Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_08 শেষ পর্ব ) Heart Touching Love Story

Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_08 শেষ পর্ব ) Heart Touching Love Story

Are you looking for Bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love story books, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more

Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_08 শেষ পর্ব ) Heart Touching Love Story, love story books, Bangla love story, romantic love story, cute love story, Bangla golpo, premer golpo, valobasar golpo, status zone bd,
(অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_08 শেষ পর্ব )

অবহেলিত_বয়ফ্রেন্ড
পর্ব_08 ( শেষ পর্ব )
লেখক_Ariyan_Ripon



সুমিতাঃআমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না শাহীন।তুমি যেহেতু আমাকে ছেড়ে অন্য কাওকে বিয়ে করতে বসেছিলে তাই আমি আর তোমার সাথে কোনো রকম সম্পর্ক রাখতে পাড়বো না সরি..আর যাও তুমি রাবেয়াকে বিয়ে করে নাও আমি সুজনকে বিয়ে করে নিবো,,
সুমিতার কথা শুনে শাহীন বাচ্চা ছেলের মত কান্না করে দিয়ে বললো বাবু আমি তোমাকে ছাড়া আর কাওকে বিয়ে করতে পাড়বো না,,প্লিজ এমনভাবে আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরে যেও না,,
সুমিতাঃকথা বলবি না তুই হারামি,,আমাকে ছাড়া অন্য কাওকে বিয়ে করতে পারবি না সেটাই যদি হয় তাহলে আমাকে না জানিয়ে এমনভাবে বিয়ে করতে বসেছিস কেনো??
শাহীনঃআরে ধুর আমি কি রাজি ছিলাম নাকি??রাবেয়া আমাকে এমনভাবে রিকুয়েস্ট করলো আর ভয় দেখালো আমি আর না করতে পারলাম না
সুমিতাঃভয় কিসের ভয়??
শাহীনঃরাবেয়া বলছিলো যদি ওর কথায় রাজি না হই তবে আব্বু আম্মুকে বলে দিবে তোমার কথা..
সুমিতাঃঅহহ এতোক্ষনে বুঝলাম তুই ভয় পেয়ে এতো কিছু করছিলি তাই না??
শাহীনঃহুম আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম..
সুমিতাঃতাহলে এখন ভয় পাচ্ছিস না কেনো।
শাহীনঃতুমি জানো না,,তুমি যখন তোমাকে ছাড়তে বলো আমার সাহস এমনিতেই অনেক বেড়ে যায়..
সুমিতাঃশুন তুই আজ আমাকে বিয়ে করবি,,যদি না করিস আমি সত্যি তোকে ছেড়ে দিবো,,
শাহীনঃএই না না আমি বিয়ে করবো..
সুজন দূরে দাঁড়িয়ে সব দেখছিলো আর হাসছিলো,,রাবেয়া সেটা বেশ ভালোভাবেই দেখছিলো
আর তিশাও রাগ করে বসে আছে সুজন এইভাবে রাবেয়ার বিয়ে ভঙ্গ করে ওর স্বপ্নে পানি ঢেলে দিলো,,মন চাচ্ছে সুজনের গলা টিপে দিতে শুধু পাবলিক প্লেস বলে তিশা নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করে আছে,,
শাহীনঃএই রাবেয়া যা সুমিতাকে তোর কাপড় গুলো দিয়ে বউ সাজিয়ে নিয়ে আয়,
সুমিতাঃ সেটার আর দরকার হবে না,,আমি সাথে করে বউ সাজতে যা যা লাগে সব নিয়ে এসেছি সুজন ভাইয়া আমাকে আগে থেকেই সব বলে দিছিলো,,আমি গিয়ে গাড়ি থেকে সব নিয়ে আসছি,,এই আমাকে রুমটা দেখিয়ে দাও কোথায় আমি সাজবো।
রাবেয়া সুমিতাকে নিয়ে গেলো..
সুমিতাকে রুমে দিয়ে আবার চলে আসলো.
এসে সুজনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো..তখন তিশা কোথায় যেনো গিয়েছিলো,,
রাবেয়াঃআচ্ছা আমাকে এখনো ভালোবাস তাই না।
রাবেয়ার কথা শুনে সুজন কিছুটা অবাক হয়ে গেলো..
সুজনঃনাহ আমি কেনো তোমাকে ভালোবাসতে যাবো।
রাবেয়াঃআমি জানি তুমি এখনো আমাকে ভালোবাস,,তাই তো আজ আমার বিয়েটা ভেঙে দিলে।
সুজনঃআমি তোমার বিয়ে এটার জন্য ভাঙেনি,,আসলে একদিন ফেসবুকিং করতে করতে শাহীনের আইডি পাই,,তাতে দেওয়া ছিলো ইন এ রিলেশনশিপ উইথ সুমিতা আক্তার,,
তাই পর মেয়েটার আইডি খুজে সব কিছু বললাম,,
আর বাকিটা মেয়েটাই করেছে।
রাবেয়াঃতুমি মুখে না বললেও আমি জানি তুমি এখনো আমাকে খুব ভালোবাস,,
সুজনঃআচ্ছা আমার ভালো লাগছে না,,আমি রুমে যাচ্ছি
রাবেয়াঃআমার কথা এড়িয়ে গেলে কেনো?
সুজনঃকিছু কথা গোপন থাকাই ভালো..।
সেদিন বিয়ে বাড়িতে সবার মন ভালো থাকলেও ৩জনের মন খারাপ ছিলো..
কয়েকদিন পর এখন আবার সবাই ভার্সিটি যাওয়া ধরছে,,
সুজন এসে ক্যাম্পাসে বসে ছিলো,,
তখন রাবেয়া এসে বললো
রাবেয়াঃহাই মামুন আই লাভ ইউ
সুজনঃ কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে রইলো।
রাবেয়া রেগে সুজনের কাছে গিয়ে কলার চেপে ধরে বললো অই কুত্তা আই লাভ বলছি সেটার উত্তর দিচ্ছিস না কেনো??
সুজনঃসত্যি উত্তর চাও তুমি??
রাবেয়াঃহ্যা উত্তর চাই(খুশি মনে)
সুজনঃআই হেট ইউ..
রাবেয়াঃসত্যি তুমি আমাকে ঘৃন্যা করো??
সুজনঃতোমার মত মেয়েকে ভালোবাসা যায় না,,
রাবেয়াঃআমি কি এতোই খারাপ যে আমাকে একটুও ভালোবাসা যায় না,,আচ্ছা আমি খারাপ
আর আসবো না তোমার সামনে,,তোমাকে মুক্ত করে দিয়ে চলে যাবো,,অনেক দূরে চলে যাবো..
সুজনঃএতো আবেগ আমাকে দেখিয়ে লাভ নেই,,যা তো এখান থেকে ভালো লাগছে না আমার।
রাবেয়াঃহ্যা যাচ্ছি চলে আর কোনো দিন আমাকে দেখতে পাবে না,এই বলে ভৌ দৌড় দিয়ে গেইট দিয়ে বের হচ্ছে যখন মাঝ রাস্তায় চলে গেছে কোনো এক সাইড থেকে একটা ট্রাক এসে রাবেয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো..সাথে সাথে রাবেয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লো..
সুজন উঠে যেই দৌড় দিতে যাবে অমনি পেছন থেকে কেও টেনে ধরেছে
তিশাঃআরে যাচ্ছ কোথায়,,যা হয়েছে ভালোই হয়েছে,,এখন ও মরে যাক তবুও তুমি ওর কাছে যাবে না,,
সুজনঃদেখো তিশা,, রাবেয়া পড়ে আছে আমাকে ছাড়ো আমাকে রাবেয়ার কাছে যেতে দাও,,
তিশাঃনাহ যেতে দিবো না,
সুজনঃ পেছন ফিরে তিশাকে জোরে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে বললো সব কিছুর একটা সীমা থাকে
থাপ্পড় খেয়ে তিশা সুজনকে ছেড়ে দিছে,
সুজন যতক্ষনে রাবেয়ার কাছে গেলো ততক্ষনে অনেক ভীর জমে গেছে,সুজন ভীর থেকে ভেতরে গেলো মাথা থেকে রক্ত পড়ছে হাত পা অনেক যায়গায় কেটে গেছে সবার সাহায্য নিয়ে রাবেয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো..
সুজন সেই তখন থেকে রাবেয়ার কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে কেদে চলেছে রাবেয়ার আব্বু আম্মু শান্তনা দিচ্ছে কিন্ত্ কিছুতেই কান্না থামছে না,,এতোদিন যে অভিমান ছিলো সেটা আজ আর নেই...?
কয়েকঘন্টা পর ডাক্তার বললো রোগীকে বেডে দেওয়া হয়েছে যান রোগীকে গিয়ে দেখে আসুন..কিন্তু প্লিজ কেও বেশি কথা বলবেন না,,রাবেয়ার আব্বু আম্মু গেলেও সুজন গেলো না কারণ সে জানে সে রাবেয়াকে অই অবস্থাতে দেখলে কান্না থামাতে পারবে না,,
তাই সে কেবিনেই বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলো..
বাবা রাবেয়া তোমাকে দেখতে চাচ্ছে
পেছন থেকে আরোহীর আব্বু,,
সুজন মাথা নিচু করে রাবেয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,,কান্না করে চলছে,
রাবেয়াঃআরে তুমি কাঁদছ কেনো(আস্তে করে বললো.)
বস আমার পাশে,,
সুজন রাবেয়ার পাশে বসলো রাবেয়া ওর আব্বু আম্মুকে বাইরে চলে যেতে বললো
তারা চলে যাবার পর
রাবেয়াঃ সুজন জানো আজ যদি তুমি না থাকতে আমি মনে হয় বাচতাম না,,যখন তুমি এসে আমাকে তোমার
কোলে তুলে নিলে ভেতর থেকে আমার কেমন জানি একটা ইচ্ছা হলো যে আমাকে বাচতে হবে হয়তো এই আত্নবিশ্বাস টাই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
সুজনঃ..........?
রাবেয়াঃআরে আরে বাচ্চাদের মত কাঁদছ কেনো?এই দেখো আমি একদম ঠিক আছি
সুজন রাবেয়াকে জড়িয়ে ধরলো আজ প্রায় ৩বছর পর সুজন রাবেয়াকে জড়িয়ে ধরলো..
সুজনঃ আমি পারবো না তোমাকে ছাড়া থাকতে জানো এতোদিন একটা অভিমান ছিলো কিন্তু আজ সেটা আরর নেই,,অভিমান করে দূরে সরিয়ে রাখছিলাম,,কিন্তু যতটা কষ্ট তুমি পেয়েছ তার থেকে বেশি আমি পেয়েছি আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি
রাবেয়াঃ আমি আর তোমাকে কখনো কোনো কষ্ট পেতে দিবো না প্রমিস করছি.
কয়েকদিন পর রাবেয়াকে বাসায় নিয়ে আসা হলো
তাদের বিয়ের কথা চলছে
তবে সুজন আর রাবেয়া আজ যাচ্ছে তিশাকে বোঝাতে,,
এখন তিশা রাবেয়া আর সুজন বসে আছে সব শুনে তিশা প্রচুর কান্না করছে..।
সুজনঃআচ্ছা তিশা এতো কান্না করো না,,আমি তোমাকে কিছু কথা বলি সেইগুলো মন দিয়ে শুনো,
আচ্ছা জোর করে কি ভালোবাসা হয়??
তুমি যেটা চাচ্ছ সেটা কিভাবে হবে বলো তো?আমি যে রাবেয়াকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে কিছুতেই ভালোবাসতে পাড়বো না,,
তিশাঃ আচ্ছা তুমি বলবে যদি বিয়েই না করি তাহলে মিথ্যা প্রতিশূতি কেনো দিয়েছিলাম
সেদিনের সেই যায়গাতে আমার যায়গায় তুমি তোমাকে আর তোমার যায়গায় আমাকে বসাও.
ধরো আমি তোমাকে জোর করছি ভালোবাসার জন্য
কিন্তু তার আগে থেকেই তুমি অন্যকাওকে ভালোবাস,
তোমাকে আমি জোর করে তোমার সব কিছু লুটে নিলাম তুমি বাধ্য হলে আমাকে বিয়ে করতে
বিয়েটা হলো তুমি কি পারবে তোমার অতীত ভুলে আমাকে নিয়ে থাকতে আমাকে ভালোবাসতে??
তিশাঃ সেটা কেনো বাসতে যাবো..এই রকম কাওকে ভালোবাসা যায় নাকি??
সুজনঃআমিও তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না,হ্যা বিপদের দিনে তুমি আমার পাশে ছিলে তাই ধন্যবাদ তুমি আমার খুব ভালো বন্ধু,,সেটা হয়েই থাকবে কিন্তু আমার আর রাবেয়ার মাঝে এসো না প্লিজ
তিশাঃ কিছুক্ষণ কিছু একটা ভেবে বললো সুজন তুমি ঠিক বলেছ জোর করে ভালোবাসা হয়না,,আর তুমি যে রাবেয়াকে এখনো ভালোবাস সেটা আমি জানতাম না,,আচ্ছা আজ থেকে আমরা বন্ধু আর শুনো তোমাদের বিয়ের সব কাজ আমি করবো বিশেষ করে বাসর ঘর আমি সাজাবো,,
সুজন আর রাবেয়ার বিয়ে হয়ে গেলো...?
বাসর রাতে,,
রাবেয়াঃএই একদম আমার কাছে আসবি না আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিস।
সুজনঃহুহ যাবো না তোমারর কাছে আমাকেও অনেক কষ্ট দিয়েছে.
রাবেয়াঃ আরে আমার পিচ্চিটা তো দেখি আবার পিচ্চি হয়ে গেছে সেই আগের মতই একটুতে খুব অভিমান করে..
সুজনঃহু আমার কোনো অভিমান নেই..
রাবেয়াঃ আসো বাবু কাছে আস অভিমান ভাঙিয়ে দিচ্ছি
এই বলে রাবেয়া নিজেই সুজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো..তারপর ইতিহাস পাতিহাঁস সব হয়ে গেলো
কয়েকদিন পর তিশার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে
সবার দাওয়া বিয়ে বাড়িতে,,,,
সুজনঃ এই তুমি আমাকে এইভাবে ধরে হাটছ কেনো।
রাবেয়াঃ যাতে করে সব মেয়েরা মনে করে তোমার বউ আছে তাই।
সুজনঃআমাকে ছেড়ে দাও আমি পিচ্চি নাকি।
রাবেয়াঃ বেশি কথা বলবা না,,এর আগে ছেড়ে দিয়ে বুঝেছিলাম তুমি কি,আবার ছেড়ে দিবো সেটা কোনো দিন হবে না,,
সুজন আর কি বলবে নিজের বউ বলে কথা,,
তিশাকে দেখে মনে হচ্ছে সেও খুব খুশি এই বিয়েতে।।
রাবেয়াঃএই বিয়ে হতে তো দেড়ি আছে চলো না নদীর তীরে হাটবো..
সুজনঃআচ্ছা চলো যায়
রাবেয়া আর সুজন চলে গেলো
নদীর তীরে হাটতে কিন্তু তারা গিয়ে দেখে মিরাজ আর মৌসুমি আগে থেকে এসের রোমান্টিক ছিন শুরু করে দিছে
রাবেয়াঃ কি ভাইয়া এইভাবে লুকিয়ে আর কতদিন এইবার আপনিও বিয়েটা করে ফেলুন।
মিরাজ আর মৌসুমি লজ্জা পেলো ওদের এইভাবে দেখে..
মিরাজঃভাবি আমি তো বলছি কিন্তু মৌসুমিই তো কিছু বলছে না,,
রাবেয়াঃ ভাবি ছেলেদের নিজের মত করে চলতে দিবেন না,,হারামিরা একটু ছাড়া পেলেও উড়তে শুরু করে,,আর আমাদের মানে মেয়েদের কষ্ট পেতে হয়,,তাই বলছি এইবার বিয়েটা করে ফেলুন..
মৌসুমিঃঠিক বলছেন ভাবি আজকেই বাসায় বলছি।
সুজনঃবাহ বেশ ভালোই হলো আরো একটা দাওয়াত খেতে পারবো,,
রাবেয়াঃ দাওয়াত না ছাই মেয়ে দেখার ধান্ধা তাই না,,এইবার আর বাইরে ঘুরতে দিবো না রুমে বসিয়ে রাখবো
এইভাবেই চলবে তাদের খুনশুটির ভালোবাসা

সমাপ্তি

Post a Comment

0 Comments