ্টের কাছে কিছুই না,,তাই সুজনের কোনো রকম লাগছে না,,৪র্থ প্লেট থেকে মাত্র দুইটা ফুচকা খেয়েছে।
আর রাবেয়া এসে ফুচকার প্লেট ফেলে দিলো..
#রাবেয়াঃএই পাগল হয়ে গেছ?চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু খেয়েই যাচ্ছে।
#সুজনঃ বললো দুলাভাই কিছু মনে করবেনন না,,একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি..এই কথা বলেই সুজন চলে গেলো.
ছেলেটাঃকি হলো তুমি এইভাবে কাঁদছ কেনো...?
রাবেয়াঃ ও আমার উপর শুধু আমার উপর রাগ করে এমনভাবে ঝাল খেলো.আমি জানি ওর অনেক কষ্ট হয়েছে..
ছেলেটাঃআরে তুমি তো এটাই চাইছিলে ওকে কষ্ট দিতে(আরোহীর কাধে হাত রেখে)
রাবেয়া ঝামটা মেরে হাত টা সড়িয়ে দিয়ে বললো একদম আমাকে ছুবে না বলে দিচ্ছি
ছেলেটাঃআচ্ছা ছুবো না এখন বাসায় চলো..
রাবেয়াঃতুমি বাসায় যাও আমি পড়ে বাসায় যাবো।
ছেলেটাঃআচ্ছা আমি গেলাম,,,
রাবেয়া সেখান থেকে কোনো এক কারনে সুমিদের বাসায় চলে গেলো..
সুজন বাসায় এসেইই শুয়ে পড়ছে..
পরদিন ভার্সিটিতে..
সুজন একাই বসে আছে ক্লাসে যেতে মন চাচ্ছে না,,
সুজন লক্ষ্য করলো সেই ছেলেটার সাথে রাবেয়া বাইকে করে আসছে..ভালো করে লক্ষ্য করলো রাবেয়া ছেলেটার একদম গা ঘেঁষে বসে আছে।
তাই সুজন অন্যদিকে নজর সরিয়ে নিল.
কিন্তু বজ্জাত দুইটা আর কোথায় না থেমে এসে থামলো সুজন যেখানে বসে ছিলো ঠিক সেখানে..
রাবেয়া ঝটপট নেমে বললো,
রাবেয়াঃআচ্ছা এখন তাহলে যাও,,ছুটি হলে আমি তোমাকে ফোন করে ডেকে নিবো.আজকে আমরা মুভি দেখতে যাবো..
ছেলেটা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো..
সুজন কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না,,ওকে শুনিয়ে কথাটা বললো সেটা সুজন বেশ ভালোই বুঝতে পাড়ছে,,
সুজন তিশাকে ফোন দিলো,,কারণ তিশাকে দিয়েই কাজ হবে মানে কাটা দিয়ে কাটা তোলা যাবে,
রাবেয়ার একটু সামনে গেছে তখন চিল্লায় চিল্লায় বললো তিশা শুনো আজকে আমরা বিকালে মুভি দেখতে যাবো..।
এই কথা শুনে রাবেয়া দাঁড়িয়ে গেছে,
সুজনঃআরে সত্যি বলছি আমি কি মিথ্যা বলতে পারি??আর তুমি আজকে ভার্সিটি আসলে না কেনো??তোমাকে খুব মিস করছি।
আসলে সুজন কাওকেই ফোন দেই নাই,,
রাবেয়া তো রেগে পায়ের নিচে একটা পুকুর বানিয়ে ফেলছে জুতা দিয়ে গুতিয়ে..
সুজনঃআরে কালো জামা পরে আসবে,,হ্যা আমার খুব প্রিয়,,আর আমি তো তোমাকে দেখছিলাম কালো জামাতে তোমাকে একদম পরিদের মত লাগে..
রাবেয়া আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না,,
সুজনের কাছে ফিরে এসে বললো এইই যে মিস্টার সুজন কথা বলবেন ভালো কথা,,কিন্তু আসতে বলতে পারেন না?
সুজনঃনাহ আমি আসতে কথা বলতে পারি না,,আর এখানে কেও নেই,,তাই আমি জোরে কথা বলছিলাম..
কিন্তু আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি আমার কথায় কান দিচ্ছিলেন..কিন্তু এইভাবে কারো কথায় কান দেওয়া অন্যায় সেটা আপনি জানেন না??
রাবেয়াঃ নাহ আমি জানিনা,,,আর আপনি কার সাথে কোথায় কি করতে যাবেন তাতে আমার কিছুই যায় আসে না..
সুজনঃআমি কি একবারো বলেছি আপনার যায় আসে।
রাবেয়াঃআপনি তিশার সাথে কি করবেন না করবেন তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।
সুজনঃআমি কি একবারো বলেছি আপনার যায় আসে।
রাবেয়াঃনাহ আমার মনে হলো আপনি আমাকে শুনানোর জন্যই এতো চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে কথা বলছিলেন..
সুজনঃআমি আমার more then friend এর সাথে কিভাবে কথা বলবো না বলবো সেটা আপনাকে না ভাবলেও চলবে এখন এখান থেকে যান তো..,,
রাবেয়াঃযদি না যাই আপনার কি ক্ষমতা আছে আমাকে এখান থেকে সড়ানোর,,
সুজনঃদেখুন আপনি আমার সামনে থেকে যান তো আপনাকে দেখলেই না আমার গা অনেক জ্বলে..অসহ্য লাগে আপনার কথা গুলো
রাবেয়া এতক্ষণ হেসে হেসে কথা বললেও সুজনের কথা শুনে রাবেয়ার হাসি উড়ে গেলো..
রাবেয়াঃকিহহহহ বললে তুমি?আমার কথা তোমার অসহ্য লাগে??(করুণ সুরে)
সুজনঃহ্যা লাগে,,আর তোমার হবু জামাই কেমন?বউ কোথায় কি করছে না করছে সেই ব্যাপারে কোনো খোজ খবর রাখে না..আমি হলে তো আমার বউকে কারো সাথে কথা বলতেই দিতাম না,,অবশ্য আমি জানি আমার বউ তোমার মত এত ছ্যাঁচড়া হবে না,,আর শুনো অভ্যাস তো তাই তুমি বলে ফেলছি..এর জন্য আবার কিছু মনে করো না,,আর শুনো এখন থেকে আমার সামনে একটু কম কম আসবে কেমন??
এই বলে সুজন নিজেই সেখান থেকে উঠে চলে গেলো..
সুজন রাবেয়াকে তার সামনে কম কম যেতে বলেছে এই কারণেই যে রাবেয়ার বিয়েটা সুজন মন থেকে মেনে নিতে পাড়ছে না,,সুজনের খুব ইচ্ছা হচ্ছে রাবেয়াকে গিয়ে বলতে যে তুমি অন্য কোথায় বিয়ে করো না,,কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সুজন সেটা করতে পারে না,,বিকালে সুজন সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে শুধু এটা দেখতেই যে রাবেয়া আর অই ছেলেটা সিনেমা দেখতে আসে কিনা..কিন্তু রাবেয়াদের কোনো খোজ খবর নেই,,,
বিরক্ত হয়ে সুজন বাসায় চলে গেলো..আর সুজন এটাও বুঝতে পাড়লো যে তাকে কষ্ট দিতেই বা শোনানোর জন্যই রাবেয়ার তখন অই কথাটা বলছিলো..
বাসায় গিয়ে সুজন ফ্রেশ হয়ে
খেয়ে শুয়ে পড়লো..হঠাৎ একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো..
সুজন যেহেতু জেগে ছিলো তাই রিং হওয়া মাত্রই কল রিছিভ হলো..
সুজনঃহ্যালো আসসালামু ওয়ালাইকুম
ওপাশ থেকে সালামের উত্তর নিয়ে,
কি ব্যাপার সিনেমা হলের সামনে আজ কার জন্য অপেক্ষা করছিলে?(মেয়েলি কন্ঠ)
সুজনঃআমি যার জন্যই অপেক্ষা করি আর না করি সেটা জেনে আপনি কি করবেন?আর আপনি কে বলুন তো।
সেটা তো এখন বলা যাবে না আমি কে তবে আপনার জন্য মায়া হচ্ছিলো জানেন,আজ আপনার পার্টনার আসলো না,,কি সুন্দর প্লান ছিলো একসাথে বসে সিনেমা দেখবেন..
এইবার সুজনের আর বুঝতে বাকি নেই মেয়েটা কে হতে পারে..
সুজনঃকি ব্যাপার আপনি কি আজকাল আমার উপর নজর রাখছেন নাকি??
রাবেয়াঃঅহহ ধরে ফেলেছেন!!তাহলে আর গোপন করে কি হবে..আর শুনুন আমি আপনার উপর নজর রাখিনি আমার একফ্রেন্ড বললো তাই আমি আপনাকে বললাম..
সুজনঃতাহলে সেটা এখন আমাকে বলতে আসছেন কেনো??আর আপনি আপনার ফ্রেন্ডের কাছ থেকে আমার খবর নেই তাই না??
রাবেয়াঃনাহ আমি কেনো তোর খবর রাখতে যাবো?
সুজনঃমানলাম রাখেন না,,কিন্তু অমনভাবে তুতলাচ্ছেন কেনো?
রাবেয়াঃকই না তো
সুজনঃআচ্ছা আপনার মিথ্যা কথা বলা হয়ে গেলে এখন রাখি.
রাবেয়াঃকেনো কেনো রাখবি কেনো??
সুজনঃআমার ঘুম পাচ্ছে,আর ফোন ওয়েটিং পেলে কেও একজন খুব রাগ করবে তাই
রাবেয়াঃমা-মা--নে রাগ করবে মানে?কে রাগ করবে..।
সুজনঃযার রাগ করার অধিকার সেই রাগ করবে।
রাবেয়াঃতার মানে তুই অন্যকাওকে অধিকার দিয়ে দিছিস??ভাঙা গলায়?
সুজনঃআমি দেইনি আমি একজনকেই দিয়েছিলাম,,কিন্তু সে তো সেই অধিকার ধরে রাখতে পারেনি নিজেই অধিকার ছেড়ে দিয়েছে সেই অধিকার কেও একজন জোর করে নিয়ে নিয়েছে এইতো...
আর কোনো কথা নেই শুধু কান্নার আওয়াজ..
সুজন ফোনটা কেটে দিয়ে একটা ভিলেনি হাসি দিলো.?
রাবেয়া কিছুতেই মানতে পাড়ছে না সুজনের জীবনে অন্য কোনো মেয়ে আছে,,কিন্তু রাবেয়ার এমন কেনো লাগছে!,সে নিজেই তো অন্য কাওকে বিয়ে করে নিচ্ছে,,
রাবেয়া সেদিন নিজেকে নিজেই অনেক বুঝালো,,কিন্তু কিছুতেই নিজের মনকে বুঝ মানিয়ে উঠতে পাড়লো না,,রাগের মাথায় বিয়ের জন্য হ্যা বলে দিয়েছে ভাবছিলো সুজন খবরটা শুনে সুজনের মধ্যে পরিবর্তন আসবে,,হ্যা ঠিকি এসেছে তবে রাবেয়ার জন্য নয়,,এখন অন্য কাওকে নিয়ে থাকবে,,কিন্তু রাবেয়া কিছুতেই এটা মানতে পাড়ছে না,,বিয়ের জন্য যে না করবে রাবেয়া এখন সেই সাহস পাচ্ছে না,,বিকেলবেলা পর্যন্ত বিয়ে নিয়ে রাবেয়ার কোনো মাথা ব্যাথা ছিলো না,কিন্তু যখন থেকে শুনেছে সুজনের জীবনে অন্যকেও আছে তখন থেকেই কেমন জানি ফাকা ফাকা লাগছে,,,
সেদিন ফোন দিয়েও সুজনের সাথে আর কোনো কথা বলতে পারেনি রাবেয়া.
বিয়ের জন্য না করবে কিভাবে?সব আয়োজন শেষ এখন শুধু ০৯ তারিখ আসার অপেক্ষা,,
পরদিন খুব তাড়াতাড়ি ভার্সিটি চলে গেলো রাবেয়া, সুজন এখনো আসেনি,,তাই সুজনের জন্য অপেক্ষা করছিলো
প্রায় ৩০ মিনিট পর সুজনের দেখা মিললো..
রাবেয়া দেড়ি না করে দৌড়ে চলে গেল..
রাবেয়াঃঅই দাড়া তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
সুজনঃহ্যা বলুন কি বলবেন।
রাবেয়াঃতোর নতুন গার্লফ্রেন্ডের নাম কি?বাসা কই।
সুজনঃসেটা আমি আপনাকে বলবো কেনো?আর শুনুন আমি কি একবারো আপনাকে জিজ্ঞাস করেছি আপনার হবু স্বামীরর নাম কি?সে কি করে?তার বাসা কোথায়??জিজ্ঞাস করি নাই তো?তাহলে আপনি কেনো আমাকে জিজ্ঞাস করছেন?
রাবেয়াঃআমার জানার দরকার আছে,,তাই জিজ্ঞাস করছি...
সুজনঃকিন্তু আমি বলার প্রয়োজন মনে করছি না,,তাই দয়া করে রাস্তা ছাড়ুন আমি ক্লাসে যাবো.?
রাবেয়াঃআমাকে না বলা পর্যন্ত আমি পথ ছাড়বো না,,
সুজনঃদেখুন সব কিছুতে কিন্তু জেদ ভালো লাগে না,,আর আপনি এখন শুনে কি করবেন দুদিন পর তো আপনার বিয়েই হয়ে যাচ্ছে..
রাবেয়াঃবলছি তো আমার শুনতে ইচ্ছা করছে আমি শুনবো..
সুজনঃদেখুন এইবার কিন্তু আমার রাগ উঠে যাচ্ছে,,
রাবেয়াঃরাগ উঠছে তো কি হয়েছে..আমি পথ ছাড়ছি না তুই কি করবি করে দেখা!!
সুজন রাবেয়াকে এক প্রকার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো..
রাবেয়া সুজনকে যত দেখছে ততবেশি অবাক হচ্ছে,,
রাবেয়াঃনাহ এইভাবে আর না আমিও একটা মানুষ আমাকে কি কাঠের পুতুল পেয়েছে নাকি??দুই বছর অপেক্ষা করে ছিলাম শুধু এই আশাতে বসে ছিলাম,,কিন্তু এখন তো দেখছি পুরো ভিন্ন..নাহ আমি আব্বু আম্মুর পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে দেখিয়ে দিবো আমিও পারি
বিয়ের ৪ দিন আগে রাবেয়া এসে সবাইকে কার্ড দিয়ে গেছে সাথে বলছিলো আগে থেকেই বিয়ে বাড়িতে থেকে জেনো সব কাজ করে..
সবাই রাজি হলেও সুজনের কারণে আবার সবাই না করে দেয়..
কিন্তু বিয়ের ঠিক দুইদিন আগে কোনো কারণে সুজন মিরাজ তিশা আরো কয়েকজন মিলেলে রাবেয়াদের বাসায়..
রাবেয়াঃ তো বেশ অবাক হয়েছে,,
সুজনঃআরে অবাক হবার মত কিছুই নেই,,সব কাজ করতে আসলাম..সেই ছোটকাল থেকে একসাথে বড় হয়েছি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে না,,,
রাবেয়া কিছু বলতে পাড়ছে না,,শুধু রাগে ফুঁসছিল
কারন তিশা এমনভাবে সুজনের সাথে গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে দেখেই,
রাবেয়াঃতোমরা এসেছ আমি খুব খুশি হয়েছি চলো তোমাদের রুম দেখিয়ে দিচ্ছি..
তিশাঃআমার আর সুজনের রুম কিন্তু একটাই হবে।
রাবেয়াকেনো একরুম কেনো হবে(ভ্রু কুচকে)
তিশাঃকেনো আবার একসাথে থাকবো তাই..
সুজন কিছু বলছে না,,সুজন পুরোপুরিভাবে যানে রাবেয়া আর যেটাই করুক তিশাকে তার সাথে থাকতে দিবে না..
রাবেয়াঃশুনো তিশা তোমরা আমার মেহমান তাই কিছু বললাম না,,কিন্তু একেবারে না বলেও পাড়ছি না এটা ভদ্রলোকের বাড়ি।আর আমার জানামতে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে একসাথে তখনি থাকতে পারে যখন তাদের বিয়ে হয়,,কিন্তু তোমাদের তো বিয়ে হয়নি তাই এখন একসাথে থাকতে পারবে না,,মেয়েদের জন্য আলাদা রুমের ব্যাবস্থা আছে তুমি সেখানে থাকবে।
তিশাঃআর সুজন?সুজন কোথায় থাকবে??
রাবেয়াঃওদের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা আছে সেখানেই থাকবে..
বাসা সাজানোর দিন..
তিশা দেয়ালে ফুল লাগাচ্ছিলো আর নিচ থেকে সুজন ফুল দিচ্ছিলো.?আর কথা বলছিলো..
রাবেয়া সেটা দেখছিলো আর ভেতরে ভেতরে জ্বলছিলো..
হঠাৎ তিশা পা স্লিপ করে পড়ে যাচ্ছিলো কিন্তু সুজন
তিশাকে ধরে ফেললো..আহা কি সুন্দর দৃশ্য,,
সুজন তিশার দিকে আর তিশা সুজনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,
রাবেয়া সেটা দেখে আর বসে থাকতে পারলো না
এই যে রোমিও জুলিয়েট এইসব রোমান্টিক সিন ঘরের ভেতর করবেন,,এটা ভদ্র লোকের বাসা মাথায় রাখবেন..
তিশাঃধুর তোমার কি কোনো কাজ কাম নেই,,দিলে তো সব ঘেটে।
রাবেয়াঃযেটা করেছি বেশ করেছি পড়লি সুজনের কোলে কেন পড়লি ফ্লোরে পড়তে পারলি না??
কোমর ভেঙে বসে থাকতে পারলি না(মনে মনে)।
চলবে তো........?

Part 7

Post a Comment

0 Comments