Sad Love Story (অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৭) Story Book
Are you looking for Bangla love story you will find here many types of bangla golpo like, true love story, Bangla romantic love story, love story books, love at first sight, valobasar golpo, bangla love story, school love story, love you forever, sad love story, about love, best romance novels, romantic love story, short love story, romantic story, cute love story, real love story, valobashar golpo, school life love story, romantic short stories and much more
![]() |
(অবহেলিত বয়ফ্রেন্ড - পর্ব_০৭) |
অবহেলিত_বয়ফ্রেন্ড
পর্ব_০৭
লেখক_Ariyan_Ripon
রাবেয়াঃযেটা করেছি বেশ করেছি,,পড়লি তো পড়লি সুজনের কোলে কেনো পড়লি??সোজা ফ্লোরে পড়তে পাড়লি না,,ডাইনি সুজনের কোলে কেনো পড়তে হবে।।এহহ আবার চেয়ে থাকা হচ্ছিলো মন চাচ্ছিলো চোখ গেলে দিতে..।
অন্যদিকে তিশা,
তিশাঃ এহহ আইছে ভদ্র ফ্যামিলির মেয়ে??নিজে কিনা একজনকে ভুলে অন্যজনকে বিয়ে করতে যাচ্ছে,,আর আমি কিনা একটু প্রেম করবো সেটাও করতে দিলো না,,সুযোগ পেয়ে নেই এমন বাশ দিবো না কোনো দিন ভুলতে পারবে না।।।
সারাদিন কাজ করতে করতে কেটে গেলো.।
রাবেয়া দূর থেকে সুজনের উপর নজর রাখছিলো।
আর সুজন যখন রাবেয়ার দিকে তাকাচ্ছিলো রাবেয়া অন্যদিকে চলে যাচ্ছিলো..
সারাদিনে কাজ শেষে সুজন গোসলে যাবে,,
কিন্তু এই শীতে গরম পানি না হলে চলবে না,,কিন্তু এটা তো আর নিজের বাসা না,,আর এখানে তো আম্মুও নেই যে বলবে আর আম্মু পানি গরম করে দিবে,,, তাই সুজন নিজেই রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিলো
তিশাঃআরে তুমি রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছ কেনো??পেছন থেকে ডেকে তিশা জিজ্ঞাস করলো??
সুজনঃসারাদিন তো কাজ করলাম,,এখন গোসল না করলে চলেবেই না।
তিশাঃতো ওয়াশরুমে না গিয়ে তুমি রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছ কেনো??
সুজনঃএই শীতে গরম পানি না হলে গোসল করতেই পারবো না তাই পানি গরম করতে যাচ্ছি।
তিশাঃতোমার গরম পানি লাগবে সেটা তুমি আমাকে বলবে তো??আচ্ছা তুমি যাও একটু বসো আমি তোমার জন্য গরম পানি করে নিয়ে যাচ্ছি।
সুজনঃনা না সেটার আর দরকার হবে না,তুমি কেনো কষ্ট করতে যাবে বলো তো??
তিশাঃকষ্ট কেনো হতে যাবে,,বরং তোমার জন্য গরম পানি টুকু করতে পাড়লে আমার অনেক ভালো লাগবে,,আর তুমি একটা ছেলে গরম পানি করা তোমার কাজ নয়..সেটা আমার কাজ যাও তুমি যাও বলছি..সুজন যেতে চাচ্ছিলো না,,কিন্তু তিশা এক প্রকার জোর করেই সুজনকে পাঠিয়ে দিয়ে পানি গরম করতে চলে গেলো..
সুজন গিয়ে শোফায় না বসে শুয়ে পড়লো..
রাবেয়াঃএই কি ব্যাপার তুমি একখানে এমনভাবে শুয়ে আছ কেনো??শরীর খারাপ লাগছে।
সুজনঃ নাহ এমনি গোসল করবো তো..
রাবেয়াঃতো এখানে শুয়ে আছ কেনো??যাও গোসলে যাও রাত হয়ে যাচ্ছে তো?ঠান্ডা লেগে যাবে তো..
সুজনঃহুম করবো তো কিন্তু গরম পানি ছাড়া গোসল করতে পারবো না..
রাবেয়াঃ ওহ বুঝতে পেরেছি তোমার গরম পানি লাগবে..তো সেটা আমাকে বলবে তো??
সুজনঃতোমাকে কেনো বলবো আমার গরম পানি তো হচ্ছে..
রাবেয়াঃগরম পানি করছে কে করছে??
সুজনঃতিশা করছে...
রাবেয়াঃ অহহ তিশা কর………কি বললে তুমি কে করছে?
সুজনঃ তিশা করছে তিশা...?
রাবেয়ার গায়ে মনে হলো কেও গরম পানি ঢেলে দিয়েছে খুবব গরম লাগছে ওড়না ফেলে দিলো..তারপর সুজনের কাছে গিয়ে...?
বললো অই তিশাকে কেনো বলতে গেলে??আমি ছিলাম না বাসায়?আমি তোমার জন্য গরম পানি করে দিতে পাড়তাম না,,আর তিশার সাথে কেনো এতো মেলামেশা..
রাবেয়াঃ ছাড়ো আমাকে..!কেও দেখে ফেললে ঝামেলা হয়ে যেতে পারে।
রাবেয়াঃ ঝামেলা কিসের ঝামেলা,,আর তুমি নিজেই তো ঝামেলা করলে..কোথাকার কোন তিশা তাকে দিয়ে গরম পানি করাচ্ছে,,
সুজনঃদেখো রাবেয়া আজ বাদে কাল তোমার বিয়ে,,এখন যদি কেও দেখে ফেলে দুর্নাম হয়ে যাবে,,
রাবেয়াঃ হলে আমার হবে তোমার তো হবে না,,
সুজন তারপর একটু শক্তি খাটিয়েই রাবেয়া কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো..
তারপর জোরে তিশাকে ডাকতে লাগলো..
#সুজনঃ এই তিশা,,তিশা তোমার হয়নি?আর কতক্ষণ লাগবে তোমার?
রান্নাঘর থেকে...?
তিশাঃএই তো হয়ে গেছে শীতের দিন তো তাই পানি একটু বেশি ফুটিয়ে নিচ্ছি।
সুজনঃআচ্ছা তাহলে সেটা ওয়াশরুম দিয়ে এসো,,আমার এখানে ভালো লাগছে না,,আমি ওয়াশরুমে গেলাম..
এই কথা বলে সুজন চলে গেলো...?
রাবেয়াঃদেখাচ্ছি তোর মজা আজ তোকে আমি কিছুতেই সুজনের কাছে পানি নিয়ে যেতে দিবো না,,তোর ভালোবাসা আমি বের করছি..শুধু একবার আয় তুই.(রাবেয়া বিড়বিড় করে কথাগুলো বলল)
তিশা গরম পানি নিয়ে বের হচ্ছে,,
রাবেয়াঃদাড়া তুই আয় আমার কাছে তোকে দেখাচ্ছি মজা..
তিশা এগিয়ে আসছিলো আর তখন রাবেয়া এক প্রকার দৌড় দিয়ে তিশাকে ইচ্ছা করেই ধাক্কা দিলো..
হাতে থাকা পানি সব পড়ে গেলো..
পড়লো তো পড়লো পায়েই পড়লো আর যা হবার তাই হলো চিৎকার শুরু করলো..
এমনটা হবে রাবেয়া এটা নিজেও জানে না..
তিশার চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে এলো সাথে সুজনও..
সুজন এসে দেখে তিশা পা ধরে বসে আছে..
আর সমানে কান্না করে যাচ্ছে..
সুজনঃএই তিশা পা পুড়লো কিভাবে??
তিশাঃআমি তোমার জন্য পানি নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ রাবেয়ার সাথে ধাক্কা লেগে পানি আমার পায়ে পড়ে গেছে...
সুজনঃহঠাৎ ধাক্কা লেগে নাকি ইচ্ছা করেই এমনটা করা হয়েছে সেটাই ভাবার বিষয়।
রাবেয়াঃএই তুমি মনে হয় কথাটা আমাকে শুনিয়ে বললে তাই না।
সুজনঃআমি কি কারো নাম ধরে বলেছি নাকি তাহলে আমার কথা তোমার গায়ে লাগলো কেনো??
রাবেয়াঃআমার মনে হলো তাই বললাম..
সুজন সবার সামনে না বললেও এটা ঠিক বুঝতে পেড়েছে রাবেয়া ইচ্ছা করে তিশাকে ধাক্কা মেরেছে যাতে পানি নিয়ে যেতে না পারে..
সুজন গিয়ে টুথপেষ্ট নিয়ে আসলো...
তারপর তিশা পায়ে লাগিয়ে দিতে লাগলো,,
রাবেয়া দেখছে আর বারবার নিজেই দোষ দিচ্ছে..
তিশার তো অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে..
পায়ে পেষ্ট লাগানো হয়ে গেছে,,চলো তিশা রুমে গিয়ে শুয়ে থাকবে..
তিশা উঠতে গেলো কিন্তু পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছে না,,
তিশাঃআমি হেটে যেতে পারবো না,,আমার পা খুব জ্বালা করছে.?আর প্রচন্ড ব্যাথাও করছে.
সুজনঃএমন বললে তো হবে না??তোমাকে তো রুম পর্যন্ত হেটে যেতেই হবে।
মিরাজঃআরে তুই কোলে করে নিয়ে দিয়ে আয় না..।
তিশাঃহ্যা মিরাজ ভাইয়া একদম ঠিক বলেছে তুমি আমাকে নিয়ে রুমে চলো..
রাবেয়াঃআরে এতোটুকু পুড়েছে তাতে এতো আদিক্ষেতা দেখানোর কি আছে,,
সুজনঃতুমি এর মাঝে কথা বলছ কেনো??
সুজন এমনি রাগ ছিলো তার উপর আবার এই
শুনে রাগ আরো বেড়ে গেলো..সুজন তিশাকে কোলে তুলে নিলো..আর তিশাও কি সুন্দর দুই হাত দিয়ে সুজনের গলা জড়িয়ে ধরলো..
রাবেয়া এইবার আর স্থির থাকতে পাড়লো না,,সেখান থেকে চলে গেলো..আর যেতে যেতে নিজের মাথার চুল গুলো নিজেই ছিড়তে লাগলো,,
সুজনঃ এই এইবার ছাড়ো রুমে চলে এসেছি..
তিশাঃনাহ আমি ছারবো না,,তুমি আমাকে বিছানায় শুইয়ে দাও আগে..
সুজন কোনো উপায় না পেয়ে তিশাকে বিছানায় শুইয়ে দিতে গিয়ে যখনি তিশাকে বিছানায় ফেলেছে,,, অমনি তিশা টান দিয়ে সুজনকেও নিজের উপর ফেলে দিলো.?
তিশার তখন কেমন লাগছিলো সেটা তিশাই ভালো বলতে পাড়বে.।
সুজন তাড়াতাড়ি নিজেকে সরিয়ে নিলো..
সুজনঃসরি আসলে আমি ইচ্ছা করে........?
তিশাঃথাক আরর সরি বলতে হবে না,,আমি জানি তোমার কোনো দোষ নেই,,আসলে আমার ওজন একটু বেশি তো তাই মনে হয় তুমি ঝোক সামলাতে পারোনি..?আর শুনো তোমাকে আজ আর গোসল করতে হবে না,,তুমি গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নাও..।
সুজনঃহ্যা আমিও সেটাই ভাবছিলাম..আচ্ছা তুমি রেস্ট নাও আর শুনো যদি খুব জ্বালা করে তাহলে আমাকে বলো,ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো..
এই কথা বলে সুজন চলে আসলো,,
অন্যদিনে রাবেয়া কিছুতেই নিজেকে শান্ত রাখতে পাড়ছে না,,বারবার শুধু সেই ঘটানা মানে তিশাকে কোলে নেওয়ার ঘটনা চোখের সামনে ভেসে উঠছে..
রাবেয়াও একটা প্লান করলো..
সুজনকে দেখানোর জন্য একটা নাটক করবে..
তখন বুঝবে কেমনন লাগে..
রাবেয়া সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ইচ্ছা করেই বসে পড়লো..
তারপর ওরে মা গো বাবা গো গেলাম গো বলে চিৎকার করতে লাগলো..
এইবার সবাই আসলেও সুজন দুরেই দাঁড়িয়ে ছিলো..
রাবেয়ার আম্মুঃকিরে মা তুই কিভাবে পড়লি।
রাবেয়াঃআর বলো না আম্মু আমি নাম ছিলাম হঠাৎ আমি পা স্লিপ করে পড়ে গেলাম..আওওও কি ব্যাথা..।
রাবেয়ার আম্মুঃএকটু দেখি শুনে চলবি তো?আজ বাদে কাল তোর বিয়ে এমন সময় পাটা যদি ভেঙে বসতি তাহলে কি হতো??চল রুমে গিয়ে দেখি কি হয়েছে.
রাবেয়াঃআমি একা যেটে পারবো না আম্মু..ডাকো তোমার বোনের ছেলেকে ডাকো আমি ওর কোলে উঠে রুমে যাবো আওও।
আমাকে ডাকতে হবে না আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি(শাহীন+বোনের ছেলের নাম)
রাবেয়া'তো ওইখানে হাবলার মত দাঁড়িয়ে না থেকে আমাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে চলো..।
শাহীনঃকিন্তু আমি কি তোমাকে কোলে নিয়ে উপরে উঠতে পাড়বো.যদি আমিও পরে যাই..
রাবেয়াঃআমি অতকিছু বুঝি না আমাকে তাড়াতাড়ি রুমে নিয়ে চলো..
শাহীন বেচারা আর কি করবে??
রাবেয়াকে কোলে নিয়েই তো হেলতে দুলতে লাগলো.মনে হচ্ছে এখুনি ফেলে দিবে,,কোনো রকম নিজেকে সামলে নিয়ে কয়েকটা সিঁড়ি হঠেছে
ধপাস..
রাবেয়াকে কোল থেকে ফেলে দিয়েছে আর নিজেও বসে পড়ছে..
রাবেয়াঃও মাগো ও বাবা গো এইবার আমার কোমর সত্যি সত্যি ভেঙে গেলো গো..
ওদের এমন কান্ড দেখে সবাই হাসাহাসি শুরু করে দিয়েছে..
রাবেয়াঃহনুমান বাদর একটুও শক্তি নেই তোর থেকে সুজন অনেক ভালো কি সুন্দর তিশাকে কোলে তুলে নিয়ে রুমে দিয়ে আসলো..তোর কোলে চড়াই আমার ভুল হয়েছে..মাথা মোটা একটা এমনভাবে কেও ফেলে দেয়আর একটু হলেই তো আমার কোমর ভেঙে যেতো।
সবাই সেই তখন থেকে হেসেই চলেছে শাহীনের লজ্জা পেয়ে চলে গেছে,,কিন্তু রাবেয়া উঠে যেতে পাড়ছে না,,
সুজনও নিচে দাঁড়িয়ে হাসছে..
রাবেয়াঃ এই যে এখানে হাসার মত কিছু নেই..নিচে দাঁড়িয়ে না হেসে পাড়লে কোলে করে রুমে দিয়ে আস..
কথাটা শুনে সুজন সেখান থেকে চলে গেলো..,,
রাতে খাবার সময়
সবাই চলে এসেছে কিন্তু তিশা আসছে না,,
তাই সুজন নিজে গেলো তিশাকে ডাকতে..
সুজনঃতিশা এই তিশা ঘুমিয়ে গেছ নাকি খাবে চলো..
তিশাঃআমার ভালো লাগছে না,,আমি নিচে যেতে পারবো না,,
সুজনঃতাহলে তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসি,,
তিশাঃসুজনের কথা শুনে তো তিশা খুশিতে আকাশ থেকে পড়লো..সুজন আমার জন্য এতো ভাবে তার মানে সুজন আমাকে ভালোবেসে,,,না আমি আর ভাবতে পারছি না।
সুজনঃ এই কি হলো বিড়বিড় করে কি বলছো?খাবে না নাকি?
তিশাঃখাবো জানো আমার প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে,,যাও না আমার জন্য খাবার নিয়ে আসো।
সুজন খাবার আনতে চলে গেলো..
রাবেয়াঃএই তুমি খাবার নিয়ে কই যাচ্ছ।
সুজনঃউপরে তিশার জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছি..
রাবেয়াঃকিহ তুমি তিশার জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছ?আচ্ছা তিশার কি এমন হয়েছে যে নিচে এসে খেতে পাড়বে না,।
সুজনঃআমার জন্যই তো তিশার পা পুড়ে গেছে,,তাই ওর খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব,,
রাবেয়াঃদায়িত্ব না ছাই আদিক্ষেতা দেখানোর আর যায়গা পায় না(অনেকটা রাগ নিয়ে)
সুজন কোনো উত্তর না দিয়ে তিশার জন্য খাবার নিয়ে উপরে চলে গেলো
সুজনঃএই নাও খেয়ে নাও..
তিশাঃকিভাবে খাবো??তখন তো শুধু পা দেখলে হাতেও যে পানি পড়েছিলো সেটা তুমি খেয়াল করলে না,এখন যদি হাত দিয়ে খেতে যাই তাহলে তো জ্বালা করবে..
সুজনঃসেটা আমাকে আগে বলবে তো..তাহলে আমি তোমার জন্য চামচ নিয়ে আসতাম।
তিশা;আমি চামচ দিয়ে খেতে পারিনা
সুজনঃতাহলে কি না খেয়ে থাকবে নাকি??
তিশাঃকেনো না খেয়ে কেনো থাকবো?তুমি আছ তো তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে।।
সুজনঃকিন্তু ………
তিশাঃদেখো এটা বলো না তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে না,,এটা মাথায় রেখো তোমার জন্য আমার হাত পা পুড়েছে ।।
এমন ইমোশনাল কথা বললেও যে কেও বাধ্য হয়ে যাবে..
সুজন তিশা খাইয়ে দিতে লাগলো..
অনেকক্ষণ হয়ে গেছে সুজন তিশাকে খাবার দিতে গেছে,,কিন্তু ফিরে আসার নামই নেই..
এদিকে আবার রাবেয়ার মাথার মধ্যে হাজার চিন্তা ঘুরপাক খাওয়া শুরু করে দিছে..।
কিছুতেই খেতে পাড়ছে না,,যে যার যার মত খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু রাবেয়ার মন গিয়ে আছে তিশার রুমে কি হচ্ছে,, সুজন কি করছে আর তিশাই বা কি করছে এই সব ভাবছে রাবেয়া।
কিছুক্ষণ পর আর বসে থাকতে পারলো না উঠে তিশার রুমে চলে গেলো..
আর যেটা দেখলো সেটা দেখে তো ধপ করে বসে পড়লো,,
কিছুক্ষণ ওদের দিকে তাকিয়ে থেকে মন খারাপ করে নিচে চলে আসলো.
যেটা হয়েছে সেটা রাবেয়ার জন্যই হয়েছে....?
রাবেয়স আর খেতে গেলো না,,চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো,,
সুজন এইভাবে তিশার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছে রাবেয়া সেটা মানতেই পাড়ছে না,,,
আর সেও নিজের বিয়ে সেটা রাবেয়ার মাথা থেকেই বের হয়ে গেছে।।
পরদিন গায়ে হদুল ,,
সবাই কত মজা করছে কিন্তু,,,রাবেয়া মন মরা হয়ে বসে আছে,,
তিশার যদিও হাটতে কষ্ট হচ্ছে তবুও সে ঘরে বসে নেই..সবার সাথে মজা করছে.।বিশেষ করে সুজনের সাথে..রাবেয়ার সেটা দেখে আরো বেশি খারাপ লাগছে..
সন্ধ্যায় হলুদ দেওয়া হচ্ছে..?
সবার সাথে সুজনও রাবেয়াকে হলুদ লাগিয়ে দিলো..সুজন যখন রাবেয়াকে হলুদ লাগিয়ে দিচ্ছিলো রাবেয়া মনে মনে হাজারটা গালি দিচ্ছিলো সুজনকে ব্যাটা খাচ্চোর আমাকে অন্যের হতে দেখে খুব মজা লাগছে তাই না,,মজা দেখাবো আমি তোকে মজা দেখাবো..সেটা কালকেই দেখাবো কি ভাবেছিস আমি তোকে ছাড়া অন্য
কাওকে বিয়ে করবো কোনো দিন করবো না,,কিন্তু আমি তো কবুল বলবো না,বসে থাকবো তোর অপেক্ষায়,,আমি জানি তুই কাল আমার বিয়ে হতে দিবি না,,কিন্তু তুই যতক্ষণ পর্যন্ত না বলবি আমি কিছুই বলবো না।
রাতে সবাই মিলে ছাদে আড্ডা দিচ্ছে,,
যে যার যার মত ♪♪গান করছে নাচ করছে,,
সুজন তিশা♥রাবেয়া আর শাহীন কিছুই করছে না,,তাড়া শুধু দেখে যাচ্ছিলো..
যেহেতু তিশার পায়ে সমস্যা তাই সে নাচতে পাড়বে না,,তা নাহলে এতোক্ষনে জমিয়ে নাচতো।।
রাবেয়ার বিয়ের যদি কেও সব থেকে বেশি খুশি হয়ে থাকে তাহলে সেটা হলো তিশা
কিন্তু এমন সময় পা টা পুরলো সব আনন্দ মাটি করে দিয়েছে,,
সুজনের বসে থাকতে ভালো লাগছিলো না,,তাই সে সেখান থেকে চলে আসবে ঠিক তখন
তিশাঃএই তুমি কোথায় যাও??
সুজনঃআমার খুব ঘুম পাচ্ছে তাই রুমে চলে যাচ্ছি..
তিশাঃআচ্ছা আমিও চলে যাবো আমারো ভালো লাগছে না,,আমাকে একটু ধরে রুম প্রযন্ত দিয়ে আসো তো
সুজনঃআচ্ছা চলো..।
তিশা সুজনের কাধে ভর দিয়ে হেটে যাচ্ছে আর রাবেয়ার দিকে পেছন ফিরে ছোট করে একটা চোখ টিপ দিলো..
সুজন চলে যাবার পর রাবেয়র কাছে কেমন জানি ফাকা ফাকা লাগছিলো
রাবেয়াঃআচ্ছা তোমরা থাকো আমিও রুমে গেলাম..
সুজন তিশাকে রুমে দিয়ে এসে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো..এখানে আসার পর থেকে মিরাজকে তেমন দেখা যাচ্ছে না
পায়ছে মৌসুমিকে সারাক্ষণ ওর সাথে কথা বলতেই থাকবে..
সুজন ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্ত্ কিছুতেই ঘুমাতে পাড়ছে না,,
কতক্ষণ পর
রাবেয়াঃআচ্ছা কাল আমার বিয়ে তোমার যদি কিছু বলার থাকে আজকেই বলে দিতে পারো..।
রাবেয়ার কথা শুনে সুজন উঠে বসলো
সুজনঃহুম অনেক কথার বলার আছে তোমাকে..।
রাবেয়াঃ খুশি মনে জিজ্ঞাস করলো তাহলে বলে ফেলো প্লিজ..
সুজনঃকাল থেকে তো নতুন জীবন শুরু করবে তাই আমি চাই আমাকে ভুলে তোমার স্বামীকে নিয়ে থাকো,আর শুনো আমি চাই তুমি সংসার করো,,আর কাল কোনো,ঝামেলা ছাড়া বিয়েটা করে ফেলো..
নিজের যখন একটা সংসার হবে সব মনোযোগ সেটায় দিবে।।অতীতে কি ছিলো সেটা একদম মনে রাখবে না দেখবে খুব ভালো থাকতে পারবে,,
#রাবেয়াঃ আচ্ছা তোমার কথাগুলো মানার চেষ্টা করবো..(সুজনকে রাগাতে কথাটা বললো)
সুজনঃআচ্ছা যাও গিয়ে ঘুমাও কাল তোমার উপর দিয়ে অনেক ধকল যাবে.।
রাবেয়াঃ হুহুম যাচ্ছি আমি,,আর শুনো তুমিও তোমার পছন্দমত কাওকে বিয়ে করে সুখি হও এটাই আমি চাই..আমার সাথে যেমনটা করলে অন্য কারো সাথে কোনো দিন এমন করো না,,যাকে ভালোবাসতে না পারবে তাকে শুধু শুধু কাওকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিওও না,,
রাবেয়া বের হয়ে গেলো.?আজকে রাবেয়াকে অন্যদিনের তুলনায় স্বাভাবিক লাগছে,,
পরদিন বিয়ে বাড়ির রান্নাবান্না হচ্ছে,,
রাবেয়াকে সাজাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,,,,
সুজন যেখানে রান্না হচ্ছিলো সেখানে সব কিছু দেখাশোনা করছে..
সারাদিনে সুজন কোথাও সরতে পারেনি..
লোকজনকে খাওয়ানো সব কাজ করতে হয়েছে..
বিকেলে
কাজি চলে এসেছে এখন বিয়ে হবে..
সুজন সবার সামনের সারিতে বসেছে..সুজনের সাথে তিশাও বসে আছে,,রাবেয়া সেই দিকে নজর না দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,,
সব কিছু শেষ এখন শুধু কবুল বলার পালা,,
কিন্তু রাবেয়া অবাক হচ্ছে সুজনের কোনো রিএকশন নেই,,
সবার সাথে কি সুন্দর হেসে খেলে কথা বলছে..
আর রাবেয়া সেটা দেখে রেগে পুড়ে যাচ্ছে..
রাবেয়াঃ এহহ আমি অন্যকারো হয়ে যাচ্ছি সেটা জেনেও চুপ করে বসে আছে,,আগে তো খুব বলতো তোমাকে অন্যকারো হতে দিবো না,,জোর করে আমার কাছে রেখে দিবো আর হারামিটা এখন কিছুই করছে না..
অনেকক্ষণ বসে আছে সুজন কিছু বলছে না,,রাবেয়া এটার আশাই করছে সুজন না করবে কিন্তু কোনো কথাই সুজন বলছে না..
তবে হঠাৎ করেই হট্রগোলের শব্দ পাওয়া গেলো.
বাইরে কে জেনো বলছে আমাকে ভেতরে যেতে দাও অনেক বোঝাপড়া বাকি আছে,,
কতক্ষণ পর একটা মেয়ে আসলো..
বাহ শাহীন বাহ আমাকে রেখে এখন নিজের খালাতো বোনকে বিয়ে করা হচ্ছে,,আবার গতকাল নিজেই আমাকে বলছিলে ঢাকা থেকে ফিরে আমাকে বিয়ে করবে.শাহীন কতগুলো বউ লাগবে তোমার??
রাবেয়া বেশ অবাক হলো..
শাহীন পাশেই বসা ছিলো..
রাবেয়াঃএই মেয়েটা কে?আর পাগলের মত কি বলছে।
আমি কে সেটা আমি নিজেই বলে দিচ্ছি আমি হলাম সুমিতা শাহীনের গার্লফ্রেন্ড,,
আর আমাকে এই সব খবর দিয়েছে এই যে এনি(সুজনকে দেখিয়ে))যাই হোক শাহীনের মুখোশ খুলে দিয়েছে তো..আর এনি বলেছে এনার গার্লফ্রেন্ডকে নাকি আমার বয়ফ্রেন্ড বিয়ে করতে চলেছে,তাই আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এনাকেই বিয়ে করবো..ভয় নেই আমি এখনো কুমারী আছি..
সুমিতার কথা শুনে বিয়ে বাড়িতে কেমন একটা নিরব পরিবেশ নেমে এলো..
শাহীন বিয়ের মঞ্চ থেকে নেমে এসে সুমিতার হাত ধরে বললো বাবু তুমি যেহেতু সব জেনেই গেছ তাহলে আর একটু জানো এই বিয়েটা সত্যিকারের বিয়ে না নাটক ছিলো নাটক..
সুমিতাঃ কোনটা নাটক আর কোনটা সত্যি সেটা আমি বুঝতে পাড়ছি,আর যদিও নাটকও হয়ে থাকে আমি এনাকেই বিয়ে করবো..
শাহীনঃপ্লিজ লক্ষিটি এমন করো না,,রাবেয়া আর সুজন ভাইয়াকে মেলানোর জন্যই এতো নাটক..আর সেই কারনে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে..
সবাই হা করে ওদের কথা শুনছে
সুমিতাঃআমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না যাকে বিয়ে করছিলে তাকেই বিয়ে করো তোমাদের বিয়ে হয়ে গেলে আমি বিয়ে করে নিবো।
চলবে......
0 Comments