চাচাতো বোন যখন বউ পর্বঃ ১৪তম - Romantic Valobasar Golpo

Romantic Valobasar Golpo চাচাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প Romantic Love Story


Romantic Valobasar Golpo, চাচাতো বোন যখন বউ, romantic golpo, valobasar romantic golpo, bangla romantic golpo, romantic valobasar golpo bangla, bangla valobashar golpo, romantic valobashar golpo
Romantic Valobasar Golpo, চাচাতো বোন যখন বউ


চাচাতো বোন যখন বউ
Writer Rusel Mahmud Niloy
(রাইসার আব্বু )
পর্বঃ ১৪তম


ফারজানা আমার দিকে এক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে..। মেয়েট গাল দুইটা ফু্লে গেছে..। মেয়েটা দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগতেছে...! মনে হয় আমিও ফারজানা প্রতি দূর্বল হয়ে গেছে...।

না হলে আমি কেন ফারজানাকে নিয়ে এত ভাবতেছি, কাউকে নিয়ে ভাবাটাই হলো সত্যি কারের ভালোবাসা..। কিন্তু আমি তো রাগিণীকে ভালোবাসি...।
এক সাথে দুই জন্য কে কি ভাবে ভালোবাসা যায়...!

এই সলিউশন টা আমার কাছে জানা নেই...। জানা থাকলে ও আমি কি করতাম...। সে আমার মাথা কিছু আসতেছে না..! আমার সাথে এমন কেন হচ্ছে...।

এই রাশেল এই ভাবে কি ভাবছো..?(ফারজানা আমার গা ধাক্কা দিয়ে বললো) হুম, কিছু না...। কিছু না হলে আমার দিকে এই ভাবে থাকিয়ে থাকলে কেন..?

সে কিছু না আসলে ভাবছি, মা বাবা কেমন, আছে আর চাচা চাচি ও কেমন আছে, তা ভাবতেছি...। ওই আরেক জন কোথায়..?(ফারজানা) আরেক জন মানি কে...?
রাগিণী কোথায়....? রাগিণী কোথায় মানি সেই বাসায় থাকবে..!

আমি তা বলি নাই, আমি বলছি তুমি রাগিণী নাম কেন নাও নাই..?(ফারজানা) মনে ছিলো না, চলো টিভি দেখবো...। তুমি যাও আমি আসতেছি..?(ফারজানা)

আমি আমার রুমে চলে আসলাম, আমার কেন মনে হলো মা বাবা ভালো নেই...! না আমাকে খোঁজ নিতে হবে, আমার এক বন্ধু নাম্বার আমার মনে আছে থাকে মোবাইলটা নিয়ে কল দিলাম...। প্রথম বারে কল ধরলো হ্যালো রানা কেমন আছি..?
ভালো আছি.. কিন্তু আপনি কে..? তুই আমাকে চিনতে পারছিস না....আমি রাশেল...।

কিইইইই আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না..? তুই কেমন আছি আর এখন তুই কোথায়..?(রানা উত্তেজনা হয়ে বললো) আমি ভালো আছি, আচ্ছা আমার পরিবারের কি খবর..? রানা একটা বড় নিঃশ্বাস পেলে বললো...।

মামা তোর পরিবার কষ্টেই আছে রে..? আমার বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো...। আমার মনে যেনো কালো মেঘ বয়ে গেলো, এটা আমি কি শুনলাম....।

নিজেকে ঠিক করে বললাম, কি হয়েছে..? তোর আব্বু আর তো চাচা কোম্পানি লচ খেয়েছে..! সরকার থেকে লোম নেওয়া টাকা গুলো তিন দিনের ভিতর দিতে হবে...। যদি দিতে না পারে, তাহলে তোদের বাড়ি নিলামে তোলবে....।

তুই একটা কাজ করতে পারবি..? কি কাজ বল..?(রানা) তুই এখন গিয়ে আব্বু কাছ থেকে জিজ্ঞেস কর কত টাকা দিতে হবে..? টাকা মাউন্ট অনেক বেশি..?(রানা)

তুই জানিস নাকি..! হুম জানি প্রায় ৫ কোটি টাকা দিতে হবে..? আচ্ছা তুই একটা কাজ কর, বাসায় গিয়ে দেখতে তাদের অবস্থায় কেমন, আর হা টাকা আমি বাসায় গিয়ে দিয়ে আসবো,

আর শুন(তাঁর পরে রানাকে সব কথা বললাম) রানা বাসা থেকে বের হয়ে আমার বাসার দিকে হাঁটা দিলো..।
আমি আমার রুমে টেনশনে এই দিক ওই দিক হাঁটতেছি..। এখন আমার হাতে টাকা আছে...।

৩ কোটি , আর একটা ফ্লাইট আছে, ২ কোটি টাকা...। এখন ফ্লাইট টা কি ভাবে বিক্রি করি..। হঠাৎ ফারজানা আমার রুমে এসে আমাকে এই অবস্থায় দেখে অবাকক হয়ে জিজ্ঞেস করলো...।

এই তোমার কি হয়েছে..?(ফারজানা আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরে বেডে বসালো...। আমার গালে তাঁর হাতটা দিলো...। আমি শিউরে উঠলাম, এত টেনশনে মাঝে ও আমার ভালো লাগতেছে....।

আমি ভবতে ও পারছি না, মেয়েটা মাঝে কি আছে..?
আমার মনটা ভালো হয়ে গেছে...। হু বলো না তোমার কি হয়েছে..?(ফারজানা মন খারাপ করে বললো)

আমার ফ্লাইট টা বিক্রি করতে হবে..? হোয়াট. কি বলতেছো তুমি, তোমার মাথা ঠিক আছে, আচ্ছা আসল কাহিনী টা কি রাশেল..?(ফারজানা নরমাল ভাবে বললো) তাঁর পরে ফারজানাকে সব বললাম)

ও এই ব্যাপার এতে ফ্লাইট বিক্রি করার কি আছে, আমি আছি না..! আমি দিবো টাকা গুলো..?(ফারজানা) না আমি চাই না কারো সহায়তা নিয়ে মা বাবাকে সহায়তা করি...।

তাঁর মানি এখন ও তুমি আমাদের আপন ভাবতে পারো নাই..?(ফারজানা মুখটা মলিন করে বললো)
আসলে তা না..।(আমি তাঁর গালে হাত দিয়ে বললাম)
তুমি আমাকে টার্স করবে না হুম..।

আরে বাবা রাগ করছো কেন..? আচ্ছা ঠিক আছে, নেবো, এখন তো হাঁসো..। সত্যি ফারজানা লাপ মেরে আমাকে বিছানায় পেলে দিয়ে সেই আমার উপর পড়লো...।

ফারজানা আমার মাথা ধরে আমার সারা মুখে পাপ্পি দিতে দিতে লাল করে পেললো...। হঠাৎ দুইজনে দুইজনে চোখা চোখি হলাম...। ফারজানা আর কিস না করে থেমে গেছে..।

তো কখন যাবো..?(এইটা ফারজানা খুশি হলে এই রকম প্রায় সময় করে তাই লজ্জা পায় না..।) দেখি রানা কখন যেতে বলে...। আচ্ছা তুমি বসো আমি আস্তেছি, আর মা বাবাকে ও দেখতে পাবো...।

ফারজানা চলে গেছে...। ওই দিকে রানা ও বাসায় চলে আসলো...! আঙ্কেল কেমন আছেন..?(রানা আব্বুকে বললো) ভালো কি ভাবে থাকি বাবা..। এই দিকে তিন দিন পরে বাসাটা চলে যাবে, এখন ও একটা টাকা ও হাতে আসে নাই...।

আর ওই দিকে দুই বছর আগে নিজের ছিলে কে নিজে বাসা থেকে তাঁড়িয়ে দিয়েছি...। ভুল টা ছিলো আমাদের, আমরা এক বার ও তাঁর কথাটা শুনতে চাই নাই, আর কথাটা শুনার প্রয়োজন মনে করি নাই..?

আচ্ছা আঙ্কেল আপনাকে আমার এক চাচা টাকা দিবে নিবেন..? (রানা) না বাবা ওই সবের মধ্যে আর ঢোকতে চাই না..! আঙ্কেল টাকা গুলো আপনি চার পাঁচ বছর পরে দিতে পারবে...।

দেখেন আঙ্কেল এর চেয়ে ভালো অপার আর কোথাও পাবেন না..? টাকা গুলো নিয়ে নেয়...। হুম ভাইয়া টাকা গুলো নিয়ে নাও..?(চাচা) আচ্ছা ঠিক আছে, কালকে লাগবে টাকা......

Part 15

Post a Comment

0 Comments